যাদের চাকরির বয়স শেষ হয়ে গিয়েছে এবং প্রতিষ্ঠান থেকে আপনাকে সম্মানিত ভাবে বিদায় করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে হবে বা প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা প্রদান করতে চাইছে তাহলে অবশ্যই আপনাদেরকে কিছু অফিশিয়াল নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। এই ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা উত্তোলনের জন্য আবেদন পত্র লিখতে হবে। তাই আবেদনপত্র কেমন ভাবে লিখতে হবে এবং কি কি তথ্য প্রদান করতে হবে সেই সংক্রান্ত নমুনা যদি দেখতে চান তাহলে আমাদের এখানে সেটা পেয়ে যাচ্ছেন এবং দেখতে পাচ্ছেন।
মানুষ তার কর্মের মধ্য দিয়ে বাঁচে। যৌবন কাল থেকে শুরু করে বার্ধক্য কাল পর্যন্ত একটা মানুষ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন এবং সেই প্রতিষ্ঠানের সেবা প্রদান করতে পারেন। প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম কানুন অনুযায়ী সেখানে প্রোফিডেন্ট ফান্ড বা ভবিষ্যৎ তহবিল নামক একটা অংশ বেসিক বেতন থেকে কেটে নেওয়া হয়ে থাকে। আপনি যখন চাকুরী শেষ করবেন অথবা চাকুরী যখন ছেড়ে দিবেন তখন আপনার এই টাকা জমা সাপেক্ষে আপনাকে তা প্রদান করা হবে। আর এরকম পরিস্থিতিতে আপনি যদি সেই টাকা উত্তোলন করতে চান তাহলে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
সরকারি চাকরি হয়ে থাকলে আপনাকে অবশ্যই যে মন্ত্রণালয় অথবা অধিদপ্তরের অধীনে চাকরি করছেন সেখানে আপনাদেরকে একটা আবেদন পত্র এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে হবে। বর্তমান সময়ের সকল সিস্টেম অনলাইন করা হয়েছে বলে এ ধরনের কাজগুলো কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনাদেরকে অনলাইনে করতে হতে পারে। তাই সকল ক্ষেত্রে সকল নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে যাতে করে কোথাও ভুল ভ্রান্তি না হয় এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই টাকা উত্তোলন করা যায়।
চাকরির বিভিন্ন অবস্থানের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এই টাকার পরিমাণ নির্ধারণ করে থাকে বিভিন্ন ক্যাটাগরির উপরে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে প্রত্যেকটা চাকুরীজীবী চাকুরী শেষ করার পর অথবা চাকুরী ছেড়ে দেওয়ার পর এই ভবিষ্যৎ তহবিলকে কাজে লাগাতে পারেন অথবা সেটার উপরে অনেকের পরিবারের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে থাকেন। এরকম পরিস্থিতিতে আপনাদের সেই টাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলে অনেকেই খুব দ্রুত তুলতে চান। তাই চাকরি কবে থেকে শুরু করেছেন এবং সেই চাকরি ক্ষেত্রে আপনার পোস্ট কি ছিল এবং কত তম গ্রেডে এই চাকরি করছেন সে সকল বিস্তারিত তথ্য দিয়ে একটা আবেদন পত্র লিখতে হবে।
আর এই আবেদন পত্র লিখার ক্ষেত্রে স্কুলের ছুটি চাওয়ার মত আবেদনপত্র না লিখে অনেক তথ্যবহুল করতে হবে।অর্থাৎ একটা প্রতিষ্ঠানে আপনি কত বছর ধরে সেবা প্রদান করে আসছেন এবং সেই প্রতিষ্ঠানের কোন গ্রেডের বেতনভুক্ত একজন কর্মচারী অথবা দায়িত্বরত কর্মকর্তা ছিলেন সে বিষয়গুলো উল্লেখ করবেন। এভাবে আপনি আপনার কথাগুলো উল্লেখ করে টাকা উত্তোলনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে বিনীত নিবেদন জানাচ্ছেন বলে উল্লেখ করবেন। তাই এ সকল কাজের ক্ষেত্রে একটি আবেদনপত্র লেখার মত গুরুত্বপূর্ণ কাজে কেউ অবহেলা করবেন না।
প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা উত্তোলনের নিয়ম
প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা উত্তোলনের নিয়ম যদি জানতে চান তাহলে সেই ক্ষেত্রে অনেক কাগজপত্র সেখানে সংযুক্ত করতে হবে। তবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিয়ম কানুন বিভিন্ন রকমের হওয়ার কারণে প্রত্যেকটি তথ্য আলাদা আলাদা ভাবে প্রদান করা সম্ভব হলো না। তারপরও আপনাদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা তুলতে গেলে আবেদনপত্র থেকে শুরু করে আপনাদের আই বাস নামক ওয়েবসাইটে যে তথ্য দেওয়া আছে সেই তথ্যের প্রিন্ট নিতে হবে এবং অন্যান্য আরো কিছু তথ্য উপস্থাপন করতে হবে।
প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা উত্তোলনের জন্য আবেদন পত্র লেখার নিয়ম
প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা উত্তোলনের জন্য আবেদন পত্র লেখার নিয়ম সম্পর্কে যারা অবগত নাই তারা এখান থেকে সেই নিয়ম সম্পর্কে অবগত হয়ে নিতে পারেন। এই ঢাকা উত্তোলনের জন্য আপনাদেরকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করতে হবে এবং সেই টাকা উত্তোলনের জন্য বিস্তারিত ভাবে আপনার প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয় ফুটিয়ে তুলতে হবে। যেহেতু আপনি একটা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন তেমনি ভাবে বুঝতে পারবেন যে প্রতিষ্ঠানের যে বিষয়গুলো ঘটে থাকে সেগুলো আসলে কিভাবে পরিচালিত হয়। তাই সেভাবে প্রত্যেকটি ডকুমেন্ট সংগ্রহ করার পাশাপাশি সঠিকভাবে সাবমিট করতে পারলে আশা করি আপনাদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এই প্রভিডেন্ট ফান্ড টাকা তোলার পদ্ধতি সহজ হয়ে যাবে।