ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে অর্থাৎ শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ শিশুশ্রম সময়ের সাথে সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজকে আমরা আপনাদের উদ্দেশ্যে শিশুশ্রম সম্পর্কে একটি অনুচ্ছেদ রচনা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি। আপনারা যদি মনোযোগ সহকারে আমাদের আজকের এই প্রবন্ধটি পড়েন তাহলে এখানে শিশুশ্রম সম্পর্কে একটি সম্পূর্ণ অনুচ্ছেদ খুঁজে পাবেন যে অনুচ্ছেদে বিশেষ বিশেষ তথ্যগুলো উপস্থাপন করা হচ্ছে। অনেকেই তথ্যবহুল অনুচ্ছেদ খুঁজছেন কিন্তু কোন ওয়েবসাইটে তথ্যবহুল অনুচিত খুঁজে পাচ্ছেন না।
তাদের উদ্দেশ্যে বলছি আপনারা আমাদের প্রবন্ধটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে এখানে তথ্যবহুল একটি অনুচ্ছেদ খুঁজে পাবেন যেখানে বিশেষ কিছু তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। অনেকেই শিশুশ্রম সম্পর্কে অনুচ্ছেদ লেখার চেষ্টা করেন কিন্তু তথ্যবহুল কোন অনুচ্ছেদ কোন ওয়েবসাইটে খুঁজে পাওয়া যায় না। শুধুমাত্র আমাদেরই একমাত্র ওয়েবসাইটে যেখানে তথ্য ভুল অনুচ্ছেদ গুলো আপনি খুঁজে পাবেন।আর এছাড়া যদি আপনার আরো কোন তথ্যের প্রয়োজন হয় তাহলে আপনারা সরাসরি আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন
আমরা চেষ্টা করব সকল তথ্যগুলো একসাথে সংযুক্ত করে যাতে সবার আগে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়। প্রতিনিয়তই আমরা যে সকল তথ্যগুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি সেই সকল তথ্য পাবেন না শুধুমাত্র আমাদের ওয়েব সাইটে এসব তথ্য পাবেন। এজন্য প্রত্যেকের উচিত সবার আগে আমাদের অনুচ্ছেদ গুলো মনোযোগ সহকারে পড়া। আপনাদের যদি মনোযোগ সহকারে আমাদের অনুচ্ছেদ গুলো পড়েন তাহলে আপনাদের অন্য কোন ওয়েবসাইটে অতিরিক্ত সময় নষ্ট করার কোন প্রয়োজন হবে না আমাদের ওয়েবসাইটেই আপনার প্রয়োজন মত সকল কিছু খুঁজে পাবেন।
শিশু শ্রম
বর্তমানে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, ধনতান্ত্রিক, অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় শিশুশ্রম একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থ সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি করেছে। সার্বিক বিশ্লেষণে শিশুশ্রম বলতে শিশুদের শ্রমের সময় প্রত্যক্ষভাবে উৎপাদন কাজে এবং পরোক্ষভাবে গার্হস্থ শ্রমে ব্যয় করাকে বোঝানো হয়। আই এল ও এর হিসাব অনুযায়ী পৃথিবীতে শ্রমের নিযুক্ত রয়েছে প্রায় ২৪ কোটি ১৬ লক্ষ শিশু। এদের অনেকেরই দশ বছরের নিচে অবস্থান করছে। ১০ বছরের শিশুর সংখ্যা প্রায় ৭ কোটি ৩০ লক্ষ। বিশ্বের প্রতি ছয় জন শিশুর মধ্যে একজন শিশুশ্রমের সাথে সংযুক্ত।
বন্ধক, যৌন নিপীড়ন, সশস্ত্র সংঘাত প্রভৃতি ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত হচ্ছে। এ সকল শিশুরা বাংলাদেশের পরিসংখ্যান বিভাগ অনুযায়ী ২০০৮ সালের হিসাব অনুসারে দেশের শূন্য থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা প্রায় ৬ কোটি ৭৭ লক্ষের বেশি। এদের মধ্যে প্রায় ৩৫ লক্ষ শিশু নানাভাবে শিশু শ্রমের সাথে সংযুক্ত রয়েছে। কিন্তু ২০১১ সালের জরিপ অনুযায়ী ৪৫ লক্ষ শিশু নিষিদ্ধ শিশু শ্রমের সাথে যুক্ত রয়েছে ইটভাটা, ওয়ার্কশপ ও গ্যারেজে অনেক কিছুই কাজ করে থাকে অন্যের
বাড়িতে কাজ করা, হোটেল ও চায়স্থলে কাজ করা, শহরের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করা, অফিস আদালতে খাবার পৌঁছানো, বাস টেম্পোর, হেলপারি, কুলিগিরি অনেক কাজই শিশুরা করে আসছে। শিশুদের কাছ থেকে বিরত রাখতে ১৯৭৯ সালে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ ঘোষণা করে। এই ঘোষণায় ১৮ বছরের নিচে শিশুদেরকে মানব সন্তানকে শিশু হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। শিশু অধিকার সনদ ১৮৮৯ এর উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হলো:-
● সামাজিক নিরাপত্তা
● শিশু অধিকার বাস্তবায়ন
● পরিচয় সংরক্ষণ
● মত প্রকাশের স্বাধীনতা
● বৈষম্যহীনতা
● শিশু স্বাস্থ্যের প্রাধান্য
● অবৈধ স্থানান্তর রোদ
● অক্ষম ও উদ্বাস্তু শিশু
● সামাজিক পর্যালোচনা
● পিতা-মাতার সঙ্গে অবস্থানের অধিকার ইত্যাদি।
উন্নত বিশ্বের দেশগুলো এই সনদের বিষয়বস্তু অনুসরণ করলেও আমাদের দেশে এই বিষয়বস্তুগুলো পালন করা হচ্ছে না। আর এই জন্য আমাদের দেশে শিশু শ্রমের পরিমাণ দ্বীনের সাথে সাথে বেড়ে চলেছে। এভাবে যদি শিশুশ্রমের পরিমাণ বেড়ে চলে থাকে তাহলে একসময় আমরা অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারি। এজন্য আমাদের প্রত্যেককে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের আশেপাশে যে সকল শিশুরা শ্রমের সাথে সংযুক্ত অর্থাৎ শিশুশ্রম করছে তখন আমাদেরকে সহ্য হয়ে তাদেরকে শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তবে আমাদের দেশে শিশু শ্রম রোধ করা সম্ভব হবে এবং দেশটিকে একটি শুভ গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।