বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। আমাদের দেশে ছয়টি ঋতু পরপর পালা বদল করে থাকে। যদিও ষড়ঋতুর দেশ বলা হয়ে থাকে তারপরেও আমাদের এই দেশে বা এই অঞ্চলে প্রধানত দুইটি ঋতুর প্রাধান্য দেখা যায়। একটি হলো গ্রীষ্মকাল বা গরমকাল অপরটি হলো শীতকাল। তাই আজকে আপনারা যারা আমাদের এখানে শীতকাল সম্পর্কে রচনা লেখা দেখতে এসেছেন আপনারা অবশ্যই আমাদের এখান থেকে শীতকাল সম্পর্কিত রচনাটি দেখে নিতে পারবেন।
আপনারা জানেন যে যে কোন বিষয়ে রচনা লিখতে হলে অবশ্যই সেই বিষয়টি সম্পর্কে অত্যধিক জ্ঞান রাখা প্রয়োজন। অর্থাৎ যে বিষয়টি সম্পর্কে আপনি রচনা লিখবেন সেই বিষয়টি সম্পর্কে আপনার সমস্ত ধারণায় থাকা প্রয়োজন তবে এত সুন্দর রচনা লেখা সম্ভব বলে মনে করা হয়। তাই যদি শীতকাল সম্পর্কে আপনার ধারণা ভালো থাকে এবং শীতকালে কোন কোন জিনিসগুলো হয়ে থাকে সে সকল বিষয় সম্পর্কে যদি আপনি অবগত থাকেন তাহলে অবশ্যই শীতকাল সম্পর্কিত রচনা লিখে ফেলতে পারবেন।
আমাদের বাংলাদেশে যেহেতু প্রধানত দুটি কাল একটি শীতকাল অপরটি গরমকাল তাই শীতকাল সম্পর্কে বেশি রচনা লিখতে আসে। শীতের সকালে কেমন ধরনের প্রাকৃতিক দৃশ্য অবতারণা হয় এ সকল বিষয় সম্পর্কে অবশ্যই আপনার ধারণা রাখতে হবে বা ধারণা থাকতে হবে। শীতকালকে শুধু মানুষের অসুবিধা সৃষ্টি করে না শীতকাল মানুষের জন্য আনন্দ করে নিয়ে আসে এ সকল বিষয় সম্পর্কে অবশ্যই আপনার ধারণা থাকতে হবে।আপু তো দৃষ্টিতে যদিও মনে করা হয় শীতকাল
মানুষের অনেক দুঃখ কষ্ট নিয়ে আসে কিন্তু বাস্তব পক্ষে ভালোভাবে যদি খেয়াল করবেন দেখবেন যে শীতকাল মানুষের জন্য অনেকটা আশীর্বাদ নিয়েও আসছে। অর্থাৎ শীতকালে মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্য নতুন করে হতে পারে যেমন ধরেন বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক বিষয় যেমন খেজুরের গুড় খেজুরের রস ইত্যাদি প্রাকৃতিক বিষয়গুলি নিয়ে যেকোন মানুষ ব্যবসা করতে পারে। আবার সমাজের অত্যন্ত গরিব মানুষেরা পৃথা বলি ভাই স্যার সাত ভাই এই শীতকালে।
হাটে বাজারে বসে শীতকালের বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করে বিক্রি করে নিজেদের জীবন বা সংসার চালাতে পারে অনেক ব্যক্তিবর্গ। এছাড়া যারা গরু উৎপাদন এবং খেজুরের রস উৎপাদনের ওপর নির্ভরশীল তারাও এই সময়টা জন্য একেবারে মুখ চেয়ে বসে থাকে। তাই কারো কাছে যদিও শীতকাল সামান্য একটু কষ্ট হয় তারপর দেখা যাচ্ছে যে শীতকাল অনেকের জন্যই আশীর্বাদ হয়ে আসে। কুয়াশা চাদর মুড়ি দিয়ে হেমন্তের উপর আমাদের এই অঞ্চলে শীতকাল প্রবেশ করে। শীতকালে অনেক ধরনের সবজি চাষ হয়ে থাকে যে সবজি গুলি অত্যন্ত সুস্বাদু হয়ে থাকে। ভাই শীতকাল অনেকের কাছে
কষ্ট হলেও বেশিরভাগ মানুষের কাছে আমার আরামদায়ক এবং মুখ এবং বৈচিত্র্যময় খাবারের সমাধানের জন্য অনেকেই পছন্দ করে থাকে। গরমের তীব্রতা থেকে বাঁচার জন্য কিছুদিন অন্তত শীতের ফিমেল হাওয়া বা ঠান্ডা অনেকে অনুশোভ করতে পছন্দ করে থাকে। সকাল মানুষের কাছে অত্যন্ত আনন্দদায়ক অর্থাৎ যে সকল মানুষেরা খেজুরের রস অত্যন্ত প্রিয় বলে মনে করেন তাদের জন্য এই শীতের সকাল আরো বেশি আনন্দদায়ক হয়ে ওঠে। বৃষ্টির রোদে বসে মুড়ি দিয়ে এক গ্লাস খেজুরের রস খেতে কতইনা মজা হয়।
তাই শীতকালের এসব আনন্দ উপভোগ করতে হলে অবশ্যই শীতকাল প্রয়োজন। আবার গ্রাম বাংলার প্রকৃতিতে শীতকালে অনেক ধরনের মেলা যাত্রাপালা নাটক ইত্যাদির আসর বসে। এইগুলো গ্রাম বাংলার একেবারে জিরায়ত নিয়ম এবং ঐতিহ্য। এ সকল ঐতিহ্য গুলি ধরে রাখতে ও শীতকাল প্রয়োজন বলে মনে করা হয়। তাই একজন শিক্ষার্থী যখন শীতের সকাল রচনা লিখবে তখন শীতের সকালের গুণাবলী এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে যে ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে সে সকল বিষয় অবতারণা করলেই শীতের সকাল রচনাটি সম্পন্ন হবে বলে মনে করা হয়। তারপরেও আপনারা যারা এ বিষয়গুলি এখনো বুঝে উঠতে পারেননি তারা অবশ্যই আমাদের দেওয়া নিজের এই শীতকাল সম্পর্কিত রচনাটি দেখে নিতে পারেন।