দুধ একটি সম্পূর্ণ খাদ্য। এটা আমরা সবাই জানি। দুধে রয়েছে সব ধরনের খাদ্য গুণ। দুধে রয়েছে শর্করা, স্নেহ ,লৌহ এবং আমিষ। দুধ একটি সম্পূর্ণ খাদ্য। বাচ্চা থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়সে পর্যন্ত যদি নিয়মিত দুধ পান করা যায় তাহলে সেটা শরীরের ক্ষেত্রে খুবই উপকারী। কিন্তু অনেক সময় শুধু দুধ খেলে একটা বয়সের পর গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে এই সমস্যা হয়। কিন্তু এটা খুবই ব্যতিক্রমধর্মী। কারো কারো পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা থাকলে দুধ পান করলে গ্যাস্ট্রিক বা অম্বলের সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু যদি প্রতিদিন নিয়মিত দুধ পান করা যায় তাহলে পাকস্থলীর বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
দুধ পান করা উপকারী এটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু শুধু দুধ পান না করে দুধের সঙ্গে যদি কিছু পোস্টটি জাতীয় খাদ্যদ্রব্য এর মিশ্রণ করে পান করা যায় তাহলে সেটা আরো বেশি উপকারী। স্বাস্থ্যকর মিল্কশেক আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আমরা সবাই জানি অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া শরীরের পক্ষে ভালো না। চিনি আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। তাই মিষ্টির স্বাদ পেতে আমরা মিষ্টি খাবারগুলোতে খেজুর ব্যবহার করতে পারি। খেজুর থেকে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক মিষ্টি শরীরের কোন ক্ষতি করে না। খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এবং শক্তি উপাদান। যাদের শরীর দুর্বল এবং বিশেষ করে বয়স্ক মানুষদের খেজুর খাওয়া উচিত । খেজুর এবং দুধ দিয়ে ড্রিঙ্কস বানিয়ে খেলে শরীরের অবসাদ দূর হয়। নিস্তেজ শরীরে প্রাণ ফিরে আসে।
এখন যেহেতু রোজার সময় তাই আমাদের বাসায় খেজুর থাকে। কারণ আমরা মুসলিম ধর্মের মানুষ রোজা রমজানের দিনে আমাদের প্রধান খাদ্য হিসেবে খেজুরকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকি। কিন্তু আপনি কি জানেন দুধ আর খেজুর দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারবেন দুর্দান্ত সাদের এক recipe। দুধ এবং খেজুর দিয়ে সুস্বাদু এই ড্রিংকস তৈরি করে আপনি আপনার পরিবারের সুস্থতা বজায় রাখতে পারবেন। একদিন বাসায় ট্রাই করে দেখবেন দুধ এবং খেজুরের প্রাণ জুড়ানো এই ড্রিংকস। সবাই তো খেয়ে খুব মজা পাবে এবং সাথে সাথে আপনার খুব প্রশংসা করবে। তাই দেরি না করে আজই বাসার সবার জন্য দুধ এবং খেজুরের ড্রিংকস তৈরি করে ফেলুন।
এক গ্লাস গরুর দুধে, তিন থেকে চারটি খেজুর ভিজিয়ে রেখে দিন কিছু সময়ের জন্য। অবশ্যই খেজুরের বিচিটা ফেলে দিতে হবে। তারপর দুধের মধ্যে ভেজানো খেজুরটি নরম হয়ে গেলে ব্লেন্ডারের জারের মধ্যে দিয়ে ব্রেন করে নিন। দেখবেন সুন্দর ঘনত্বের একটি ড্রিংকস তৈরি হবে। বেশি করা মিষ্টি না হলেও দুর্দান্ত স্বাদের এই ড্রিংসটি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এই ড্রিংকস খেলে ক্লান্তি দূর হবে এবং এটি একটি এনার্জি ড্রিংস বলা যেতে পারে।
দুধ এবং খেজুর একসঙ্গে খাবার উপকারিতা সম্পর্কে এবার জেনে নিন
কাঁচা দুধের পুষ্টির পরিমাণ বিভিন্ন প্রাণীর ক্ষেত্রে ভিন্ন হলেও তাতে প্রচুর পরিমাণে সম্পৃক্ত স্নেহ পদার্থ, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন সি পাওয়া যায়। আবার গরুর দুধ হল সামান্য অম্লজাতীয়। সমগ্র বিশ্বে ৬০০ কোটিরও বেশি দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্যের গ্রাহক রয়েছে এবং এদের মধ্যে অধিকাংশই উন্নয়নশীল দেশগুলির নাগরিক।
খেজুরে আছে প্রচুর ভিটামিন বি। ভিটামিন বি৬ মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরকে ডিটক্সিফাই করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে। নিয়মিত খেজুর খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে। এজন্য এই দুইটি খাদ্য এক সঙ্গে মিশিয়ে খেলে খুবই উপকার পাওয়া যাবে। এটি একটি হেলদি ড্রিংকস। বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি আপনি দুধ এবং খেজুরের মিশ্রণ পান করেন তাহলে সারাদিন আপনার এনার্জিটিক ফিল হবে।