বিনা কারণে ঘুমের ঔষধ খাওয়া খুবই খারাপ। ঘুমের ঔষধ বিভিন্ন শক্তির রয়েছে। যার যেমন ধরনের ঘুমের ওষুধের শক্তির প্রয়োজন তাকে সেই ধরনের শক্তির ঔষধ দেওয়া হয়ে থাকে। তবে একটা সময় ছিল যখন ঘুমের ঔষধের পাওয়ার গুলো অনেক বেশি ছিল। সে সকল ঘুমের ঔষধ গুলি রোগীকে খাওয়ানোর পর অপারেশন করা হতো। অর্থাৎ বিভিন্ন অস্ত্র পাচারের সময় এই সকল ঘুমের ঔষধ গুলি তাদেরকে খাওয়ানো হতো এবং তাদের অচৈতন্য অবস্থায় বিভিন্ন ধরনের অপারেশন গুলো সম্পন্ন করা হতো।
এখনো কিছু কিছু ঘুমের ঔষধ আছে যেগুলি এনেসটেশিয়ার যে বিষয় রয়েছে অর্থাৎ অপারেশনের ক্ষেত্রে সেগুলির ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু সচরাচর যে ঘুমের ঔষধ গুলো আমরা ঔষধের দোকানে বা বাজারে পেয়ে থাকি সেগুলি খুবই কম শক্তির হয়ে থাকে। এই কারণে এ সকল ঘুমের ঔষধ যদি আপনি বেশি পরিমাণেও কোন ভুলবশত খেয়ে ফেলেন তাতেও আপনার কোন সমস্যা হবে না। শুধুমাত্র ঘুম হবে এবং যদি ঘুম না হয় তাহলে সেটি বমি হওয়ার মাধ্যমে উঠে যাবে।
তাই যত্রতত্র ঘুমের ঔষধ বা ঘুমের বড়ি খেয়ে আত্মহত্যার প্রবণতা অনেক কমেছে। এর আগে দেখা যেত যে যে কোন কারণে কারো কাছে যদি ঘুমের ঔষধ থেকে থাকতো তাহলে অবশ্যই তারা সেটি মানুষকে খাইয়ে অথবা নিজে আত্মহত্যার কাজে ব্যবহার করতে হয়।এজন্য চিকিৎসকগণ এবং ফার্মেসিবিজ্ঞান অনেক সচেতন হয়েছেন এবং যে ধরনের ঘুমের ঔষধের শক্তি অনেক বেশি সেই ঘুমের ঔষধ গুলো ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অর্থাৎ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া
কোনোক্রমে আপনি পাবেন না। তারপরে ঘুমের ঔষধ সম্পর্কে আমাদের একটু সচেতন থাকাই বেশি ভালো। কারণ যদি কেউ ঘুমের ঔষধ খেয়ে ফেলে বেশি পরিমাণে এবং তার ঘুম যদি না ছুটে সে কোমায় চলে যেতে পারে। ভাই আপনাদেরকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে এবং কোনরকম মেয়ে কোনভাবেই আপনার উচিত হবে না বেশি পরিমাণে ঘুমের ঔষধ সেবন করা।
তাই আপনারা যারা জানতে এসেছেন যে কোন কোন ঘুমের ঔষধ খেয়ে মৃত্যু হয় সে বিষয়টি জানার জন্য। আপনাদের যেহেতু কোন রকমের ধারণা নেই তাই অবশ্যই যে কোন জিনিস ধারণা পাওয়ার জন্য এ সকল প্রশ্ন করতেই পারেন। আমরা আগেই বলেছি বর্তমান বাজারে যে সকল ঘুমের ঔষধ পাওয়া যায় তা খুব কম পাওয়ারের হয়ে থাকে। আর এই কমপাড়ের ঔষধ গুলো শুধুমাত্র ঘুমের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আপনি এই কম্পারের ওষুধগুলো যদি রেগুলার একই সময়ে অর্থাৎ ঘুমাতে যাওয়ার আধা ঘন্টা আগে খেয়ে থাকেন তাহলে কিছুদিন খাওয়ার পর আপনার ভালো ঘুম হবে।
কিন্তু এ সকল ঔষধ গুলি একসাথে অনেকগুলো খাওয়ার পরও আপনি ঘুমিয়ে অচৈতন্য হবেন না এদিক থেকে অবশ্যই একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। তবে আপনারা কখনোই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঘুমের ঔষধগুলি সেবন করবেন না। কারণ ঘুমের ঔষধ মানুষের স্নায়ুকে অনেক দুর্বল করে ফেলে আর এই কারণে আপনার যদি প্রয়োজন না হয় তাহলে কোনক্রমেই আপনি এই ঔষধটি সেবন করবেন না। আর আপনারা জানেন যে যে কোন ওষুধ অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হয়।
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন না করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই আপনারা জেনে যেতে পারেন যে সাধারণত আমরা বাজারে যেয়ে ঘুমের ঔষধ গুলো পেয়ে থাকে সেগুলি পয়েন্ট ৫ পাওয়ারের হয়ে থাকে। আর পয়েন্ট ফাইভ পাওয়ার এর যদি 15 টি ঔষধ ও খাওয়া যায় তাহলে সেটির পাওয়ার হবে মাত্র সাত পয়েন্ট পাঁচ মিলিগ্রাম। এই পরিমাণ ঔষধ খেলে সাধারণত কোন মানুষের তেমন কোন সমস্যা হবে না।
তাই ঘুমের ঔষধ নিয়ে আপনারা খুব বেশি চিন্তা করার প্রয়োজন নেই বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কোনক্রমে আপনারা ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ঘুমের ঔষধ খেতে যাওয়ার প্রয়োজন নেই বলে মনে করা হয়।মেডিসিনের এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানান, ওই শ্রেণির ১৫টি বড়ি খেলে সাধারণ ভাবে মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে না। কারণ, সে-ক্ষেত্রে মোট ৭.৫ মিলিগ্রাম অ্যালপ্রাজোলাম শরীরে ঢোকার কথা।