নারীর ক্ষমতায়ন অনুচ্ছেদ

সুপ্রিয় শিক্ষার্থী মন্ডলী, তোমাদের সকলের উদ্দেশ্যে আমরা আজকে যেই প্রবন্ধটি উপস্থাপন করতে যাচ্ছি এই প্রবন্ধের মাধ্যমে তোমরা নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ক একটি সম্পূর্ণ অনুচ্ছেদ পেতে যাচ্ছো। এই অনুচ্ছেদটি তোমরা যে কোন শিক্ষা ব্যবস্থায় অর্থাৎ যে কোন পরীক্ষায় তোমরা এটি ব্যবহার করতে পারবে। যে কোন পরীক্ষায় যদি তুমি এটি ব্যবহার করো তাহলে সেখান থেকে ভালো কিছু ফিডব্যাক তোমরা পাবে। কেননা এই প্রবন্ধটি অন্য কোন ওয়েবসাইটে তোমরা কখনই পাবে না। এই প্রবন্ধের যে সকল তথ্যগুলো উল্লেখ করা হবে সেই সকল তথ্যগুলো শুধুমাত্র আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই তোমাদের সামনে উপস্থাপন করা হবে। অন্য কোন মাধ্যমে তোমরা এটা পাবা না। নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে অনেকেই অনেক কথা বলে গেছেন।

নারীর ক্ষমতায়ন হলো নারী ক্ষমতায়নের প্রক্রিয়া ক্ষমতায়নকে বিভিন্ন উপায়ে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে। কিন্তু নারীর ক্ষমতায়ন বলতে ক্ষমতায়নের অর্থ সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ার বাইরের মানুষের এক একে গ্রহণ করা এবং তাদের অনুমতি দেওয়া কে বোঝায়।

আজকে আমরা এই প্রবন্ধের মাধ্যমে তোমরা তাদেরকে নারীর ক্ষমতায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো উপস্থাপন করার চেষ্টা করব। তোমরা যদি আমাদের প্রবন্ধ গুলো মনোযোগ সহকারে পড়ো তাহলে এখানে নারীর ক্ষমতায়ন সম্পর্কিত একটি সম্পূর্ণ অনুচ্ছেদ পেয়ে যাবে। নিচে তোমাদের প্রয়োজনের কথা চিন্তা করে সেই অনুচ্ছেদটি উপস্থাপন করা হয়েছে। তোমরা মনোযোগ সহকারে প্রবন্ধটি পড়বে এবং চাইলে এখান থেকে তথ্যগুলো সংগ্রহ করে তোমরা যে কোন অনুচ্ছেদ লিখতে পারবে। এই অনুচ্ছেটি তোমরা যে কোন পরীক্ষায় উপস্থাপন করতে পারবে।

নারীর ক্ষমতায়ন

নারী ক্ষমতায়ন হলো নারী ক্ষমতায়নের প্রক্রিয়া, নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, নারীদের নিয়ন্ত্রণের অধিকার ভোগ করার ক্ষমতা এবং সম্পদ আই এবং তাদের নিজস্ব সময়ের সাথে উপকার লাভ করার সাথে সমস্যা পরিচালনা এবং তাদের অর্থনৈতিক অবস্থান তথা সুস্থতার উন্নতি করার ক্ষমতাকে বোঝায়। নারীর ক্ষমতায়নের সাথে সাথে একটি দেশের আর্থ সামাজিক সকল কিছুর উন্নয়ন সাধন করা সম্ভব। কোন দেশের নারীর ক্ষমতায়ন যদি সঠিকভাবে সম্পন্ন করা না হয় তাহলে সে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের সাধন করা সম্ভব হয় না।

১৯৭২ সালের নবগঠিত রাষ্ট্র বাংলাদেশের সংবিধানে নারী অধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করার বিধান সন্নিবেশিত হয়েছে। সংবিধানে ২৭ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান ও আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। ১৯৭৩ সালে দুজন নারীকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৯৭৪ সালে নারীকে প্রথম বাংলা একাডেমির পরিচালক নিয়োগ করা হয়। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৮ টি আসনে ২৭ জন নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তারপরে একমাত্র নারী-প্রার্থী হিসেবে দুই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভায় দুইজন পূর্ণ মন্ত্রী এবং তিনজন প্রতিমন্ত্রীসহ মোট নারী মন্ত্রী সংখ্যা রয়েছে। পাঁচ জন নির্বাচনে ১৯ টি আসনে আঠারো জন নারী এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।

১৯৯৭ সালের ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে অন্যতম বড় ভূমিকা পালন করেছে। এ নীতিমালা জাতীয় স্থানীয় ও পারিবারিক পর্যায়ে নারীসুকে মূলধারায় নিয়ে আসতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। নারী ক্ষমতায়নের জন্য আমাদের দেশের সরকার অনেক কাজ করে যাচ্ছে। আমরা ধারণা করি যে একটা সময় নারী ক্ষমতায়নের যে ধারাটি অব্যাহত রয়েছে সে ধারাটি অব্যাহত থাকবে এবং নারীরা তাদের নিজেদের আত্মসামাজিক উন্নয়নে অনেক বেশি কাজ করতে পারবে। আর এভাবেই আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।

সম্মানিত শিক্ষার্থীবৃন্দ, আপনাদের জন্য এই প্রবন্ধটি উল্লেখ করা হয়েছে আপনারা চাইলে এই প্রবন্ধটি সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন। পরবর্তীতে যেকোনো সময় আপনারা এই প্রবন্ধটি আপনাদের শিক্ষাজীবনে ব্যবহার করতে পারবেন। আপনি যদি আরো কোন তথ্য আমাদের কাছ থেকে পেতে চান তাহলে আমাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করুন। আমরা চেষ্টা করব সকল ধরনের তথ্য গুলো আপনাদেরকে সবার আগে যাতে পৌঁছে দেওয়া সক্ষম হয়। অনেকেই আমাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করছে এবং তারা তাদের সমস্যাগুলো নিয়ে আমাদের সাথে আলোচনা করছে।

Leave a Comment