মানুষের বেঁচে থাকার জন্য খাবারের প্রয়োজন অপরিসীম। অক্সিজেন জামান জীবনে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন তেমনি খাবারের প্রয়োজন অনুরূপ। কারণ খাদ্য যদি আমরা না খাই তাহলে আমাদের শরীরে কোন ধরনের শক্তি পাবে না। শরীরের অভ্যন্তরে যে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলি রয়েছে সেই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলি সঠিকভাবে কাজ করার জন্য অবশ্যই খাদ্য থেকে আমাদের
শক্তি অর্জনের প্রয়োজন রয়েছে। তাই খেতে পারাটাও একটা বিষয় রয়েছে। সবাই যে খেতে পারবে এমন কথা নয়। এই পৃথিবীতে অর্থাৎ এই সমাজে বিভিন্ন ধরনের মানুষ জীবজন্তু বা প্রাণী রয়েছে। উদ্ভিদ প্রাণী অর্থাৎ যাদের জীবন রয়েছে তারা অবশ্যই খাদ্য গ্রহণ করবে। খাদ্য গ্রহণ না করলে কখনোই তার শরীর টিকে থাকবে না। শুধুমাত্র জড় বস্তু খাদ্য গ্রহণ করে না।
খাবারের রুচি কি
খাদ্য খাওয়ার ওপর একটি আসক্ত হওয়া বা মনোভাব জন্ম নেয়ারই আসলে রুচি বলা হচ্ছে। যদি শরীরের মধ্যে ক্ষুধা না লাগে বা খাদ্য খাওয়ার অনুভক্তি না জন্মে থাকে তাহলে খাদ্য খেতে পারবে না বা খাদ্য খাওয়া যায় না। অনেক সময় দেখা যায় যে শরীরে খিদা আছে কিন্তু কোন ধরনের খাদ্য তাকে খেতে ইচ্ছা করছে না। খাদ্য খেতে ইচ্ছা না করাটাই হলো অরুচি। আর খাদ্য খাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ বা খাদ্য খাওয়ার জন্য মনে হচ্ছে মন চাচ্ছে এইটাই হলো খাদ্যে রুচি ফিরা।আর তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে অবশ্যই খাদ্য খাওয়ার বা খাদ্যের ওপর রুচি থাকতে হবে। এই রুচি যে কোন মানুষ অথবা প্রাণীর জন্য অবশ্যই প্রযোজ্য রয়েছে।
রুচি না থাকলে কি হয়
সাধারণত আমরা দেখি অনেকেরই শরীর একেবারে শুকনো কাঠের মত। আতা যখন খাদ্য খাওয়ার ইচ্ছা না থাকে তখন যে কোন প্রাণী অথবা মানুষ খাদ্য খেতে পারে না বা খায় না। আর খাদ্যে যখন খায় না তখন ধীরে ধীরে শরীর শুকিয়ে যায় শরীর থেকে মাংস বেশি আস্তে আস্তে কমতে থাকে। তাই যারা খাদ্য খায় না বা খাদ্যের রুচি থাকে না এ সকল মানুষের বা ব্যক্তির জন্য বিভিন্ন ধরনের রোগ জন্মে থাকে। এই রোগ প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের অবশ্যই খাদ্য খাওয়া প্রয়োজন। তাই মানুষকে সুস্থ থাকার জন্য সুস্থ রাখার জন্য শরীর অবশ্যই রুচি থাকতে হয়। রুচি না থাকলে খাবার খাবে না খাবার না খেলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বিভিন্ন জটিলতার মধ্যে পড়বে এবং রোগ জন্মাবে।
কিভাবে রুচি হবে
খাবারের প্রতি আসক্তি জন্মাতে অবশ্যই আমাদের শরীরের মধ্যে প্রাথমিক ভাবে ক্ষুধার সৃষ্টি করতে হবে এবং খাবারের ইচ্ছা তৈরি করতে হবে। আর এই খাবারের ইচ্ছা তৈরি করার অর্থই হলো খাবারে রুচি হওয়া। এখন যদি স্বাভাবিকভাবে বা প্রাকৃতিকভাবে মানুষের খাবারের ইচ্ছা না থাকে বা চলে যায় তাহলে অবশ্যই কৃত্রিমভাবে বিভিন্ন ঔষধের মাধ্যমে এই খাবারের রুচি ফেরানো সম্ভব।
তাই এখন আমাদের দেখতে হবে যে কিভাবে বা কোন কাজ করলে মানুষের খাবারের রুচি হতে পারে। সাধারণত পেটে কৃমি থাকলে খাবারের অরুচি হয়ে থাকে। আমরা যদি কৃমিনাশক ঔষধ প্রতি তিন মাস অন্তর অথবা ছয় মাস অন্তর অন্তর সেবন করে থাকি তাহলে অবশ্যই খাবারের রুচি থাকবে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ঔষধ খাবার পরে দেখা যায় যে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি পেলেই শরীরের খাদ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। আর শরীরের খাদ্যের চাহিদা বেড়ে গেলেই আসলে খাবারে রুচি হওয়া বোঝায়।
এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের ঔষধ রয়েছে তবে সবসময় আমাদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী যে কোন ঔষধ গ্রহণ করতে হবে। আর যদি আমরা প্রাকৃতিকভাবে খাবারের রুচি ফেরাতে চাই তাহলে বিভিন্ন ধরনের খাবার রয়েছে অর্থাৎ বিভিন্ন সবজি যেমন করোলা শাকসবজি এবং ঔষধি গুনসম্পন্ন কিছু খাবার সেই খাবারগুলো খেলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে খাবারের রুচি আসে। এ ধরনের যেকোনো তথ্য পাওয়ার জন্য আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের পাশে থাকতে পারেন।