গেটে বাতের ঔষধ

গেটে বা অথবা গিঁটে গিঁটে বাত যাদের হয়ে থাকছে তারা এই সমস্যা প্রতিনিয়ত ভোগ করছেন এবং কষ্টে কষ্টদায়ক চিৎকার করছেন। তাই কারো যদি কেটে বাদ হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই সেটা আপনাদেরকে ওষুধ সেবন করে সমস্যার সমাধান করতে হবে। অনেক সময় শরীরের অতিরিক্ত ওজন থাকার কারণে শরীরের ভার বিভিন্ন জয়েন্টে জয়েন্টে পড়ছে এবং এই থেকে বাতের ব্যথা সৃষ্টি হচ্ছে। তাই ওজন যদি বেশি হয়ে থাকে তাহলে ওষুধ খাওয়ার চাইতে সর্বপ্রথমে ওজন কমানোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে।

সাধারণত ওজন বেশি হয়ে থাকলে সেটা আপনারা বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করে কমিয়ে ফেলতে পারেন। হাতুড়ে ডাক্তার দিয়ে প্রতিনিয়ত ব্যথা নাশক ওষুধ কে সেটা কিডনির উপরে প্রভাব না পেলে আপনারা যদি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে পারেন তাহলে খুব ভালো হবে।

গেটে বাতের হোমিও চিকিৎসা

গেটে বাতের বিভিন্ন ধরনের হোমিও চিকিৎসা রয়েছে এবং এক্ষেত্রে আপনারা বিভিন্ন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেলে আশা করি সমস্যার সমাধান পাবেন। তবে ওজন যদি বেশি হয়ে থাকে তাহলে ওষুধ খেয়ে খুব একটা লাভবান হতে পারবেন না। প্রকৃতপক্ষে হোমিওপ্যাথি ওষুধের ক্ষেত্রে নাম প্রদান করা হয় না অথবা এই ওষুধের নাম কাস্টমারকে দেওয়া হয় না বলে আপনাদেরকে তা জানাতে পারছি না।

গেটে বাত কেন হয়

যারা জানতে চেয়েছেন গেটে বাত কেন হয় তাদের উদ্দেশ্যে আমরা এখানে এই বিষয়গুলো উপস্থাপন করব এবং এ বিষয়গুলো যখন আপনারা বুঝতে পারবেন তখন আশা করি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবেন। আমরা যদি এটা সায়েন্সের ভাষায় আলোচনা করি তাহলে বলবো যে গেটে বাত হলো এক ধরনের সিনড্রোম। অর্থাৎ এটা শরীরে লবণ দানার জমে জোড়া ব্যথার সৃষ্টি করে। যখন শরীরে রক্তের প্লাজ নাই অতিরিক্ত পরিমাণে ইউরিক এসিডের উপস্থিতি ঘটবে তখন এই ধরনের গেটে বাতের সমস্যাগুলো একজন মানুষের শরীরে দেখা দিবে।

গেটে বাদ যখন মানুষের হয় তখন স্বল্পকালীন তীব্র ব্যথা যেমন হয়ে থাকে তা এমনিভাবে দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ হতে পারে। আবার শরীরে যদি এই ইউরেট লবণ বৃদ্ধি পেয়ে যায় তা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ বিভিন্ন রকমের থাকতে পারে। একজন মানুষের পারিপার্শ্বিক পরিবেশ থেকে শুরু করে তার খাদ্যাভ্যাসের কারণেও এই ইউরেট লবণ বৃদ্ধি পেতে পারেন। যদি জন্মগত ত্রুটি থাকে অথবা জেনেটিক কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে গেটে বা হতে পারে। তাই এখানকার আলোচনার ভিত্তিতে আমরা গেটেবাদ সম্পর্কে জানতে পারলাম এবং এ প্রসঙ্গে যদি আপনাদের আরো কোন প্রশ্ন থেকে থাকে আমাদেরকে জানাতে পারেন।

গেটে বাতের ঘরোয়া চিকিৎসা

যদি কোন ব্যক্তির গেটে বাত হয়ে থাকে তাহলে সেই ব্যক্তি ঘরোয়া চিকিৎসা গ্রহণ করার জন্য নির্দিষ্ট খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করার পাশাপাশি সব সময় হাত পায়ের দিকে নজর দিতে হবে। জীবনে চলাফেরা করার ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রতিটি প্রতিকূল পরিবেশে সংযত মনোভাব পোষণ করার পাশাপাশি ঠিকঠাক মতো সচেতনতার সঙ্গে চলতে হবে। কারণ এতে যদি একজন রোগীর শরীরে আঘাত লাগে এবং হাতপায়ে আঘাত লাগে তাহলে দেখা যাবে যে সেটার কারণে তীব্রতা অথবা রোগের ব্যথা প্রচন্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে।

তাই কেটে বাদ যদি কারো হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসার প্রতিকার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। শরীরের ওজন যদি অতিরিক্ত হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ওজন কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে অথবা খাদ্যাভ্যাস এর ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে হবে। যদি ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্রাথমিক চিকিৎসা পেতে চান তাহলে আক্রান্ত যে জয়েন্ট রয়েছে সেখানে বরফ লাগাতে পারেন এবং সেই স্থানটি ইসলামের রাখতে পারেন। ব্যথা নাশক ওষুধ খেয়ে আপনারা কিছুটা শান্তি পেয়ে থাকলেও এটা কন্টিনিউ করা উচিত নয়।

সকল ধরনের অ্যালকোহল বা ধূমপান জাতীয় বিষয়গুলো হারিয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করবেন যাতে করে কোন ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আপনার শরীরে অন্য কোন রোগের সৃষ্টি না করে।যদি প্রয়োজন হয় তাহলে এই রোগের জন্য রিহ্যাবিলিটেশন ও physical থেরাপি লাগতে পারে। পেজে কোন ধরনের অসুখ হয়ে থাকলে সে বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ করে অসুখ গুলো সারানোর চেষ্টা করতে হবে।

Leave a Comment