আবহাওয়ার কারণে অথবা ঠান্ডা লাগার কারণে অনেকের কিন্তু হঠাৎ করে জ্বর চলে আসতে পারে। যেহেতু জ্বরের মাধ্যমে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে মুখের স্বাদ চলে যায় এবং অন্যান্য আরো অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয় সে তো জ্বর কমানোর ওষুধ সেবন করতে পারেন। তাছাড়া জ্বর যেহেতু শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে সেহেতু মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা থেকে এটা যদি অনেক বেশি পরিমাণে হয়ে যায় তাহলে অনেক ঝুঁকি থাকে। যার অবস্থাই কোন ধরনের শারীরিক পরিশ্রম না করে বিশ্রাম নেওয়া উচিত। তাই আপনারা জ্বর হলে যে সকল ওষুধ খাবেন অথবা জ্বরের ঔষধ সম্পর্কে এখানে ধারণা প্রদান করা হলো।
যেহেতু জোর মানুষের কমবেশি হয়ে থাকে অথবা একটি পরিবারের বিভিন্ন আবহাওয়া জনিত কারণে অথবা ভাইরাসজনিত কারণে জল চলে আসতে পারে সেহেতু প্রত্যেকটি বাড়িতে একটি করে থার্মোমিটার রাখা উচিত। কারণ থার্মোমিটারের মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই জ্বর কত ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছে তা বুঝতে পারবেন এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে পারবেন। আর জ্বর যদি বেশী হয়ে থাকে তাহলে ঔষধের পাশাপাশি আপনারা জলপট্টি অথবা মাথায় পানি ঢেলে সেই জ্বর কমাতে পারেন।
সাধারণত জ্বর হয়ে থাকলে নাপা ধরনের ওষুধ আমরা গ্রহণ করে থাকি। আপনি যদি বাচ্চাদের উদ্দেশ্যে জ্বরের ওষুধ খাওয়াতে চান তাহলে তাদের জন্য সিরাপের ব্যবস্থা রয়েছে। আবার এমন সময় রয়েছে যে সময় আমাদের জ্বর হয়ে থাকলে কোন ভাবেই তা কমতে চায় না এবং শেষমেশ আমাদের এন্টিবায়োটিক এর সহায়তা গ্রহণ করতে হয়। তাই রোগীর স্বাস্থ্য বয়স এবং অন্যান্য অবস্থার উপরে নির্ভর করে ডাক্তারেরা যখন ঔষধ প্রদান করবে তখন অবশ্যই আপনারা সেটা গুরুত্বসহকারে সময় মেনে এবং জ্বরের ওপরে নির্ভর করে তা খাবেন। জ্বরের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ এর লক্ষ্য করে ডাক্তারেরা নাপা ওষুধ প্রদান করার ক্ষেত্রে ভেরিয়েশন এনে থাকেন।
অতিরিক্ত জ্বর কমানোর উপায়
তাই অতিরিক্ত জ্বর হয়ে থাকলে এবং এর পাশাপাশি শরীর ব্যথা অথবা সর্দি কাশি লেগে থাকলে ডাক্তারেরা আপনাদেরকে হয়তো সেই অসুখের ধরনের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন নাপা ঔষধ সাজেস্ট করতে পারে। আর শুধু যদি জ্বর থেকে থাকে তাহলে ক্যাফেইন সমৃদ্ধ নাপা ঔষধ না খেয়ে আপনারা এই ক্ষেত্রে শুধু প্লেইন নাপা ওষুধ খাবেন। আর অতিরিক্ত জ্বর হয়ে থাকলে কপালে জলপট্টি দেওয়ার পাশাপাশি আপনারা অবশ্যই রোগীর মাথায় পানি ঢাললে সেই জ্বর অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
জ্বর কত হলে ওষুধ খাওয়া উচিত
মানুষের শরীরের তাপমাত্রা ৯৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে শুরু হয় এবং এই তাপমাত্রা আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পেতে থাকলে সেটা জ্বরের লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়। তাই থার্মোমিটার অনুযায়ী আপনারা যখন জ্বর মেপে দেখবেন এবং সেটা যখন ১০০° এর উপরে হয়ে থাকবে তখন সেই তাপমাত্রা একজন মানুষ সহ্য করতে না পারলে অবশ্যই তাকে জ্বরের ঔষধ খাওয়াতে হবে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে একটা মানুষের গায়ে তাপমাত্রা তো যদি আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পেতে থাকে তাহলে ১০২ ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত সেটা স্বাভাবিকভাবে ধরে নেওয়া হবে। কিন্তু এর চাইতে বেশি তাপমাত্রা হয়ে গেলে তখন অবশ্যই জরুরী চিকিৎসা প্রদান করতে হবে যাতে করে এটা তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে একজন মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব না ফেলতে পারে।
জ্বরের ওষুধের নাম
প্রত্যেকটা কোম্পানির জ্বরের ঔষধ রয়েছে এবং এই জ্বরের ওষুধ আপনারা চাইলেই বিভিন্ন নাম দিয়ে খাওয়াতে পারেন। আপনারা যদি জ্বরের ওষুধের নাম জানতে চান তাহলে নাপা, নাপা এক্সট্রা, পাইরিনল, ডুয়েট ইত্যাদি রয়েছে। এছাড়াও শিশুদের জন্য নাপার সিরিজের বিভিন্ন ধরনের জ্বরের সিরাপ রয়েছে যেগুলো খাওয়ানোর মাধ্যমে তাদের জ্বর নির্মূল করা যায়। তাই বিভিন্ন ধরনের জ্বরের ওষুধ নাম জেনে থাকলেও সেগুলো ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর নাম
জ্বরের ওষুধ খাইয়ে দেওয়ার পরও যদি জ্বর না কমে তাহলে অনেক সময় অ্যান্টিবায়োটিক প্রদান করার প্রয়োজন থাকে। তাই সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আপনি যদি জ্বরের এন্টিবায়োটিক প্রদান করতে চান তাহলে বলবো যে এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ হিসেবে এন্টিবায়োটিক কিভাবে প্রদান করা উচিত অথবা অ্যান্টিবায়োটিক এর নাম জেনে নিয়ে সেটা প্রদান করতে চাইলে কখনো এটা দরকার হবে বলে মনে হয় না। জ্বরের অ্যান্টিবায়োটিক এর নাম প্রদান না করে সরাসরি ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ গ্রহণ করে ওষুধ সেবন করার জন্য বলা হলো।