গরম পানি খাওয়ার উপকারিতা

আমাদের মানব শরীরের জন্য পানি অপরিহার্য একটি উপাদান। তোমার শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ পানি। এ জানা শরীরে জৈবিক ক্রিয়াকুলি করার জন্য অবশ্যই পানি প্রয়োজন হয়। এছাড়া শরীরের খাদ্যে হলাম করার জন্য এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় অবশ্যই পানির প্রয়োজন রয়েছে। তাই আমাদের প্রত্যেকদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা প্রয়োজন। প্রত্যেকদিন প্রচুর পরিমাণে অর্থাৎ দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করতে হয়।

পানি একটি উৎকৃষ্ট দ্রাবক এজন্য আমরা যে খাবারগুলো খায় সেই খাবারগুলো ক্ষুদ্র করার জন্য পানির প্রয়োজন রয়েছে। যদি পানি কম খায় তাহলে অবশ্যই এই খাদ্যনালী দিয়ে ঠিকমতো খাবারগুলো পাকস্থলীতে যাবে না এবং পাকস্থলীতে ঠিকমতো সেটি হজম না হয়ে পাকস্থলীতে থেকে যাবে। এই কারণে পানি শরীরের প্রত্যেকটি কার্যক্রম ঘটানোর জন্য অপরিহার্য বলে মনে করা হয়। তাই যে কোন কাজের জন্যই পানি প্রয়োজন রয়েছে।

পানির উপকারিতা

পানির উপকারিতা বলে শেষ করা যাবেনা। কারণ পানি এত যে আমাদের জন্য প্রয়োজনীয়তা এর আগে আমরা বলেছি। পানির প্রয়োজন প্রত্যেকটি জৈবিক প্রক্রিয়ার জন্যই। বিশেষ করে আমরা যে খাদ্যগুলো খাই সে খাদ্যগুলো হজম ক্রীড়া প্রতিটি কাজের সাথে যুক্ত। আবার যখন পাকস্থলীতে খাদ্য আহযাব হবে তখন খাদ্যের অবশিষ্ট অংশ শরীরের বাহিরে বের করে দেবে তখন অবশ্যই পানির প্রয়োজন রয়েছে। শুধু আমাদের মানব শরীর না যেকোনো প্রাণীদের জন্যই পানি যেমন প্রয়োজন তেমনি উদ্ভিদের জন্য পানি প্রয়োজন রয়েছে।

পৃথিবীর যেমন তিন ভাগ জল আর এক ভাগ স্থল তেমনি আমাদের শরীরের জন্য এই পানি প্রায় তিন ভাগ। পানির একটি উৎকৃষ্ট দ্রাবক হওয়ার কারণে পানির সাথে প্রায় সকল কিছুতে হতে পারে। অনেক সুন্দর হয় আমাদের শরীর ের রক্ত এবং মানুষের সকল কিছু মিশিয়ে দেওয়ার জন্য পানি প্রয়োজন রয়েছে। তাই এত কিছু দেখার পর অবশ্যই পানির উপকারিতা সম্পর্কে বলে হয়তো শেষ করা যাবে না। তবে আমাদের শরীরের জন্য কোন পানি বেশি প্রয়োজন ঠান্ডা পানি গরম পানি না না ঠাণ্ডা না গরম এরকম ধরনের পানি। এসব কথাই আজকে আমরা দেখব।

ঠান্ডা পানির উপকারিতা

আমাদের শরীর যখন পানি চায় তখন আমাদের পানির পিপাসা লাগে। আর যখন শরীরের পানি তেষ্টা পায় তখন যদি আমরা গরম পানি খাই তাহলে সেই পানির দেশটা ভালোভাবে যায় না। কিন্তু আমরা যদি এক গ্লাস ঠান্ডা পানি পান করি তাহলে শরীরটাকে একেবারে চনমনে তুলতে পারি। তবে ঠান্ডা পানি অর্থাৎ অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি শরীরের প্রয়োজন নাই। স্বাভাবিক তাপমাত্রার ঠান্ডা অর্থাৎ নলক থেকে উঠানোর পর যে ঠান্ডা পানি সে পানি পান করা ক্ষতিকর নয় কিন্তু অতিরিক্ত ঠান্ডা

অর্থাৎ রেফ্রিজারেটর রেখে যে ঠান্ডা বাড়ানো হয় সে ঠান্ডা পানি পান করা খুব একটা ভালো এ কথা বলা যায় না। কারণ দীর্ঘক্ষণ পর আমরা যদি এই ঠান্ডা পানি পান করি তাহলে শরীরের ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। আর যদি শরীরে ঠান্ডা লেগে যায় তাহলে বৃদ্ধ এবং শিশুদের জন্য মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এ কারণে আমরা যখন পানি পান করবো তখন অবশ্যই সে বিষয়টা খেয়াল রাখতে হবে বা দেখতে হবে যেন অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি আমরা না পান করি।

গরম পানি খাওয়ার উপকারিতা

অর্থাৎ যখন বয়স আমাদের প্রায় 40 পার হয়ে যাবে তখন অবশ্যই সে সময়টায় ঠান্ডা পানি পান না করে গরম পানি অর্থাৎ এসব গরম যাকে বলা হয় কুসুম গরম পানি পান করে যথেষ্ট। কুসুম গরম পানি যদি পান করেন তাহলে আপনার শরীরে ঠান্ডা লাগবে না এবং শরীরের তাপমাত্রাও বেড়ে যাবে না। তখন এই কুসুম গরম পানি আপনার শরীরের সকল কার্যক্রম

গুলোকে বেশ ঠিক রাখবে। আপনার শরীর ের কোষ্ঠকাঠিন্য হবে না অর্থাৎ অতিরিক্ত গরম পানি পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য হবে কিন্তু কুসুম গরম পানি পান করা শরীরের জন্য উপকার বলে মনে করা হয়। আবার শীতকালেও যদি আপনি কুসুম গরম পানি পান করেন সেখানেও ঠান্ডা লাগার ভয় থাকে না।

Leave a Comment