মেয়েদের উচ্চতা বৃদ্ধির বয়স

মানুষের শারীরিক গঠন মানুষের শারীরিক বিকাশ নিয়ে প্রতিনিয়তই বিজ্ঞানে গবেষণা চলছে। আর এই গবেষণার আলোকে অবশ্যই কিছু ফলাফল পাওয়া গেছে যে ফলাফলগুলো জানাটা অত্যন্ত জরুরী। আপনারা যারা মেয়েদের শারীরিক উচ্চতা নিয়ে চিন্তিত আছেন তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি অবশ্যই আপনারা সচেতন বাবা মা বলেই আপনারা এই কাজটি করছেন। আপনার আশেপাশে খেয়াল করলে দেখবেন বেশিরভাগ বাবা-মাই এই বিষয়গুলো খেয়াল করে না যার কারণে তাদের সন্তান সঠিক বয়সের সঠিকভাবে বের হতে পারে না। গঠন এবং বৃদ্ধি সম্পর্কে বাবা-মায়ের ধারণা রাখাটা অত্যন্ত জরুরী।

বিভিন্ন গবেষণা থেকে এটা প্রমাণিত যে মেয়েদের শারীরিক গঠন ২৫ বছর পর্যন্ত হয়। কিন্তু শারীরিক উচ্চতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যে গবেষণা পাওয়া গেছে সেই ক্ষেত্রে উল্লেখ করা হয়েছে তাদের শারীরিক উচ্চতা বৃদ্ধি পায় ১৮ বছর পর্যন্ত। স্বাভাবিক কারণে ১৮ বছরের পরে কোন মেয়ের শারীরিক উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে না। তাই অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে শারীরিক উচ্চতার ক্ষেত্রে মেয়েদের বয়স হচ্ছে ১৮ বছর তাই আপনি যদি সন্তানের অভিভাবক হয়ে থাকেন তাহলে মেয়েদের বাড়তি বয়সকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে হবে এবং এই বয়সেই মেয়েদের সঠিক পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেলস এর যোগান দিতে হবে। তাহলে সন্তান হবে সুস্থ এবং সঠিক উচ্চতার অধিকারী।

উচ্চতা বাড়াতে কি কি করব

উচ্চতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। সঠিক বয়সের সঠিক উচ্চতা পাওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তার কারণ হচ্ছে বয়স পেরিয়ে যাওয়ার পরে কখনোই সঠিক উচ্চতা পাওয়া যাবে না। ছেলে হোক বা মেয়ে হোক একই পদ্ধতি অবলম্বন করে বাড়তি বয়সে শারীরিক উচ্চতা সঠিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায়। তবে আমি আগেও বলেছি এখনও বলবো বাবা-মার উচ্চতার কাছাকাছি সন্তানের উচ্চতা হয়। অস্বাভাবিক কারণে এই উচ্চতা কমে যেতে পারে আবার যাদের উচ্চতা বাবা-মায়ের থেকে অনেক বেশি তাদের অবশ্যই শারীরিক গঠনে এমন কিছু বিকাশ ঘটে যেটা অভাবনীয়। তবে আপনি বাবা-মা হিসেবে অবশ্যই চেষ্টা করবেন সন্তান যেন লম্বা হয়।

সন্তানের শারীরিক গঠনের জন্য উচ্চতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কি কি বিষয় গুরুত্ব দেওয়া আছে সেটা জানার চেষ্টা করব। অভিভাবক হিসেবে তিনটা জিনিসের প্রতি অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে যে তিনটা জিনিসের কথা আমরা নিচে উল্লেখ করলাম সেগুলো।

খাবার

ঘুম

ব্যায়াম

উপরে যে তিনটা জিনিসের কথা উল্লেখ করেছি এর মধ্যে প্রথম জিনিসটা বাড়তি বয়সের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু খেয়াল করলে দেখবেন বাড়তি বয়সে সন্তানেরা এই খাবারটাই খেতে চায় না। এখনকার দিনে ঘুম সব থেকে বড় সমস্যা হয়েছে প্রত্যেক সমাজের প্রত্যেক বয়সের মানুষের জন্য। বাড়তি বয়সের সন্তানকে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানোর ব্যবস্থা করতে হবে নিজের অভিভাবককে।

খেলাধুলা করতে পছন্দ করে যারা বেশি তাদের জন্য অবশ্যই খেলাধুলার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। যে যত ভালোভাবে খেলাধুলা করবে তার শারীরিক বিকাশ কত ভালো হবে এবং হাড়ের গঠন ও হাড় বৃদ্ধি পাবে। তবে আধুনিক যুগে একটা বড় সমস্যা হচ্ছে আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার সন্তানকে অবশ্যই দিচ্ছি কিন্তু সন্তান সঠিকভাবে ঘুমাচ্ছে কিনা এবং সন্তান পড়াশুনার ফাঁক দিয়ে খেলার কোন সময় পাচ্ছে কিনা বা শারীরিক ব্যায়াম করার কোন সময় পাচ্ছে কিনা সে বিষয়ে অনেক বাবা-মা চিন্তা করি না।

১ সপ্তাহে লম্বা হওয়ার উপায়

আপনারা যারা খুব দ্রুত লম্বা হতে চাচ্ছেন তাদের জন্য অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে দ্রুত লম্বা হওয়ার ব্যাপারটা অনেক ক্ষেত্রেই নির্ভর করে মানসিক প্রশান্তির ওপর। এক সপ্তাহে কতটুকু লম্বা হবেন আপনি সেটা কেউ বলতে পারেনা আর বাড়তি বয়সে প্রতিদিনই কেউ অল্প অল্প করে বাড়তে থাকে। এক সপ্তাহ কারো লম্বা হওয়া পরিমাপ করার জন্য খুব অল্প সময় অন্তত একমাস অথবা অন্তত ছয় মাস দেখা যেতে পারে সে কতটুকু লম্বা হয়েছে। তাই অবশ্যই স্বাভাবিক চিন্তাভাবনা করা উচিত আমাদের সকলকে।

 

 

Leave a Comment