আসসালামু আলাইকুম প্রিয় বন্ধুগণ। আজকে আমরা একটি গুরুতর এবং স্পর্শকাতর বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি।একটি মেয়ে যখন অবাঞ্চিতভাবে প্রেগনেন্ট হয়ে যায় তখন সে গর্ভপাত করার চিন্তাভাবনা করে। প্রত্যেক মহিলার জীবনে মা হওয়া একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনার বিষয়। কিন্তু অনেক সময় দুর্ঘটনাবশত যদি কেউ গর্ভবতী হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে গর্বের সন্তান নষ্ট করা অর্থাৎ এবরশন করে নেওয়ার অপশন থাকে। এটি একটি সহজ চিকিৎসা পদ্ধতি। অস্ত্র পাচার না করেও ওষুধের মাধ্যমে ছোট ভ্রুণ বিনষ্ট করা সম্ভব।
আজকের এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে আমরা আপনাদের সহজ পদ্ধতিতে আলোচনা করব যে কোন ঔষধটি সেবন করলে ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের বলুন খুব সহজেই নষ্ট হয়ে যায়। অনেক সময় গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করলে, গর্ভপাত কারী নারীর শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। আপনি কি জানেন সঠিক সময়ে গর্ভপাত যদি না করা হয় তাহলে একটি নারীর মৃত্যু হতে পারে। এজন্য গর্ভবতী হওয়ার এক থেকে দশ সপ্তাহের মধ্যে যদি গর্ভপাত করা হয় তাহলে শারীরিক ঝুঁকি কম থাকে।
দশ সপ্তাহ অতিক্রম করার পরে যদি কোন মহিলা গর্ভপাত করার চেষ্টা করে তাহলে তার বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ঝুঁকি অর্থাৎ মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যায়। আমাদের দেশে শতকরা প্রতিবছর ২৫ শতাংশ নারীর মৃত্যু হয় অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভপাতের কারণে। অজ্ঞতা ও অসচেতনতা এর মূল কারণ। তাই যদি দুর্ঘটনা বসে তো কোন নারী গর্ভবতী হয়ে যায় এবং সে গর্ভপাত করতে চায় তাহলে দ্বিতীয় মাসের শুরুতেই গর্ভপাত করে নেওয়া উত্তম।
বেশিদিন অতিক্রম হলে অর্থাৎ আপনার ব্রণের আকৃতি যদি বড় হয়ে যায় তাহলে যদি গর্ভপাত করা হয় সেক্ষেত্রে ভ্রুন নষ্ট হয় না, নষ্ট হতে অনেক সময় লাগে ,আবার অনেক সময় দেখা যায় ভ্রুণ নষ্ট না হয়ে বিকাল অঙ্গের শিশুর জন্ম হয়। এরকম বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বাংলাদেশে অনেক লক্ষণীয়। তাই সুস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক সময়ে আপনারা গর্ভপাত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। যদিও গর্ভপাত করা একটি খুবই নিন্দনীয় এবং একটি পাপ কাজ। তাই এই কাজ থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবেন।
গর্ভপাত হলো কোনো ফিটাস বা ভ্রূণ নিজে নিজে বেঁচে থাকতে সক্ষম হওয়ার আগেই এটিকে অপসারণ করে অথবা মাতৃগর্ভ থেকে জোরপূর্বক বের করে দিয়ে গর্ভধারণের অবসান ঘটানো৷ গর্ভপাত ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটানো হতে পারে, যেক্ষেত্রে এটিকে প্রায়ই মিসক্যারিজ বলা হয়। এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবেও ঘটানো হতে পারে যেক্ষেত্রে এটিকে বলা হয় প্ররোচিত গর্ভপাত। মেডিকেল সাইন্স অনুযায়ী গর্ভপাতের জন্য বিভিন্ন ধরনের ঔষধ রয়েছে। ঔষধ জীবনের মাধ্যমে আপনি প্রথম পর্যায়ে আপনার গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে পারবেন। কিন্তু অবশ্যই সঠিক সময় কেটে সেবন করতে হবে।
এছাড়া প্রাকৃতিক এবং হারবাল ঔষধের মাধ্যমেও দুই থেকে দেড় মাসের বাচ্চা নষ্ট করা সম্ভব। কাঁচা পেঁপে রস খেলে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এটি একটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায় যদিও এই উপায়টি হান্ড্রেড পার্সেন্ট কার্যকারী নয়। তারপরেও আপনারা ঘরোয়া ভাবে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে দেখতে পারেন।
অনেক পিতা-মাতা রয়েছে যারা একটি সন্তানের সুখ উপভোগ করতে পারে না। অনেক নারী রয়েছে যারা সন্তান জন্মদানে অক্ষম। কিন্তু একই পক্ষে আমাদের সমাজে অনেক নারী রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত নিজের গর্বের সন্তান নষ্ট করে। এটি একটি খুবই নিন্দনীয় বাস্তব ঘটনা। তাই আপনারা যারা সন্তান নিতে চান তারা অবশ্যই সুষ্ঠু পরিকল্পনা করে একটা বাচ্চাকে পৃথিবীতে আনার জন্য প্রস্তুত থাকবেন। এরকম দুর্ঘটনাবশত পরিবার পরিকল্পনা বিহীন নিন্দনীয় কার্যক্রম ঘটানোর পর একটি নিষ্পাপ প্রাণকে হত্যা করা মোটেও উচিত নয়। তাই গর্ভপাত এবং এবরশন এই ধরনের সমস্যাগুলো থেকে আমাদের বিরত থাকা উচিত।
অনেক মহিলা রয়েছে যারা ছয় মাস পর নিজের গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করতে চান। এটা হতে একদম সাবধান। কারণ একজন ছয় মাসের বাচ্চা যখন আপনি নষ্ট করেন তখন বাচ্চা নষ্ট হওয়ার সাথে সাথে আপনার শরীরের ঝুঁকি বেড়ে যায়। রক্তশূন্যতার মাধ্যমে মৃত্যু ঘটে অনেক নারীর।
সুস্থ থাকুন ভাল থাকুন এবং অবশ্যই সুস্থ জীবন যাপন করুন। ধন্যবাদ।