দরখাস্ত বা আবেদনপত্র হলো যেকোনো বিষয়ে আবেদন করার জন্য যে পত্র। আবার একে অনুমতিপত্র বলা যেতে পারে। আমাদের জীবনের প্রথম থেকে শুরু করে এই আবেদনপত্র বা দরখাস্ত লেখার নিয়ম কানুন সম্পর্কে অবগত করানো হয়। অর্থাৎ শিক্ষাজীবনের শুরুতেই অর্থাৎ দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় শ্রেণি পড়ার সময়কালে আমরা শিক্ষার্থী দেরকে চেষ্টা করি যে দরখাস্ত কিভাবে লিখতে হয় এই বিষয়টি শেখানোর। কারণ আইনিভাবে যেকোনো কিছু করার অনুমতি পত্রই হলো বা অনুমতি পাওয়ার জন্য আবেদন করাই হলো দরখাস্ত বা আবেদন পত্র। এটি যে কোন প্রতিষ্ঠানের অফিসিয়াল পত্র।
অর্থাৎ আপনি যে কোন কাজ করার জন্য অথবা যে কোন কাজ করার অনুমতি চাওয়ার জন্য আপনাকে এই দরখাস্ত লিখতে হয়। স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন কাজের অথবা বিভিন্ন সময় ছুটির জন্য আমরা দরখাস্ত লিখে থাকি। পরবর্তী জীবনে চাকরি পাওয়ার জন্য অথবা অন্য যেকোনো কাজের জন্যই দরখাস্ত লিখে থাকে। তাই দরখাস্ত আমাদের জীবনের সাথে অনেকটা গভীরভাবে জড়িয়ে আছে বলে মনে করি। আর এ কারণে আজকে আপনারা যারা দরখাস্ত লেখার নিয়ম জানতে চেয়েছেন আপনারা অবশ্যই আমাদের এখান থেকে এখন দরখাস্ত লেখার নিয়ম জেনে নিতে পারবেন।
দরখাস্ত লেখার নিয়ম
দরখাস্ত লিখতে হলে প্রথমেই আপনাকে একটা সুন্দর a4 সাইজের কাগজ নিতে হবে। এবং অবশ্যই কাগজটি সাদা কাগজ হয় বেশি বাঞ্ছনীয়। তারপর আপনি এই কাগজের চারিদিকে নয় শুধু বাম পাশে এবং ওপরের পাশে মোটামুটি ভাবে এক ইঞ্চি পরিমাণ জায়গা ভাঁজ করে নেবেন এবং ওপরের ক্ষেত্রেও তাই একই ভাবে ভাঁজ করে নেবেন। কাগজটি যদি সুন্দর না হয় তাহলে যেমন তেমন কাগজে দরখাস্ত লেখার ঠিক হবে না বলেই মনে করি। কারণ কথায় রয়েছে যে আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারী তাই আমাদের অবশ্যই কাগজটি ভালো হতে হবে এ
কথাটা আপনাকে অবশ্যই মেনে নিতে হবে। তারপর আপনি বরাবর দিয়ে শুরু করবেন। বরাবর দিয়ে শুরু করার আগে আপনাকে অবশ্যই যেই তারিখে দরখাস্ত লিখছেন সেই তারিখ আপনাকে শুরুতেই লিখতে হবে। তারপর বরাবর দিয়ে এবং কার নিকট দরখাস্ত লিখবেন সেই পদের নাম উল্লেখ করতে হবে। অর্থাৎ দরখাস্ত লিখতে হলে অবশ্যই যে কোন অফিসের বড় কর্মকর্তার কাছেই দরখাস্ত লিখতে হয়। তবে কখনো কখনো মাধ্যমিক হিসেবে অন্য কাউকে দেখানো যেতে পারে। তবে পরম কর্মকর্তার বরাবর দরখাস্ত লিখতে হয় এটি জানবেন।
এরপর সেই বড় কর্মকর্তাকে যথাবিহিত সম্মান প্রদর্শনপূর্বক আপনার আবেদন পত্রটি শুরু করবেন। তবে তারও আগে আপনাকে দরখাস্তের বিষয় অর্থাৎ আবেদনপত্রের বিষয়টা কি সে বিষয়ে সম্পর্কে অবশ্যই অবগত করতে হবে। যাতে তিনি দেখার সাথে সাথে বিষয়টি বুঝে নিতে পারেন যে কি বিষয়ে দরখাস্ত লেখা হচ্ছে। পরবর্তীতে আপনি আপনার পরিচয় দিয়ে কোন বিষয়ে আপনি দরখাস্ত লিখছেন সেই বিষয়টা এবং কারণটা যথাযথভাবে উল্লেখ করবেন বলে মনে করি। এরপর আপনি অবশ্যই সেই দরখাস্তটা যাতে মঞ্জুর হয় গ্রান্ট হয় সে বিষয় সম্পর্কে আপনাকে সে কর্মকর্তার কাছে অবশ্যই অনুরোধ রাখতে হবে।
এরপর আপনি কে তা উল্লেখ করে আপনি আপনার দরখাস্ত শেষ করতে পারেন। এভাবে একটা প্রতিষ্ঠানের বড় কর্মকর্তার কাছে আপনি দরখাস্ত লিখতে পারেন। এবং আপনি যে বিষয়ে দরখাস্ত লেখেন না কেন এই একই নিয়মে হবে প্রত্যেকটি দরখাস্তের নিয়ম। আর আরেকটি বিষয় সবসময় মনে রাখতে হবে যে দরখাস্ত লিখতে হলে আপনারা কখনোই ভুল ভ্রান্তি করার চেষ্টা করবেন না। ভুল করা দরখাস্ত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাতিল হয়ে পড়ে। তাই এ ধরনের যে কোনো তথ্য সবার আগে পাওয়ার জন্য আপনার অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের পাশে থাকবেন বলে মনে করি। আর সবকিছু সবার আগে পাওয়ার জন্য আপনারা বারবার আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন এবং আমাদের পাশে থাকবেন এ কথা বিশ্বাস করি।