গলা ব্যথার এলোপ্যাথিক ঔষধ

ছোট থেকে বড় কম বেশি সকলের গলা ব্যাথা হতেই পারে। তবে বর্তমান সময়ে আমরা একটু অধৈর্যশীল হয়ে উঠেছে বলে কোন কিছু হলেই সরাসরি ডাক্তারের কাছে দৌড় দেই। কিন্তু হাতের কাছে যখন এখনকার মত ডিস্পেন্সারি ছিল না তখন কিন্তু ঠিক এই ঘরোয়া পদ্ধতিতে গলা ব্যথা মানুষ সারিয়ে তুলত। তাই বর্তমান সময়ে কারো যদি গলা ব্যথা হয়ে থাকে এবং আপনারা যদি এইখানে গলা ব্যাথার ঔষধের এলোপ্যাথিক নাম জানতে এসে থাকেন তাহলে আমরা আপনাদেরকে সেই নাম প্রদান করছি। ওষুধের পাশাপাশি আপনারা বিভিন্ন ধরনের ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করলে গলা ব্যথা কিন্তু ভালো হয়ে যাবে।

সাধারণত আমরা যে ওষুধের উপর নির্ভরশীল হয়ে উঠছে তাতে করে দেখা যাচ্ছে যে কোন কিছু হলেই আমরা ওষুধ ব্যতীত চলতে পারি না। কিন্তু এটা সত্যি যে প্রত্যেকটি ওষুধেরই কমবেশি কোন কোন সাইড ইফেক্ট রয়েছে। তাই ওষুধের ওপর জীবন নির্ভর না করে এমনভাবে জীবন ব্যবস্থাকে পরিচালনা করতে হবে যাতে করে আমরা সুস্থ জীবন যাপন করতে পারি। গলা ব্যথা থেকে শুরু করে অন্যান্য যে সকল রোগ মানুষের হয়ে থাকে সেগুলোর ক্ষেত্রে যদি আমরা নিজেদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারি অথবা সকল ক্ষেত্রে সচেতন ভূমিকা পালন করতে পারি তাহলে এটা আমাদের জন্য অনেক ভালো।

তাই গলা ব্যথা হয়ে থাকলে আপনারা যখন তা সহ্য করতে পারেন না অথবা কথা বলতে খুবই কষ্ট হয় তখন আপনারা হয়তো ওষুধের নাম জানতে চান। তাই বাজারে গেলে আপনার গলা ব্যথার সঙ্গে অন্য কোন সমস্যা রয়েছে কিনা অথবা জ্বর সর্দি ও অন্যান্য কোন উপসর্গ রয়েছে কিনা এরকম বিষয়ে ডাক্তার জেনে তারপরে ওষুধ প্রদান করে থাকেন। স্বাভাবিকভাবে জ্বর হয়ে থাকলে আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে নাপা টাইপের ওষুধ গুলো খেয়ে থাকি এবং গলা ব্যথার জন্য অনেক সময় আপনারা ওষুধের নাম জানতে চান বলে সেটা জানিয়ে দেব।

বর্তমান সময়ে গলা ব্যথার ওষুধের জন্য ইফিক্স ১০০ এমজি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে এই ওষুধের পরিবর্তে আরো অনেক বিকল্প ওষুধ রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করলে গলা ব্যথা ভালো হয়ে যায়। তবে ঔষধ খেয়ে ওষুধের ওপরে নির্ভরশীল ভূমিকা না রেখে আপনারা যদি ঘরোয়া পদ্ধতিতে গলা ব্যথার সমস্যা মুক্ত হতে চান তাহলে সেটা সবচাইতে বুদ্ধিমানের কাজ হবে। সাধারণত ঠান্ডা লাগার কারণে গলা ব্যথা হয়ে থাকে অথবা ঠান্ডা জিনিস যখন আমরা খাই তখন সেই ঠান্ডা জিনিসের প্রভাবে গলা ব্যথা হয়ে যায়।

গলা ব্যথার এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম

তাই এরকম অবস্থায় আপনি যদি গলা ব্যথার সমস্যায় পড়ে থাকেন এবং গলা ব্যথার ওষুধের নিয়মিত সেবন নেওয়ার পরেও যদি আপনাদের তা ভালো না হয় তাহলে অনেকেই মনে করেন এন্টিবায়োটিক খেলে ওষুধের মাধ্যমে তা ভালো হবে। তবে এখানে যারা গলার এন্টিবায়োটিক ওষুধের নাম জানতে এসেছেন তাদেরকে বলব যে রেজিস্টার্ড চিকিৎসক ব্যতীত এন্টিবায়োটিক এর ওষুধের নাম সাধারণ জনগণ হিসেবে জানানো উচিত নয়।

কারণ একজন মানুষের শরীরে বিভিন্ন কন্ডিশন অনুযায়ী তাকে ঔষধ প্রদান করা হয়ে থাকে বলে ডাক্তাররা সেটা তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে প্রদান করে থাকেন। সাধারণ জনগণ হিসেবে ইন্টারনেট ব্যক্তির তথ্যের উপর নির্ভর করে এন্টিবায়োটিক সেবন করা কখনোই উচিত নয়। তাই সব ক্ষেত্রে ভালো হয় যদি আপনি সমস্যার পর ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ গ্রহণ করেন।

গলা ব্যথার ওষুধের নাম

আমরা উপরের দিকে গলা ব্যথার ওষুধের নাম জানিয়ে দিয়েছে বলে তা আপনারা জেনে নিতে পারছেন এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিলে আশা করি আপনাদের সমস্যাগুলো আরো দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে। তাই এই পোষ্টের মাধ্যমে গলা ব্যথার ওষুধের নাম হিসেবে আমরা না দিয়ে বলব যে আপনারা যদি তেজপাতা লবঙ্গ মিলিয়ে পানি জাল দিয়ে সেটা গড়গড়া করতে পারেন তাহলে আপনাদের বলার জন্য খুবই উপকারী ভূমিকা রাখবে। সেই সাথে ফ্রিজের ঠান্ডা খাবার বাদ দিতে হবে এবং কুসুম গরম পানি খেলে আপনাদের গলা ব্যথা আস্তে আস্তে ভালো হয়ে যাবে বলে জানি। ঘরোয়া পদ্ধতিতে কয়েকদিন লবণ পানি দিয়ে গড়গড়া করলেও কিন্তু আপনাদের এই সমস্যার সমাধান খুব দ্রুত হয়ে যাবে।

Leave a Comment