অনুচ্ছেদ একুশে বইমেলা

আমাদের দেশের অহংকার একুশে বইমেলা। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বইমেলা হলো একুশে বইমেলা। আজকে আমরা এই একুশে বইমেলা সম্পর্কে একটি অনুচ্ছেদ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি। আপনারা অনেকেই জানেন যে অনুচ্ছেদ এখন প্রত্যেকটি শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের সিলেবাসের সংযুক্ত করা হয়েছে। আর তাই শিক্ষার্থীরা অনেক জায়গায় অনুচ্ছেদ খুজছে কিন্তু কোথাও নিজেকে পছন্দ মতো তথ্যবহুল অনুচ্ছেদ কথা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই আমরা চেষ্টা করছি পছন্দ মতো এবং তথ্যবহুল অনুচ্ছেদ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা।

আমরা প্রতিনিয়তই তথ্যবহুল বিষয়গুলো নিয়ে আপনাদের সামনে আলোচনা করে থাকি। আর আজকেও তথ্যবহুল একটি অনুচ্ছেদ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি। অনেকেই এই সকল অনুচ্ছেদ গুলো পাওয়ার অপেক্ষায় অপেক্ষারত ছিলেন। আপনাদের অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়েছে। কেননা আজকে আমরা একটি সম্পূর্ণ অনুচ্ছেদ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব এই অনুচ্ছেদটি আপনাদের অনেক বেশি কাজে আসবে।

যদি আপনাদের কাজে আসে তাহলে আমাদের সকল কার্যক্রম গুলো সফলতা লাভ করবে। এজন্য সকলের কাছে অনুরোধ থাকবে আপনারা মনোযোগ সহকারে অনুষ্ঠিত করবেন যাতে আমাদের কার্যক্রম গুলো আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা উদ্বুদ্ধ হয়ে আপনাদের চাওয়া আপনাদের পাওয়া সকল কিছুই আমাদের কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই আপনারাও অনেক গুরুত্বের সাথে আমাদের অনুচ্ছেদ গুলো পড়বেন এবং আপনাদের মন্তব্য গুলো আমাদের কাছে জানাবেন। তাহলে আমরা বুঝতে পারবো আপনারা কি চাচ্ছেন এবং পরবর্তীতে কোন কোন বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা যেতে পারে।

:- ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে পেয়েছি। আর এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলা একাডেমীর প্রাঙ্গনে এই মাসকে এই দিনকে এই অর্জনকে মনে রাখতে একুশে বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবছর পুরো ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে এই মেলা বাংলা একাডেমির বর্ধমান হাউস ঘিরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে সীমিত জায়গা থাকায় নিরসনকল্পে বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলার পরিষদ বানানো হয়েছে।

১৯৭২ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি তারিখে চিত্তরঞ্জন সাহা, বর্ধমান হাউস প্রাঙ্গনে বটতলায় চটের উপর কলকাতা থেকে আনা ৩২ টি বই সাজিয়ে একুশে বইমেলার গোড়াপত্তন শুরু করেন। তারপরে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত তিনি একাই এটি চালিয়ে গেছেন। পরবর্তীতে ১৯৮৪ সালে বর্তমানে একুশে বইমেলা সূচনা শুরু হয়। কালক্রমে এটি আরো বড় করে পরিসর অর্জন করেছে। বাংলা একাডেমি চত্বর সংকলন না হয় ২০১৪ সাল থেকে বইমেলা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিন থেকে একুশে বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়।

তবে বর্তমানে পুরো ফেব্রুয়ারি মাসে এই বইমেলা চলে আসছে। বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় মেলা নিয়ন্ত্রণের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করে আসছে। প্রকাশনী সমূহের স্থল গুলো প্রকাশ, এলাকা প্রকাশক বিক্রেতা, এলাকা শিল্পকন্যার সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং লিটল ম্যাগাজিন ইত্যাদি এলাকায় বিভাজন করে স্থান দেওয়া হয়েছে।
মেলায় প্রবেশের জন্য কোন প্রবেশ মূল্য ধার্য করা হয় না

এটি সম্পূর্ণরূপে উন্মুক্ত যে কেউ যেকোনো সময় এই মেলায় প্রবেশ করতে পারে যে কেউ যেকোনো সময় এই মেলা থেকে বের হয়ে আসতে পারে। মেলা চলাকালীন প্রতিদিনই মেলাতে বিভিন্ন আলোচনা সভা, কবিতা পাঠের আসর বসে। অতি সন্ধ্যায় থাকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আর এভাবেই এই মেলা আমাদের দেশের লেখক প্রকাশক সকলে মিলে একটি আনন্দমেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। বর্তমানে অমর একুশে গ্রন্থমেলা বাঙালি সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

একুশে বইমেলা অনুচ্ছেদ

একুশে বইমেলা অনুচ্ছেদ সম্পর্কে আপনার যদি আরো কিছু জানার প্রয়োজন হয় তাহলে আপনি আমাদের মাঝখান থেকে জেনে নিতে পারবেন। আমরা আরো অনেক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করছি। একুশে বইমেলা সহ আরো অনেক অনুচ্ছেদ আমাদের প্রবন্ধের মাধ্যমে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে সে সকল অনুচ্ছেদ গুলো আপনার মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবং আপনাদের মন্তব্য গুলো আমাদেরকে জানাবেন। আপনারা যদি আপনাদের নিজেদের মন্তব্য গুলো আমাদেরকে জানান তাহলে আমরা বুঝতে পারবো যে পরবর্তীতে কোন কোন অনুচ্ছেদ নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।

Leave a Comment