বাজারে মোটা হওয়ার অনেক ঔষধ কিনতে পাওয়া যায়। যেগুলো খেয়ে অনেকে রেজাল্ট পায়। আমাদের আশেপাশে এরকম অনেককেই দেখেছি যারা ওষুধ খেয়ে মোটা হয়েছে। কিন্তু আমাদের সবাইকে এটাই পরামর্শ যে আপনি ঔষধ না খেয়ে সঠিক নিয়মে সঠিক খাবার গ্রহণের মাধ্যমে নিজের ওজন বাড়ান। কারণ ওজন বাড়ানোর জন্য যদি আপনি ওষুধ খান
তাহলে সাময়িকভাবে আপনার ওজন বৃদ্ধি হতে পারে কিন্তু পরে সেটা আবার কমে যাবে। আর ওষুধ খেয়ে যারা মোটা হয়ে যায় তাদের বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। অনেকের ক্ষেত্রে স্থূলতা বৃদ্ধি পায়। তাই আপনি ওষুধ না খেয়ে সঠিক নিয়মে ওজন বাড়ানোর চেষ্টা করুন। আজকে আমরা এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের সঠিক নিয়মে ওজন বাড়ানোর টিপস গুলো দেব।
আজ আমরা এই আর্টিকেলটিতে জানাবো, মোটা হওয়ার সবচেয়ে কার্যকরী ঔষধ, মোটা হওয়ার ভিটামিন ঔষধ এর নাম, মোটা হওয়ার ঔষধের নাম বাংলাদেশ, রুচি প্লাস সিরাপসহ আরো কিছু ক্যাপসুল সম্পর্কে। আমাদের মধ্যে যে বা যারা স্বাস্থ্যগতভাবে রোগা পাতলা। সপ্ন দেখছেন মোটা হবেন বলে। তাদের জন্য আমাদের আজকের এই পোস্ট। তো চলুন এবার জেনে নেই দ্রুত মোটা হওয়ার ঔষধ সম্পর্কে।
কিভাবে দ্রুত ওজন বাড়ানো যায় তার কিছু টিপস:-
ভাত ও রুটি কার্বোহাইড্রেডের প্রধান উৎস তার মানে এই নয় যে বেশি বেশি খাবেন। আপনাকে অতিরিক্ত ফ্যাটের দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। তাই প্রতিদিন কার্বোহাইড্রেড খাবেন পরিমিত কিন্তু সাধারণের তুলনায় কিছুটা বেশি। মোটা হওয়ার সহজ উপায় গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।ওজন কমানোর ক্ষেত্রে আমরা বেশি ক্যালোরি বার্ন করি এবং কম ক্যালোরি গ্রহণ করি।
কিন্তু এই ক্ষেত্রে উলটা হবে যতটুকু ক্যালোরি বার্ন করবেন তার দ্বিগুণ ক্যালোরি গ্রহণ করতে হবে। ওজন বৃদ্ধির জন্য শরীরের চাহিদার তুলনায় বেশি ক্যালোরি নিন। ওজন দ্রুত বৃদ্ধি করতে চাইলে দিনে ৬০০-৭০০ ক্যালোরি বেশি গ্রহণ করতে হবে আর যদি ওজন আস্তে আস্তে বাড়াতে চান তাহলে প্রতিদিন ৪০০-৫০০ ক্যালোরি বেশি গ্রহণ করতে হবে। এভাবে এক সপ্তাহ করলেই আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে।
কিন্তু যারা ওজন বৃদ্ধি করতে চাচ্ছেন তারা ২ ঘন্টা পর পর বেশি করে খেতে হবে। এসময় আপনি দুধ, দই, ফল, ছানা ইত্যাদি দিয়েই পূরণ করতে পারেন। এতে আপনার শরীরে পুষ্টির পাশাপাশি ওজনও বৃদ্ধি পাবে। এটি মোটা হওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায়।ওজন বৃদ্ধিতে কার্বোহাইড্রেড খুবই প্রয়োজন। খাবারের তালিকায় কার্বোহাইড্রেড অবশ্যই রাখবেন। ভাত ও রুটি কার্বোহাইড্রেডের প্রধান উৎস। তাই প্রতিদিন অন্তত ২ বার কার্বোহাইড্রেড খাবেন।
বিভিন্ন কারণে ওজন কম হতে পারে। অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, জেনেটিক কারণ, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, ডায়রিয়া, ক্যান্সার, ডায়বেটিস, এইডস, হাইপারথাইরয়েডিজম, আর্থ্রাইটিস, যক্ষ্মা, কিডনির সমস্যা, ফুসফুসের সমস্যা, ড্রাগ নেওয়া ইত্যাদি। এছাড়া বয়সের জন্যও ওজন কমবেশি হয়ে থাকে। ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম এইদিকগুলো লক্ষ্য রাখতে হবে।
সব সমস্যার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে টেনশন। ওজন বৃদ্ধিতে যেমন টেনশনমুক্ত থাকা প্রয়োজন ঠিক তেমনি ওজন কমাতেও টেনশনমুক্ত থাকা খুবই আবশ্যক। আজকাল টেনশনমুক্ত থাকা খুবই কঠিন তাও চেষ্টা করবেন যতটা সম্ভব টেনশনমুক্ত থাকার।শরীর ঠিক রাখতে ঘুম খুবই প্রয়োজন। প্রতিদিন ৮ ঘন্টা অবশ্যই ঘুমাতে হবে। এর থেকে কম হওয়া যাবে না। এছাড়া ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন নিয়ম করে ইয়োগা বা যোগাসন করুন। এতে আপনার ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।
ওজন বৃদ্ধি করতে শুধুমাত্র ক্যালোরিই যথেষ্ট না। ক্যালোরির পাশাপাশি সঠিক প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে। সঠিক প্রোটিন গ্রহন না করলে ক্যালোরি বাড়তি ফ্যাটের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তাই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন ডিম, ডাল ও দুধ অবশ্যই রাখবেন।ড্রাই ফ্রুটসে আছে প্রচুর ক্যালোরি ও ফ্যাট যা ওজন বৃদ্ধিতে অনেক কাজে দিবে।
প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠেই ২টি কাজু ও ২টি কিসমিস খাবেন। এইটা কোনভাবেই ভুলবেন না। আর সকালের নাস্তায় রাখুন আমন্ড বা পেস্তা। ওজন বৃদ্ধিতে আপনার ডায়েট চার্টে বাদামের পরিমাণ বেশি রাখুন। এভাবে নিয়ম মেনে ড্রাই ফ্রুটস খেলে দেখবেন এক মাসের মধ্যেই আপনার ওজন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ধন্যবাদ । আশা করি আপনারা আমাদের এই টিপস গুলো নিশ্চয়ই ফলো করবেন।