মেট্রোরেল সম্প্রতি চালু হওয়া এমন একটি প্রকল্প যা বাংলাদেশের বহুদিনের স্বপ্ন ছিল। বিশ্বের কাছে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর জন্য মেট্রোরেল চালু হওয়াটা ছিল অত্যন্ত জরুরি এবং আমরা বাঙালি হিসেবে কতটা পরিশ্রম এবং আমাদের স্বপ্ন কতটা বড় সেটা এর মাধ্যমে আমরা তুলে ধরতে পারি। প্রত্যেকটি নাগরিকের অধিকার আছে নিজের দেশের এই ধরনের বড় প্রাপ্তি নিয়ে গর্ব করার এবং আপনিও যদি তাদের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন তাহলে মেট্রোরেল নিয়ে অবশ্যই আপনি গর্ব করতে পারেন। আর যেহেতু এটা আমাদের অনেক বড় একটি পাওয়া তাই এটা নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের লেখালেখি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের কম্পিটিশন হওয়াটা অত্যন্ত জরুরী।
বিশেষ করে যারা পরবর্তী প্রজন্ম রয়েছে তাদের মধ্যে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি অর্জন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে এখন পর্যন্ত যত বড় বড় অর্জন আছে সেগুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়াটা আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্কুল বা বিভিন্ন জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন কম্পিটিশনে মেট্রোরেল সম্পর্কে বিভিন্ন অনুচ্ছেদ নিয়ে লেখালেখি হচ্ছে। মেট্রোরে নিয়ে অনুচ্ছেদ লেখার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে মেট্রো রেল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে এবং এই প্রকল্পের খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে যখন কারো মাথায় সব তথ্য থাকবে সে তখন একেবারে স্বাধীনভাবে মেট্রোরেল সম্পর্কে খুব সুন্দর সুন্দর কথা লিখতে পারবে।
মেট্রোরেল বাংলা অনুচ্ছেদ সম্পর্কে বলতে গেলে বলতে হয় যে বাংলাদেশ এমন একটি ছোট দেশ যেই দেশের জনসংখ্যার ভারত্ব দিন দিন বাড়তেই থাকছে কিন্তু পাশাপাশি মানুষের স্বপ্ন দিন দিন বড় হচ্ছে। দেশের উন্নয়নের জন্য দেশের রাজধানী ঢাকাকে সবথেকে গুরুত্ব দেওয়া হয় কিন্তু সেখানে সবথেকে বড় সমস্যা হচ্ছে যানজটের সমস্যা। মনে করা হয় যানজটের সমস্যা সমাধান করলে বাঙালি জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে আর সেটা সমস্যার সমাধান করার জন্য মেট্রোরেল হচ্ছে প্রথম পদক্ষেপ ইতিমধ্যে বাস্তবায়ন হয়ে গেছে। সম্পূর্ণ মেট্রোরেল ২০৩০ সালের মধ্যে কমপ্লিট হবে এতে করে ২০৩০ সালের পর থেকে ঢাকা শহরে আর কোন যানজট থাকবেনা আর তখন থেকেই যত দ্রুত গতিতে বাঙালি হিসেবে আমরা মাথা ছেড়ে উঠতে পারব আমাদের আর কেউ পেছনে ফিরে ধরে রাখতে।
মেট্রোরেল প্রকল্পে কত টাকা খরচ হয়েছে
মেট্রোরেল প্রকল্পের টাকা খরচের কথা যদি উল্লেখ করতে হয় তাহলে সাধারণত আপনাদের মাথায় একটা বিষয় বুঝিয়ে দেই সেটা হচ্ছে এটা হচ্ছে এক ধরনের বৈদ্যুতিক যান। প্রত্যেকটি জিনিস খুব নিখুঁতভাবে করা হয়েছে এবং প্রত্যেকটি জিনিসে দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ গুরুত্ব এবং সবার থেকে ব্যতিক্রম ধর্মী এই মেট্রোরেল প্রকল্পের মোট বাজেট ধরা হয়েছে 21985 কোটি 69 লাখ টাকা। এটা কার অর্থায়ন কোথায় থেকে হয়েছে সেই প্রসঙ্গে অনেকের মনে অনেক ধরনের প্রশ্ন থাকে।
এই প্রকল্পের বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জাইকা প্রদান করবে ৭৫% টাকা এবং বাকি টাকা প্রদান করবে সরকার। সরকারি অর্থায়নের মাধ্যমে বাদবাকি ২৫ পার্সেন্ট টাকা প্রদান করা হবে অর্থাৎ এখানে আমাদের অবদান অবশ্যই আছে।
মেট্রোরেলে মোট কয়টি স্টেশন আছে
মেট্রো রেল স্টেশনের সংখ্যা অনেক বেশি কিন্তু এখন পর্যন্ত যতটুকু চালু হয়েছে সেখানে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চলাচলকারী স্টেশনগুলো রয়েছে সেগুলোতে প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে হবে এবং এখানে 16 টি স্টেশন থাকবে। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত রয়েছে মোট নয়টি স্টেশন। প্রতিটি স্টেশনে যাত্রীদের ওঠা নামানোর কাজের জন্য ব্যস্ত থাকবে।
মেট্রো রেলের স্টেশনের নাম
মেট্রোরেলের বর্তমানে চালু হওয়া যে স্টেশনগুলো রয়েছে সেগুলোর নাম জানাটা অত্যন্ত জরুরী। এগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং আমরা যতটুকু জেনেছি মেট্রোরেলের যে স্টেশনগুলো চালু হয়েছে তার মধ্যে প্রথম পর্যায়ে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মোট ৯টি স্টেশন চালু হয়েছে। উত্তরা দক্ষিণ, উত্তরা সেন্টার, পল্লবী, আইটেমটি, মিরপুর ১০, ফার্মগেট, তালতলা, কাজীপাড়া, আগারগাঁও।