ধাতু ক্ষয় রোগের জন্য হামদর্দ ওষুধ অনেক বেশি কার্যকরী। আজকে আমরা আপনাদেরকে দেখাবো ধাতু ক্ষয় রোগের জন্য কি কি হামদার্দ ওষুধ আপনি সেবন করতে পারবেন। ধাতু ক্ষয় রোগের জন্য বেশ কিছু ওষুধের তালিকা আমাদের কাছে রয়েছে। সে সকল তালিকা গুলো আপনি আমাদের এই প্রবন্ধের মাধ্যমেই পেয়ে যাবেন। এজন্য আপনাকে যেটা করতে হবে আপনাকে এ প্রবন্ধটি অবশ্যই মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। তাহলে আপনি ধাতু ক্ষয় রোগের জন্য অর্থাৎ এই রোগ সেরে নেওয়ার জন্য কি কি সেবন করতে হবে, কিভাবে আপনি এই রোগ সেবন করতে পারবেন তাহলে সে সকল বিষয়গুলো আপনি জানতে পারবেন। আর এই জন্য আপনাকে অতিরিক্ত শুভ নষ্ট না করে আমাদের প্রবন্ধ গুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে তবে আপনি সবকিছু উপলব্ধি করতে পারবেন।
এই ধাতু ক্ষয় রোগটি বর্তমানে অনেকের ভেতরে দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে অনেকের ভেতরেই এটি গ্রাস করছে। ধাতু ক্ষয় রোগ সময়ের সাথে সাথে অনেক বেশি জটিল হয়ে পড়ছে যার জন্য এই রোগটি নিরাময় করতে অনেকেই মরিয়া করে পড়ছে। অনেকেই চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছে কিন্তু ভালো কোন সমাধান খুঁজে পাচ্ছে না। সেজন্য আপনাদেরকে বলছি আপনারা অতিরিক্ত সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে আপনারা আমাদের প্রবন্ধটি পড়ুন। তাহলে এখানেই আপনি অনেকগুলো সমাধান পেয়ে যাবেন যে সকল সমাধান গুলো আপনাদের অনেক বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।
ধাতু ক্ষয় রোগের কারণ
আপনি কি জানেন এই ধাতু ক্ষয় রোগের কারণ কি? এই ধাতু ক্ষয় রোগ কি জন্য হয়? কেনই বা এই রোগটি এত বেশি জটিল হয়ে পড়েছে? তাহলে আপনাকে নিজের এই অংশটি পড়তে হবে। নিচে ধাতু ক্ষয় রোগের বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। এই সকল কারণগুলো যদি আপনি পড়েন তাহলে ধাতু ক্ষয় রোগের কারণগুলো আপনি জানতে পারবেন।
ধাতু ক্ষয় রোগের প্রধান কারণ সমূহ:
● অত্যধিক কামদ ও অশ্লীল ভাবনা চিন্তা করা।
● মন অশান্ত থাকা।
● কখনও কোনও দুঃখের ঘটনা মনে পড়ে যাওয়া।
● মস্তিষ্ক কমজোরি হওয়া।
● ব্যক্তির শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি বা ভিটামিনের কম থাকার কারণে।
● কোনও অসুখের কারণে কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ খাওয়ার ফলে।
● ব্যক্তির শারীরিক দুর্বলতা বা প্রতিরোধক ক্ষমতা কমে যাওয়ার ফলে।
● কোনও ঘটনা নিয়ে অধিক চিন্তা করার জন্যে।
● বীর্য পাতলা হয়ে গেলে।
● পুরুষের যৌনাঙ্গের নার্ভের সমস্যার কারণে।
ধাতু ক্ষয় রোগ মুক্তির উপায়
নিজের ধাতু ক্ষয় রোগ থেকে মুক্তির জন্য বেশ কিছু উপায় উল্লেখ করা হয়েছে এগুলো আপনারা মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এখানে যে সকল পথগুলো উল্লেখ করা হয়েছে এগুলো আপনাকে মনোযোগ সহকারে উপলব্ধি করতে হবে। আর আপনি বাসায় যদি এগুলো সেবন করতে পারেন তাহলে সহজেই আপনি ধাতু ক্ষয় রোগ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে সক্ষম হবেন।
ধাতু ক্ষয় রোগ থেকে মুক্তির প্রাকৃতিক উপায় সমূহ:
গুলঞ্চ: ধাতু রোগের নিরাময়ের জন্যে ২ চামচ গুলঞ্চের রস ১ চামচ মধুতে মিশিয়ে খেতে হবে রোজ।
আমলা:প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মধুর সাথে ২ চামচ আমলার রস খেলে খুব শীঘ্রই ধাতুর গুণমাণ বৃদ্ধি পায়। সকালে ও বিকেলে আমলকির রস দুধে মিশিয়ে পান করলেও ধাতু রোগের নিরাময়ে লাভজনক ফল পাওয়া যায়।
তুলসী: ৩ থেকে ৪ গ্রাম তুলসীর বীজ অল্প মিছরির দানার সাথে মিশিয়ে রোজ দুপুরের খাবার খাওয়ার পর খেলে এই রোগের দ্রুত উপশম পাওয়া যাবে।
সাদা মুস্লি (সাদা শতমূলী): আপনি যদি ১০ গ্রাম সাদা মুস্লির গুঁড়ো মিছরির সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন আর তারপর ৫০০ মি.লি. গরুর দুধ পান করতে পারেন, তবে সেটা আপনার পক্ষে ভীষণ লাভজনক হবে। এই পদ্ধতিতে খেলে, আপনার শরীরের অভ্যন্তরীণ শক্তিকে বাড়বে এবং রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাও বাড়বে।
উরাদ ডাল: উরাদ ডাল গুঁড়ো করে মাটির পাত্রে সেঁকে নিয়ে যদি খাওয়া যায়, তবে আশাতীত ফল পাওয়া যায়।
কালো জামের বীজ: কালো জামের বীজ রোদে শুকিয়ে নিয়ে তার গুঁড়ো করে যদি দুধের সাথে রোজ খাওয়া যায়, তাহলে ধাতু রোগের থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।