২ লক্ষ টাকা এর ইংরেজি বানান এবং ২ লক্ষ টাকার গাণিতিক রূপ কিভাবে প্রকাশ করা হয় তারই ব্যাখ্যা সহ আজকের এই আলোচনা।আমরা যখন ব্যাংকে টাকা রাখি অথবা টাকা উত্তোলন করি তখন অংকে এবং কথায় আমাদের টাকার পরিমান উল্লেখ করে দিতে হয়। যেহেতু ব্যাংকিং বিষয় সে জন্য একটা শূন্য যদি কমবেশি হয় তাহলে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে এজন্য এখন যেহেতু ইন্টারনেট এর ব্যবহার রয়েছে তাই আপনি আপনার মুঠোফোনটি ব্যবহার করে দুই লাখ টাকা অথবা লক্ষাধিক টাকার পরিমাণ সম্পর্কে ধারণা নিতে পারবেন। অংকে এবং কথায় কিভাবে প্রকাশ করা হয় সেটা শুদ্ধভাবে দেখে নিতে পারবেন।
বিভিন্ন দলিল অথবা ব্যাংকিং কোন কার্যক্রমে বড় অংকের টাকার পরিমান কোথায় এবং অংকে লিখতে হয়। ইংরেজি এবং বাংলা দুই ভাষাতেই বড় অংকের টাকার পরিমান লিখতে আমাদের একটু দুবিধা থাকে।। এজন্য অনেকেই নিশ্চিত হওয়ার জন্য নিজের হাতের মোবাইল ফোনটা থেকে কনফার্ম হয়ে যায় যে লক্ষ্য অথবা কোটি সংখ্যা কিভাবে অংকে এবং কোথায় প্রকাশ করা হয়। চলুন দেখে নেই ২ লক্ষ টাকা ইংরেজিতে এবং বাংলায় এবং গাণিতিক ভাবে কিভাবে প্রকাশ করা হয়।
বাংলা কথায় লিখ:- ২ লক্ষ টাকা
অঙ্কে লিখ:- ২,০০,০০০
English in word:- 2 lakh taka
number: 2,00,000
এভাবে কথা এবং অংকে লিখে 2 লক্ষ টাকার পরিমাণ উল্লেখ করা হয়। এ প্রসঙ্গে কিছু বিস্তারিত আলোচনা:-
আমরা জানি শূন্য থেকে নয় পর্যন্ত এই দশটি সংখ্যাকে কেন্দ্র করে সমগ্র গাণিতিক সূত্র এবং গাণিতিক পরিমাণ গঠিত। একক থেকে শতক পর্যন্ত সংখ্যার চক্র যদি আপনি বুঝতে পারেন তাহলে যত বড়ই অংকের পরিমাণ হোক না কেন আপনি সহজে সেটা বিশ্লেষণ করতে পারবেন।
যেমন, এক থেকে একশ অর্থাৎ এক শতক।
দশ শতক মিলে হয় ১০০০।
এক শতক সমান এক এবং দুইটি শূন্য ।
আর ১০০ শতক মিলে হয় এক লক্ষ। এক লক্ষ অর্থাৎ, ১০০ হাজার টাকা। তাহলে ২ লক্ষ অর্থাৎ, হবে ২০০ হাজার টাকা।
১ শতক = ১০০
১ হাজার = ১০০০
১০ হাজার = ১০,০০০
৫০ হাজার = ৫০,০০০
১ লক্ষ = ১, ০০,০০০
ওপরের এই কলামটি লক্ষ্য করলে আপনি সহজে বুঝে যাবেন যে কিভাবে লক্ষ্য এর পরিমাণ প্রকাশ করা হয়।যখন কোন সংখ্যা এক থেকে হাজার এর ঘর অতিক্রম করে তখন সেই সংখ্যা কথায় লেখা অথবা অংকে লেখায় একটু সমস্যা হয় আমাদের। আমরা বাংলাদেশের মানুষ এবং বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ নিম্ন আয়ের বসবাস করে। বাংলাদেশে বসবাসর তো খুব মানুষই কোটিপতি বা লাখপতি। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ সাধারণ জীবন যাপন করে। বাংলাদেশ একটি গ্রাম প্রধান দেশ ,শহরের তুলনায় এ দেশে গ্রামের সংখ্যা বেশি। এজন্য গ্রামের অধিকাংশ শহীদ সরল মানুষ বড় পরিমাণ টাকার অংক সহজে বোঝেনা। আমাদের সবারই অনেক সময় কনফিউশন হয়ে থাকে যে কিভাবে অংকে এবং কোথায় প্রকাশ করা যায়। তাই কনফিউশন দূর করতে আমরা সবাই নিজের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারি।
আমরা বাংলা এর গাণিতিক ব্যাখ্যা সম্পর্কে জানলেও ইংরেজি ব্যাখ্যা কিন্তু অনেকেই জানে না। যেহেতু বাংলাদেশ এর অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র এবং এদেশের মাতৃভাষা বাংলা। দরিদ্রতার কারণে অধিকাংশ মানুষ পর্যাপ্ত লেখাপড়ার সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এ কারণেই বাংলা হিসাব গুলো সবাই সহজে বুঝতে পারলেও ইংরেজি হিসাব গুলো কিন্তু সবাই বোঝে না। এজন্য যখন ইংরেজিতে গাণিতিক ভাবে প্রকাশ করতে বলা হয় তখন অধিকাংশ মানুষ ইতস্তিত বোধ করে। এদেশের মানুষের কাছে ইংরেজি ভাষাটা যেন এক অস্বস্তিকর বিষয়। ইংরেজি কে ভয় পাই এদেশের মানুষ।
যেমন, একক ,দশক ,শতক, হাজার, অযুত, লক্ষ ,নিযুত, কোটি।গাণিতিক এই সূত্রটি বাংলা দিয়ে সবাই খুব সহজে বলতে পারবে কিন্তু এর ইংরেজি রূপ কি আমাদের সবার জানা আছে?
দেশের ৫০% জনগণ এর ইংরেজি নাম বদলে পারবে না। তাই আধুনিক এই বিশ্বে ইংলিশ ইন্টারন্যাশনাল ল্যাঙ্গুয়েজ হতেই ইংরেজি এই বিষয়গুলোর সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান অবশ্যই রপ্ত করতে হবে।