বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমরা সবাই বাংলাদেশের মুদ্রিত মুদ্রা দিয়েই জীবন অতিবাহিত করি। (Bangladesh currency) বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশে অর্থ সরবরাহ করা হয়। বাংলাদেশে সবচাইতে বড় নোট হল ১ হাজার টাকার নোট। ইন্ডিয়াতে ২০০০ টাকার পর্যন্ত নোট আছে। কিন্তু বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহৎ নোট হলো এই 1000 টাকার একটি নোট। ১০০০ টাকার নোটটি সঠিক নিয়মে চিনে রাখা প্রয়োজন কারণ অনেক সময় ফলস নোট অর্থাৎ জাল নোট যদি আপনি পান তাহলে সেটা নিশ্চিত করতে আপনার
১০০০ টাকার সঠিক নোটের পিকচারটি ভালো করে দেখে নেয়া উচিত। আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রদত্ত ১০০০ টাকার নোটের সমস্ত তথ্য এবং ১ হাজার টাকার নোট সম্পর্কে যাবতীয় সকল ইনফরমেশন আপনাদের দেওয়ার চেষ্টা করব। তাই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখবেন আমাদের এই আর্টিকেলটি আশা করি আমাদের এই উপস্থাপনা যে কোন জনগণের জন্য খুবই উপকারী হব ১০০০ টাকার নোটের ছবি ডাউনলোড করে আমরা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার সাইটে পোস্ট করতে পারি।
কাউকে এক হাজার টাকা যদি আমরা গিফট দিতে চাই তাহলে মেসেজ করার মাধ্যমে কিছু কথা অর্থাৎ ক্যাপশন লিখে তাকে একটি ১০০০ টাকার নোটের ছবি ও ফরওয়ার্ড করা যেতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া একটি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড প্ল্যাটফর্ম যেখানে বিভিন্ন ধরনের মানুষ এবং বিভিন্ন মেন্টালিটির মানুষ রয়েছে। সারা পৃথিবীর মানুষের সঙ্গে কনভারসেশন করা সম্ভব এই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে। তাই যেকোনো ধরনের পোস্ট শেয়ার করতে অথবা যে কোন দেশের মুদ্রার ছবি দেখতে চাইলে আপনারা ইন্টারনেটে সার্চ করে দেখে নিতে পারবেন।
এক হাজার টাকার নতুন নোটবাজারে সোমবার ১০০০ টাকা মূল্যমানের নতুন নোট ছেড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, নিরাপত্তা সুতা পরিবর্তন করে এই নোট বাজারে আনা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে ইস্যু করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য অফিস থেকেও ইস্যু করা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, নতুন নিরাপত্তা সুতাটি ইতিপূর্বে প্রচলনে থাকা নোটের নিরাপত্তা সুতা অপেক্ষা উন্নততর; যা নোট জালকরণ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। নতুন প্রচলিত এ নোটটিতে বিদ্যমান ১০০০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটের রঙ এবং ডিজাইন অপরিবর্তিত রেখে শুধু নোটের সম্মুখভাগে বামপাশের নিরাপত্তা সুতাটি পরিবর্তন করা হয়েছে
নতুন এ নিরাপত্তা সুতাটি ৫ মিলি মিটার প্রশস্ত এবং নোটে নিরাপত্তা সুতার ৪টি অংশ দৃশ্যমান থাকবে। ৫ মিলি মিটার প্রশস্ত নতুন এ নিরাপত্তা সুতায় ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ এবং ‘১০০০ টাকা’ খচিত রয়েছে; যা কতিপয় ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সুতার দৃশ্যমান অংশে সম্পূর্ণ ও আংশিক এবং কতিপয় ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সুতার ভেতরে অবস্থান করবে।
নতুন নিরাপত্তা সুতাটি নখের আঁচড়ে বা মুচড়িয়ে সহজে উঠানো সম্ভব হবে না, নোটটি কাত করলে নিরাপত্তা সুতার রং সোনালি থেকে হালকা সবুজ এবং গাঢ় সবুজ রংয়ে পরিবর্তিত হয়, আর উজ্জ্বল রংধনুর রংয়ে রূপান্তরিত হয়ে ওপর থেকে নিচে চলতে দেখা যাবে। নোটের রঙ, ডিজাইন ও অন্যান্য সব নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য (জলছাপ, ওভিআই কালিতে লেখা ‘১০০০’, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য ৫টি বিন্দু, মাইক্রোপ্রিন্ট, খসখসে লেখা, লুকানো ছাপা, নোটের পেছনের দিকে । তো এভাবে খুব সহজেই ১০০০ টাকার আসল নোট চেনা সম্ভব। প্রতিবন্ধীরা খুব সহজে ১০০০ টাকার নোট সনাক্ত করতে পারবে।
বাজারের নতুন এবং পুরাতন দুই ধরনের হাজার টাকার নোট প্রচলিত রয়েছে। প্রচলনে দেওয়া নতুন এই নোটের পাশাপাশি বর্তমানে প্রচলনে থাকা ১০০০ টাকা মূল্যমানের অন্যান্য নোট (শহীদ মিনার ও কার্জন হলের ছবি সম্বলিত হালকা লাল রংয়ের নোট এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সম্বলিত হালকা বেগুনি রংয়ের নোট) বৈধ ব্যাংক নোট হিসেবে যুগপৎ চালু থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করে সর্বোচ্চ মূল্যমানের ব্যাংক নোট বিবেচনায় ১০০০ টাকা মূল্যমান নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য অধিকতর সুদৃঢ় করা এবং নোট জালকরণ প্রতিরোধ করা। সে লক্ষ্যে রঙ পরিবর্তনশীল হলোগ্রাফিক নিরাপত্তা সুতা সংযোজনপূর্বক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সম্বলিত বিদ্যমান ডিজাইন এবং গভর্নর ফজলে কবির-এর স্বাক্ষরিত ১৬০ মিমি ও ৭০ মিমি পরিমাপের ১০০০ টাকা মূল্যমানের ব্যাংক নোট মুদ্রণ করা হয়েছে।ওকে গাইস ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আশা করি আমাদের এই আর্টিকেলটি দ্বারা আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়ে যাবেন। আপনাদের সঠিক তথ্য প্রদান করে সেবা দান করায় আমাদের একমাত্র লক্ষ।