চা উৎপাদনে আমাদের দেশের অনেক নাম ডাক রয়েছে। তবে আপনি কি জানেন আমাদের দেশ যা উৎপাদনে সমগ্র বিশ্বের মধ্যে কততম অবস্থানে অবস্থান করছে? আপনি যদি এটা জানতে চান তাহলে এই প্রবন্ধটি অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। প্রতিটি জিনিসের উপরেই বৈশ্বিক হিসাব করা হয়। বৈশ্বিকভাবে কোন দেশ কততম অবস্থানে অবস্থান করে সেটা হিসাব করা হয়। ঠিক তেমনি ভাবে চা উৎপাদনে একটি দেশ কততম অবস্থানে অবস্থান করছে সেটাও নির্বাচন করা হয়। আজকে আমরা আমাদের প্রবন্ধের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো চা উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে কততম অবস্থায় অবস্থান করছে।
আমাদের দেশ থেকে সারা বছরই বিপুল পরিমাণে চা উৎপাদিত হয়। বিভিন্ন দেশে পৌঁছে যাচ্ছে এবং সেখান থেকে আমরা বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছি। দেশের উত্তর জনপদের পঞ্চগড় জেলায় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন দিগন্ত সূচনা শুরু করেছে। চট্টগ্রাম ও সিলেটের পর পঞ্চগড় অন্যতম চা অঞ্চল হিসেবে। এরই মধ্যে সমগ্র দেশ ব্যাপি বিশেষ পরিচিতি লাভ করেছে। পঞ্চগড় ইতিমধ্যে আমাদের দেশের তৃতীয় চাঞ্চল হিসেবে বিশেষ পরিচিতি লাভ করেছে। এক সময় পতিত গোচারণ ভূমি ও দেশের সবচেয়ে অনুন্নত জেলা এখন চায়ের সবুজ পাতায় ভরে গেছে। সমগ্র অঞ্চল জুড়ে বিপুলসংখ্যক চা পাতা আহরণ করা হয়।
চা বোর্ড সূত্র থেকে জানা গেছে যে, ২০২৪ সালের মধ্যে চায়ের উৎপাদন ১০০ মিলিয়ন কেজিতে উন্নীত করা হয়েছে। যার জন্য ব্যয় করা হয়েছে প্রায় ৭৬১ কোটি টাকা। এই প্রজেক্টটি যদি সম্পূর্ণ করা যায় তাহলে আমরা বিশ্বের কাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে পারব।
চা উৎপাদনে বাংলাদেশের বৈশ্বিক অবস্থান
সমগ্র বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ চা উৎপাদনে দশম স্থানে অবস্থান করছে। আপনারা যদি আমাদের এই প্রবন্ধের নিচে যেই তালিকাটি উল্লেখ করা হয়েছে সে তালিকাটি পড়েন তাহলে সেখানে দেখবেন যে আমরা এখানে দশটি দেশের তালিকা উল্লেখ করেছি। যে দশটি দেশ বিশ্বে সবচেয়ে উঁচু স্থানে অবস্থান করছে সেই দশটি দেশের তালিকা আমরা উল্লেখ করেছি।
আপনারা এখানে দেখতে পাচ্ছেন যে, চা উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের দশমিয় স্থানে অবস্থান করছে। এর আগে আরো নয়টি দেশ রয়েছে। যেমন: প্রথম স্থান অবস্থান করছে চায়না, দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইন্ডিয়া, তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে কেনিয়া, চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম, ষষ্ঠ অবস্থায় রয়েছে টার্কি, সপ্তম অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, অষ্টম অবস্থানে রয়েছে মায়ানমার, নবম অবস্থানে রয়েছে ইরান এবং দশম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। এই দশটি দেশ বর্তমানে বিশ্বের চা উৎপাদনে শীর্ষে অবস্থান করছে।
আমাদের দেশ অনেক আগে থেকেই চা উৎপাদন করে আসছে। তবে মাঝখানে বৈশ্বিক অবস্থার দুরবস্থার কারণে চা উৎপাদনে অনেক বেশি পিছিয়ে পড়েছিল। আমাদের দেশ তবে এখন আমরা অনেকটাই স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে সক্ষম হয়েছি। আশা করা যায় যে একটি নির্দিষ্ট সময় পরে আমরা আরো সম্পূর্ণ অবস্থানে অবস্থিত হতে পারব।
চা উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে দশম।
বিশ্বে সবচেয়ে বেশী চা উৎপাদনকারী দেশ।
১/ চায়না
২/ ইন্ডিয়া
৩/ কেনিয়া
৪/ শ্রীলংকা
৫/ ভিয়েতনাম
৬/ টার্কি
৭/ ইন্দোনেশিয়া
৮/ মায়ানমার
৯/ ইরান
১০/ বাংলাদেশ
বৈশ্বিকভাবে চা উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান
সম্মানিত পাঠকমণ্ডলী, আপনারা যারা আমাদের এই প্রবন্ধটি পড়েছেন তারা দেখেছেন যে আমরা আপনাদেরকে জানিয়েছি বৈশ্বিকভাবে চা উৎপাদনে বাংলাদেশ দশম অবস্থানে রয়েছে অর্থাৎ ১০ তম অবস্থানে বাংলাদেশে অবস্থিত। সমগ্র বিশ্বে যতগুলো দেশ চা উৎপাদন করে তার মধ্যে বাংলাদেশ দশম। আমাদের দেশ থেকে বিপুলসংখ্যক চা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পৌঁছে যাচ্ছে।
আশা করা যায় যে ভবিষ্যতে আমরা আরও বিপুল সংখ্যক চা উৎপাদন করতে পারবো। যে চা বিক্রি করে আমরা অনেকগুলো বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারব। সেই সাথে আমরা ধারণা করছি যে ভবিষ্যতে আরো অনেকগুলো পণ্য আমরা বৈশ্বিকভাবে উপস্থাপন করব যাতে করে আমরা বিপুলসংখ্যক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে সক্ষম হই।