জাতীয় পতাকা সম্পর্কে অনুচ্ছেদ সকল শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় এসে থাকে। আর তাই শিক্ষার্থীরা এই অনুচ্ছেদটি অনেক জায়গায় খোঁজার জন্য সময় নষ্ট করে। তবে আপনাদের উদ্দেশ্যে বলছি যে আপনারা যারা নিয়মিত আমাদের প্রবন্ধ পড়েন তারা হয়তো জানেন যে আমরা আগে আপনাদেরকে জানিয়েছিলাম যে আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে একটি সম্পূর্ণ অনুচ্ছেদ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। আর আজকে সেদিন যেখানে আমরা জাতীয় পতাকা সম্পর্কে একটি সম্পূর্ণ অনুচ্ছেদ আপনার সামনে উপস্থাপন করছি। আপনারা যদি আমাদের প্রবন্ধ গুলো মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে এরকম আরো অনেক অনুচ্ছেদ পাবেন যে সকল অনুচ্ছেদ গুলো আপনাদের অনেক বেশি প্রয়োজন অনেক বেশি কার্যকরী।
প্রতিনিয়তই আমরা তথ্যবহুল বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করছি। আর সেদিকে বিবেচনা করে জাতীয় পতাকা অনুচ্ছেদটি আমরা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি। আপনারা মনোযোগ সহকারে আমাদের অনুচ্ছেদটি পড়বেন এবং এই অনুচ্ছেদটি আপনারা আপনাদের শিক্ষা ব্যবস্থার যে কোন পর্যায়ে ব্যবহার করতে পারেন। কেননা জাতীয় পতাকা সম্পর্কে যা কিছু জানা প্রয়োজন সকল কিছুই আমাদের এই অনুচ্ছেদের মধ্যে আপনারা পেয়ে যাবেন। আরও যদি কোন কিছু জানার প্রয়োজন হয় তাহলে আপনারা সরাসরি আমাদেরকে জানাতে পারেন আমরা চেষ্টা করব আপনাদের প্রয়োজনের কথা চিন্তা করে পরবর্তীতে সকল কিছু একই সাথে এগিয়ে নিয়ে যেতে।
:- একটি স্বাধীন জাতির মর্যাদা ও স্বকীয়তার প্রতীক জাতীয় পতাকা। একটি স্বাধীন দেশের সার্বভৌম প্রমাণ করতে জাতীয় পতাকার প্রয়োজন রয়েছে। একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম জাতি হিসেবে বাংলাদেশের ও নিজস্ব একটি জাতীয় পতাকা রয়েছে যেখানে লাখো শহীদের আত্মত্যাগ এবং রক্তকে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা এই জাতীয় পতাকাকে অর্জন করতে পেরেছি। জাতীয় পতাকার রং লাল এবং সবুজ। আমাদের জাতীয় পতাকা আয়তাকার যার মাঝখানে একটি লাল বৃত্ত রয়েছে।
এই আয়তাকার চিত্রে দুইটি গল্প শোনানো হয়েছে যেখানে দেখা যায় সম্পূর্ণ সবুজ ভূমির মাঝখানে একটি সবুজ ভূমিকে বোঝানো হয়। আমাদের দেশ যে একটি সবুজের পাহাড় সেটা এই পতাকার মধ্যেই প্রকাশ করা হয়। আর তার মাঝখানে লাল বিত্ত টি তারা বোঝানো হয় ১৯৭১ সালের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। ১৯৭১ সালে আমাদের দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ আত্ম ত্যাগ করেন। আর তাদের আত্মত্যাগী আমরা এই জাতীয় পতাকাকে পেয়েছি। আর সেজন্য আমাদের জাতীয় পতাকায় সবুজের মাঝে একটি দেখানো হয়েছে।
১৯৫২ সালে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বিধি প্রণীত হয়। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার দৈর্ঘ্য প্রস্থ এবং ব্যাসার্ধ অনুপাত ৫:৩:১। জাতীয় পতাকার বিভিন্ন মাপ রয়েছে। ভবনে ব্যবহার করতে হলে জাতীয় পতাকার মাপ হল ১০ ফুট × ৬ ফুট ৫ ফুট × ৩ ফুট ২.৫ ফুট × ১.৫ ফুট। এই মাপেই জাতীয় পতাকাকে উত্তোলন করতে হয়, আন্তর্জাতিক অধিপাকে অনুষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য টেবিল পতাকার মাপ হলো ১০ ইঞ্চি × 6 ইঞ্চি।
১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি সরকারিভাবে এই রূপরেখাটি গৃহীত হয়। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইন করেন পটুয়া কামরুল হাসান। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা প্রথম উত্তোলন করা হয় ১৯৭১ সালের দোসরা মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে বটতলার এক জনসভায় প্রথমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। আব্দুর রব এটি উত্তোলন করেন। এই কারণেই ১৯৭২ সালের মার্চকে জাতীয় পতাকা দিবস হিসেবে গৃহীত হয়। পরবর্তীতে প্রত্যেক বছরে আমরা মার্চ মাসের ২ তারিখে জাতীয় পতাকা দিয়ে দিবস হিসেবে পালন করে আসছি।
জাতীয় পতাকা অনুচ্ছেদ
সুপ্রিয় পাঠক মন্ডলী, আপনারা জাতীয় পতাকা অনুচ্ছেদ যারা চেয়েছিলেন তাদের জন্য উপরে জাতীয় পতাকা অনুচ্ছেদ উপস্থাপন করা হয়েছে। আপনারা জাতীয় পতাকা অনুচ্ছেদটি দেখতে পাচ্ছেন এখানে সকল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। আপনাদের পছন্দ মতো সকল তথ্য এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। আপনারা চাইলে এই তথ্যগুলো ব্যবহার করতে পারেন যে কোন জায়গায় যেকোনো সময় যেকোনো মুহূর্তে এই তথ্য উপস্থাপন করতে পারবেন। আপনারা যদি মনে করে থাকেন এই অনুচ্ছেদটি সংগ্রহ করতে চান তাহলে যেকোনো সময় এটি সংগ্রহ করে আপনাদের সংগ্রহশালা রেখে দিতে পারেন।