প্রেমিকার কাছে ক্ষমা চাওয়ার স্ট্যাটাস

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের ওয়েবসাইটে সাধারণত বিভিন্ন বিষয়ে খুবই সহজ ও সাবলীল ভাষায় বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হয়। তাই এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে প্রেমিকার কাছে ক্ষমা চাওয়া নিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাটাস উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আপনি কি কোন কারনে ভুল করেছেন বা আপনার পছন্দের মানুষের সাথে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে?

আপনি কি সেই ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটাতে চাচ্ছেন এবং আপনার প্রিয়তমার কাছে ক্ষমা চাইতে চাচ্ছেন? কিন্তু কিভাবে ক্ষমা চাইবেন বা কিভাবে আপনি তাকে স্যরি বলবেন বুঝতে পারছেন না? তাহলে আপনি এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন এবং এই আর্টিকেল থেকে আপনার পছন্দমতো স্ট্যাটাসটি সংগ্রহ করে নিতে পারেন খুব সহজেই।

বিভিন্ন কারণে মানুষের রাগারাগি তৈরি হতে পারে বা ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হতে পারে। একটু রাগারাগি বা ভুল বোঝাবুঝির জন্য দেখা যায় যে অনেক সময় এত সুন্দর সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। আমরা যদি এই সুন্দর সম্পর্ক গুলো নষ্ট করতে না চায় তাহলে আমাদের উচিত যদি কোনো কারণে ভুল হয়ে থাকে বা ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়ে থাকে তাহলে নিজের ভুলের জন্য পছন্দের মানুষের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা বা স্যরি বলা। অনেকে দেখা যায় যে পছন্দের মানুষের কাছে স্যরি বলতে চায় না বা ভুল করলেও সে ভুলটি স্বীকার করতে চায় না। ইগো কাজ করে। আসলে ইগো থাকলে প্রেম ভালোবাসা সম্পর্ক এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। উভয়ের প্রতি সম্মানবোধ যেমন থাকতে হবে তেমনি ভাবে যদি কোনো কারণে ভুল হয়ে থাকে তাহলে ভুল সংশোধনের জন্য অবশ্যই স্যরি বলার বা ক্ষমা চাওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।

যদি আপনার মধ্যে এই ধরনের মানসিকতা না থাকে তাহলে আপনি কখনো একটি সুন্দর সম্পর্ক সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন না। সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবেন না। প্রত্যেকটি মানুষই চায় তার প্রিয় তমাকে বা পছন্দের মানুষকে সুখে রাখতে, খুশি রাখতে। এজন্য প্রিয় মানুষকে সুখে রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে সে দ্বিধাবোধ করে না।

এমনকি প্রিয়তমা বা পছন্দের মানুষ যদি পাশে থাকে তাহলে যে কোন কঠিন কাজ মানুষ অনায়াসেই করে ফেলতে পারে। তবে কোন কারনে যদি ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয় বা পছন্দের মানুষের সাথে রাগারাগি তৈরি হয় তাহলে রাগারাগির কারণ খুঁজে বের করে কি কারণে এই ধরনের ঝামেলা তৈরি হয়েছে তা বোঝার চেষ্টা করতে হবে এবং যদি ভুল হয়ে থাকে তাহলে ভুল সংশোধনের জন্য চেষ্টা করতে হবে বা পছন্দের মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। ক্ষম চাওয়া কোন খারাপ কাজ নয়। ক্ষমা চাওয়া একটি মহৎ গুণ।

অনেকেই দেখা যায় যে কিভাবে ক্ষমা চাওয়া উচিত বা কিভাবে সরি বলবে তা বুঝতে পারে না। আসলে আমাদের পছন্দের মানুষকে ভালো রাখতে এবং সুন্দর একটা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে আমাদের ছোটখাটো ঝামেলাগুলো মনে রাখা উচিত নয় এবং যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই স্যরি বলতে হবে বা ক্ষমা চাইতে হবে। অনেকেই মনে করে যে ক্ষমা চাইলে হয়তো নিজেকে ছোট করা হয়। এই ভেবে ক্ষমা চাইতে যায় না বা ক্ষমা প্রার্থনা না করে সুন্দর সম্পর্ক নষ্ট করে ফলে। যা কখনোই উচিত নয়। ক্ষমা চাইলে কেউ কখনো ছোট হয়ে যায় না বরং ক্ষমা চাইলে তার মহৎ গুণাবলীর আত্মপ্রকাশ ঘটে।

১. আপনি যদি সত্যিকারভাবে কাউকে ভালবাসতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে ক্ষমা করা শিখতে হবে।

২. পৃথিবীতে একজন মানুষের সর্বোচ্চ সংযম হচ্ছে প্রচন্ড রাগের মাথায় কাউকে ক্ষমা করে দেয়া। সহজে কাউকে ক্ষমা করার ক্ষমতা সবার থাকে না।

৩. যদি ক্ষমাই করতে না পারো তাহলে ভালোবাসো কেন? যে ভালবাসায় ক্ষমা নেই সে ভালোবাসা পাথর স্বরুপ‌।

৪. ক্ষমা এমন অদৃশ্য শক্তি যা অহংকারকে ধুলোয় মিশিয়ে দেয়।‌ হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার অবিশ্বাস্য প্রকাশই হচ্ছে ক্ষমা।

৫. যে ক্ষমা করে শুধুমাত্র সেই জানে। হৃদয় কত বড় পাথর রেখে তাকে ক্ষমা করতে হয়েছে। তাই ক্ষমা কখনোই সাধারণ নয়।

Read More  চকলেট নিয়ে ক্যাপশন

৬. মানুষ একে অপরকে ক্ষমা করতে পারে বলেই, পৃথিবীতে মনুষ্য জাতি সর্বগ্রহণযোগ্য। এখানেই মানুষ এবং পশু পাখির মধ্যে পার্থক্য।

৭. যে ক্ষমা করতে জানে না তার হৃদয় যে কত ভয়ঙ্কর তা শুধু তার আচরণ দ্বারা উপলব্ধি করা যায়‌। ক্ষমাহীন মানুষ পশুর সমান।

৮. যার মাঝে প্রিয়জনকে হারানোর ভয় থাকে। সে তার নিজ ভুলের জন্য সাথে সাথে ক্ষমা চায়। কারন সে প্রিয়জনের মূল্য জানে।

৯. ক্ষমাহীন দৃষ্টি কখনোই অনুতাপ করে না। যে ক্ষমা করে সে ক্ষমা পায়।

১০. আপনি কাউকে ক্ষমা করতে জানলে আপনি অবশ্যই জীবন্ত। কারণ আমরা তো হৃদয় কখনো অন্যকে ভারমুক্ত করতে জানেনা।

১১. তুমি যখন প্রথমবার অবহেলা করেছিলে, আমি শতগুণ ক্ষমার দৃষ্টিতে তোমার কাছে এসেছিলাম। তোমায় ভালোবাসি বলেই তো এতো এতো আয়োজন।

১২. কতটুকু মানসিক শক্তির দরকার হলে একজন মানুষ অপরজনকে ক্ষমা করতে পারে? ঠিক যতটুকু আপনি অন্যের কাছ থেকে আশা করা ঠিক ততটুকু ক্ষমায অন্যজনকে দান করুন।

১৩. তুমি এক যুগ পর্যন্ত আমার উপর অভিমান করে থাকো, অথচ যে কোন একটা মুহূর্তে আমি তোমাকে হাজার বার ক্ষমা করে দিতে পারি।

১৪. ক্ষমা মানুষের মৃতপ্রায় হাজারো অনুভূতিকে এক মুহূর্তে জাগিয়ে তুলতে পারে। ক্ষমার গুন যে কত বড় তা শুধুমাত্র ক্ষমাপ্রাপ্ত ব্যক্তি জানে।

প্রিয়তমার কাছে বা প্রেমিকার কাছে ক্ষমা চাওয়ার অন্যতম মাধ্যম হতে পারে ক্ষমা চাওয়া নিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাটাস দেওয়া। আপনি আপনার পছন্দের মানুষটিকে খুশি করার জন্য এবং ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটানোর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাটাস পোস্ট করতে পারেন। আর আমাদের এই আর্টিকেলটিতে অনেকগুলো স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছে। আপনি এখান থেকে আপনার পছন্দমতো স্ট্যাটাসটি বাছাই করে নিয়ে আপনার সোশ্যাল একাউন্টে আপলোড করতে পারেন।

Leave a Comment