মেয়েদের যৌবন নিয়ে কিছু কথা

আমরা আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করব মেয়েদের যৌবন নিয়ে কিছু কথা। অনেক মেয়ে আছে যারা খুব বেশি যৌন চাহিদা সম্পন্ন। অনেক মেয়ে আছে যারা তার জন্য চাহিদা চেপে রাখতে পারে। আবার অনেক মেয়ে আছে যারা তার জন্য চাহিদা চেপে রাখতে পারে না। মেয়েদের যৌন চাহিদা নানা রকম হয়ে থাকে, এক এক মেয়ের একেক রকম যৌন চাহিদা। যৌনতা বেশি হওয়ার কারণে মেয়েদের নানা ধরনের সমস্যা করতে হয়।

মেয়েদের হরমোন জনিত কারণে যৌবন চাহিদা বেশি হয়ে থাকে। একটা বয়সে গিয়ে মেয়েদের যৌন জীবন বা যৌন চাহিদা কমতে থাকে। ৪০ বছর বয়স পর থেকে মেয়েদের যৌন চাহিদা কমতে থাকে। অনেক মেয়ে আছে যারা অনেক বেশি চিন্তা ভাবনা করে। বা ডিপ্রেশনে থাকে তাদের নির্দিষ্ট একটি বয়সের পর যৌন চাহিদা বেড়ে যায়। খুব বেশি যৌন জায়গা বেড়ে গেলে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

একটি মেয়ে যখন ১৩ থেকে ১৪ বছর বয়সে যায় তখন থেকে তার বয়সন্ধিকাল শুরু হয়ে থাকে। এই সময় মেয়েদের শরীরে এবং মনে নানা ধরনের পরিবর্তন আসে। এ সময়ে মেয়েদের শরীরে অনেক পরিবর্তন দেখা যায় এর মাধ্যমে বোঝা যায় একটি মেয়ের যৌবন এসেছে কিনা। মেয়েদের যৌবনকাল ১৪ থেকে ৩৫ বছর পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। এরপর আস্তে আস্তে মেয়েদের যৌবন কমতে থাকে।

অনেক মেয়ে আছে যারা বয়ফ্রেন্ড বিকালের সময় অনেক আবেগী হয়ে পড়ে। এই আবেগী হয়ে পড়ার কারণে তারা নানা ধরনের সমস্যায় ভুগে থাকে। বয়ঃসন্ধিকাল এ মেয়েরা ভুল সিদ্ধান্ত গুলো নিয়ে থাকে। আবেগের বসে পড়ে তারা নানা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ বয়সে তারা বিভিন্ন ছেলের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। ঠিকমতো পড়াশোনার প্রতি তাদের মনোযোগ থাকে না।

মেয়েদের যৌবন নিয়ে কিছু কথা

বয়সন্ধিকাল পার হয়ে যখন তারা যৌবন কালে প্রবেশ করে তখন তারা বাস্তবতা সম্পর্কে জানতে জানতে শুরু করে। বয়সন্ধিকালে যারা ভুল করে থাকে, যৌবন কালে এসে তারা সে ভুলগুলো বুঝতে পারে। যৌবনকালে মেয়েরা আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে শিখে কারণ তারা ভুল থেকে অনেক শিক্ষা পেয়ে থাকে। এ বয়সে এসে তারা তাদের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কার সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় এ বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ খুব তাড়াতাড়ি বলতে পারে।

মেয়েদের যৌবনকালে নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে শিখতে হবে। ঠিকমতো পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়ানো উচিত প্রতিটা মেয়ের। প্রতিটা মেয়েকে মাথায় রাখতে হবে কোন অবস্থায় খারাপ কাজে লিপ্ত হওয়া যাবে না। যৌবন বয়সে পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ দিয়ে ভালো কিছু করা উচিত পরিবারের জন্য, নিজের জন্য।

কোন মেয়ে যদি তার যৌবন বয়সটাকে চেপে রাখতে না পারে তাহলে তার জীবন অন্ধকার পথে চলে যেতে পারে। কারণ যৌবন বয়সে যদি খারাপ কাজে লিপ্ত হওয়া যায় তাহলে সে মেয়ে কখনই পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে না। তাই এই যৌবন কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ পুতিটা মেয়েদের জন্য। যৌবনকালে প্রতিটা মেয়েদের ধৈর্য ধারণ করা উচিত। সামনে এগুতে হলে অবশ্যই ধৈর্য ধারণ করতে হবে।

যৌবনকালে বেশিরভাগ মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেয়া হয়। সময় অনেক মেয়ে আছে যারা নতুন জীবন কেমন হবে এ বিষয়ে অনেক ভয় করে থাকে। এই সময় ভয় পেলে হবে না নতুন সংসার করার জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। নতুন জীবনের সাথে নিজেকে মানে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

এ সময়টাতে অনেক মেয়ের বিভিন্ন ধরনের চিন্তা ভাবনা আসতে পারে। কিন্তু কখনোই খারাপ চিন্তা ভাবনাই মনোযোগ দেয়া যাবে না। যৌবনকালে খারাপ চিন্তায় মনোযোগ দেয়ার কারণে মেয়েদের নানা ধরনের সমস্যা করতে হয়। তাই চেষ্টা করতে হবে নিজেকে কিভাবে ভাল রাখা যায় এই সময়টাতে।

Leave a Comment