আপনারা কেউ যদি আর্থ্রাইটিস এর মত রোগে ভুগে থাকেন তাহলে অবশ্যই সেটার চিকিৎসা গ্রহণ করবেন। তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে আমরা এখানে আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী আর্থ্রাইটিস এর ওষুধ সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি এই রোগ কি ধরনের রোগ এবং এ ধরনের রোগ হলে কি ধরনের লক্ষণ দেখা যায় সে প্রসঙ্গে আলোচনা করব। দৈনন্দিন জীবনের সুস্থ থাকতে হলে আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম অথবা অনুশীলন করতে হবে। সেই সাথে পরিমিত আকারে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে এবং আমিষ জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। তাই যদি সুস্থ থাকতে চান তাহলে নির্দিষ্ট একটা জীবন ব্যবস্থা অনুসরণ করুন যেটার মাধ্যমে আপনার শারীরিক সুস্থতা অনুভব করা সহজ হবে।
সর্বপ্রথমে আপনাদের উদ্দেশ্যে আলোচনা করব আর্থ্রাইটিস আসলে কি ধরনের অসুখ। এটা হল অস্থি সংক্রান্ত এক ধরনের অসুখ যেটার মাধ্যমে অস্থিতে ব্যথার সৃষ্টি হয়। যদি আপনি ব্যায়াম করে থাকেন অথবা জিমে গিয়ে কোন ধরনের এক্সারসাইজ করে থাকেন তাহলে সেটার কারণে যেমন এটা হতে পারে তেমনি ভাবে বয়সের ভারে শরীর নুয়ে পড়ার কারণে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। সাধারণত অনেক মানুষ রয়েছেন যারা ঘুম থেকে ওঠার পরে শরীরের জয়েন্টে জয়েন্টে এই ব্যথাগুলো অনুভব করেন।
বিশেষ করে কোন একটা জায়গায় বসে গল্প করছেন এবং দীর্ঘ সময় গল্প করার পর যখন উঠতে যাচ্ছেন তখন দেখা যাচ্ছে যে শরীরের অস্থিসন্ধিতে কড়মড় করে শব্দ হচ্ছে এবং ব্যথা হওয়ার কারণে আপনার চলতে ফিরতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। তাই ঘুম থেকে ওঠার পরে অথবা নির্দিষ্ট একটা জায়গাতে যখন অস্থিগুলো একত্রিত থাকছে তখন এটা পরবর্তীতে ব্যবহারের ফলে সমস্যা গুলো দেখা দিচ্ছে। অনেক সময় এই রোগের কারণে অস্থির সন্ধি ফুলে যাওয়ার পাশাপাশি জড়তা দেখা দিতে পারে।
তবে এই রোগ কাদের হয় সে প্রসঙ্গে যদি জানতে চান তাহলে বলব যে যে সকল ব্যক্তির বয়স 65 এর বেশি তাদের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা সবচাইতে বেশি। শারীরিক পুষ্টি যদি না থাকে অথবা শরীরের যদি প্রয়োজনীয় উপাদান না থাকে তাহলে অনেক সময় অল্প বয়সেও এরাও হতে পারে। পুরুষদের ক্ষেত্রে ৬৫ বছর বয়স হয়ে থাকলেও নারীদের ক্ষেত্রে ৪৫ বছর বয়সেই এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি কোনভাবে শরীরের কোন অংশে আঘাত লাগে এবং অস্থির সন্ধিতে এই আঘাত যদি তীব্রত হয়ে থাকে তাহলে আস্তে আস্তে সেটা আর্থ্রাইটিসে পরিণত হয়ে যাবে।
তাই সকল ক্ষেত্রে আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি মেনে চলতে হবে এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা যদি অবলম্বন করতে পারি তাহলে সবচাইতে ভালো হয়। শরীরের ওজন যদি আমরা নিয়ন্ত্রণ করে চলতে পারি তাহলে এই রোগ থেকে বেঁচে ফেরা অনেকটাই সহজ। শারীরিকভাবে সুস্থ মানুষ অনেক সময় শরীরের ওজন বেশি হওয়ার কারণে সকল ভার তার হাঁটুতে পড়ে এবং হাঁটুর অস্থিসন্ধিতে তখন ব্যথার সৃষ্টি হয়। তাই শারীরিক ওজন যেন পায়ের উপরে চাপ না পরে সে বিষয়টা মাথায় রাখার উদ্দেশ্যে আপনাদেরকে ওজন নিয়ন্ত্রণ করে চলতে হবে।
এটা অনেক সময় বংশপরম্পরায় হতে থাকে। তাই আপনাদেরকে এ ধরনের রোগ নিশ্চিতভাবে হয়েছে কিনা সে বিষয়ে জানার জন্য এক্সরে অথবা জয়েন্ট এসপিরেশন এর মত কিছু টেস্ট করা লাগতে পারে। রোগের লক্ষণ অথবা ইতিহাস অনুযায়ী অথবা টেস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী এই রোগ যখন শনাক্তকরণ করা যাবে তখন আপনারা নিশ্চিতভাবে এই রোগ সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে পারবেন। তাই শারীরিক তৎপরতা বাড়াতে হবে এবং শরীরের ভেতরে যাতে জড়তা না আসে তার জন্য প্রত্যেকটি কাজে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।
যদি ব্যায়াম করার অভ্যাস থেকে থাকে তাহলে ভারী ব্যায়াম না করে হালকা ব্যায়াম করতে হবে। মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে এবং এক্ষেত্রে আপনারা মেডিটেশন করতে পারেন। শরীরের জয়েন্ট গুলোতে যাতে কোন ধরনের জরতা না আসে তার জন্য হালকাভাবে এগুলো যদি আপনারা কিছুটা নাড়াতে চড়াতে পারেন এবং নিয়মমাফিক এটা করতে পারেন তাহলে অনেক ভালো হবে।
ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়ার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। নিয়মিত দুধ খেতে পারলে হাড়ের এই সমস্যাগুলো সমাধান হবে। এছাড়াও আপনারা ডাক্তারের চিকিৎসা গ্রহণ করে এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।