বেনারসি শাড়ি আমাদের দেশের অনেক বেশি সুপরিচিত শাড়ি। এই শাড়ি অনেকেই কিনতে চান। অনেকেই বিভিন্ন মাধ্যম থেকে এই শাড়ি কেনার চেষ্টা করেন। কিন্তু কোন জায়গাতেই বেনারসি শাড়ির ভালো কোন ছবি খুঁজে পাওয়া যায় না। বেনারসি শাড়ি আমাদের দেশের অনেক বেশি সুপরিচিত হলেও দেশের সব অঞ্চলে বেনারসি শাড়ি পাওয়া যায় না। বেনারসি শাড়ি মূলত দেশের নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে পাওয়া যায়। বেনারসি শাড়ি সম্পর্কে আজকে আমরা একটি সম্পূর্ণ প্রবন্ধ সাজিয়েছি। যেখানে আমাদের দেশের কোন কোন অঞ্চলে বেনারসি শাড়ি পাওয়া যায় বা সেই সকল শাড়িগুলো দাম কেমন কোথা থেকে এগুলো আমদানির বা রপ্তানি করা হয়।
সবগুলো তথ্য আপনাদেরকে আমরা জানাবো। আমাদের এই প্রবন্ধটি যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন। তাহলে এখানে বেনারসি শাড়ি সম্পর্কে আপনাদেরকে বিস্তারিত সকল তথ্যগুলো জানিয়ে দেওয়া হবে। যে সকল তথ্যগুলো আপনারা অনেক আগে থেকেই জানার চেষ্টা করছেন কিন্তু কোন মাধ্যমে আপনারা জানতে পারছেন না। আপনি কখনোই হতাশ হবেন না। কেননা আপনি আমাদের প্রবন্ধের পাঠক। আমাদের যারা পাঠক তারা কখনোই হতাশাগ্রস্ত হন না। কেননা তাদেরকে আমরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন তথ্য গুলো জানিয়ে দেই।
সবার আগে সকল তথ্যগুলো জানার জন্য আপনাকে অবশ্যই আমাদের প্রবন্ধে আসতে হবে এবং আমাদের প্রবন্ধগুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। আমাদের প্রবন্ধ গুলো যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে এখানে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় এবং পছন্দমত সকল তথ্যগুলো পেয়ে যাবেন। বেনারসি শাড়ি মূলত নতুন বউদের জন্য বেশি ক্রয় করা হয়। অনেক নারীরই জীবনে স্বপ্ন থাকে যে বিয়ের সময় বেনারসি শাড়ি পরবে। আপনিও হয়তো স্বপ্ন দেখছেন বিয়ের সময় বেনারসি শাড়ি পরার তাই এই ছবিগুলো আপনার জন্য সাজানো।
বেনারসি শাড়ির পিক
উপরে যে সকল বেনারসি শাড়ির পিকচার গুলো দেখছেন। এই সকল পিকচার গুলো বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। আমাদের দেশের যেসব অঞ্চলে বেনারসি শাড়ি সব থেকে বেশি পাওয়া যায়। সে সকল অঞ্চল থেকে এই সকল ছবিগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে। আমরা আপনাদেরকে যে ছবিগুলো দেখাই সেই ছবিগুলো অন্য কোন ওয়েবসাইটে পাবেন না। আপনি কি জানেন বেনারসি শাড়ির উৎপত্তি কোথা থেকে? বেনারসি শাড়ি মূলত মুঘল সাম্রাজ্যের সময় থেকে পাওয়া যায়। মুঘল সাম্রাজ্যো ভারতে প্রবর্তিত হয়েছিল। ভারতের উত্তরপ্রদেশে এর বেনারস শহরের নামে এই শাড়ির নাম করা হয়েছিল। বেনারসি শাড়ি এই শাড়ি দুটি তৈরি কৌশল রয়েছে। একটি হলো ফেকওয়ান এবং আরটি হল কাধোয়া।
কাধোয়া হলো হাতে চালিত তাতে তৈরি আর আরেকটি ফেক ওয়ান হল মেশিনের দ্বারা তৈরি। কাধোয়া শাড়ি তৈরি করতে প্রায় এক মাস সময় লাগে। দুই থেকে দুই তিন জন লোক একটি শাড়ি তৈরি করতে কাজ করেন। একটি বেনারসি শাড়ি চিনতে হলে আপনাকে একটি শাড়ি হাতে নিয়ে প্রথমত দেখতে হবে শাড়িটি কতটা মোলায়েম। শাড়ির কাপড় যত মোলায়েম হবে শাড়িটির নকল হওয়া সম্ভব না ততটাই কম হবে। এক একটি শাড়ি একেকরকম হতে পারে। তবে যে শাড়িটি যত বেশি মোলায়েম। সেই শাড়ি ততটাই খাঁটি। আসল বেনারসি দুই পাশের ঘন ছুতোর কাজী মোলায়েম হবে। কিন্তু নকল শাড়িতে খসখসে থাকে এবং ঘন সুতোর কাজ থাকে না। আসল বেনারসি এতটাই মোলায়েম হয়। যে শাড়ি আপনি একটি আংটির মধ্যে দিয়ে সহজে প্রবেশ করাতে পারবেন যা আপনি নকল শাড়িতে পারবেন না।
বেনারসি শাড়ির পরিচয়
আপনাদের জন্য এখানে বেনারসি শাড়ির একটি বিস্তারিত পরিচয় জানানো হয়েছে। আপনাদেরকে জানানো হয়েছে যে বেনারসি শাড়ি মূলত মুঘল সাম্রাজ্য থেকে এসেছে। মুঘল সম্রাট সে অঞ্চলের নাম অনুসারে এই শাড়িটির নামকরণ করেছিলেন। বেনারস এলাকার নাম অনুসারে এই শাড়িটির নাম করা হয়েছে বেনারসি শাড়ি। এই শাড়ি সম্পর্কে আরো অনেক তথ্য রয়েছে সকল তথ্যগুলো জানতে হলে পরবর্তী প্রবন্ধ গুলো আপনাদেরকে অবশ্যই পড়তে হবে।