আসসালামু আলাইকুম প্রিয় বন্ধুরা। স্বাস্থ্য এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য যে কোন টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি আপনাদের অবশ্যই ফলো করতে হবে।আজকে আমরা জানবো দুধ ও কলা একসঙ্গে খাওয়ার নিয়ম এবং এই খাবারটি খাওয়ার পেছনে রয়েছে অনেক কাহিনী।আজকে আমরা জানবো দুধ-কলা একসঙ্গে খেলে আমাদের শরীরে কোন ধরনের উপকার বা অপকার হয়। তাহলে চলুন আজকের এই আলোচনার মধ্যে যাওয়া যাক।
আমাদের খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে উপস্থিত সবগুলো খাদ্যদ্রব্যই আমাদের শরীরের জন্য উপকার। পরিমাণ বুঝে আমাদের সেটা খেতে হবে। সব ধরনের খাদ্য গ্রহণ না করলে শরীরে কোন না কোন ভিটামিনের অভাব পড়ে। তাই শরীরে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করতে আমাদের সব ধরনের খাবার খাওয়া উচিত।
খাদ্য দ্রব্যের মধ্যে সবচাইতে পুষ্টি সম্পূর্ণ খাদ্য হলো দুধ। আর দুধের সঙ্গে কলা এ এক অমৃত। সকালে কিংবা রাতের খাবার হিসেবে এটি খুবই উপকারী। যেকোনো বয়সের জন্য এটা খাওয়া খুবই ভালো। দুধের সঙ্গে কলা মিশিয়ে খেলে পুষ্টি পাওয়ার সাথে সাথে পেট ভরে। বিশেষ করে দুই থেকে পাঁচ বছরের বাচ্চাদের যদি নিয়মিত দুধ কলা খাওয়ানো হয় তাহলে তাদের দৈহিক গঠন বৃদ্ধি পায়। একটি বাচ্চা যখন বাড়ন্ত বয়সে থাকে তখন তাকে সেই সব খাদ্য দেওয়া উচিত যেগুলো তার দৈহিক বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন। দুধের সঙ্গে কলা মিশিয়ে যদি বাচ্চাকে খাওয়ানো হয় তাহলে সেই বাচ্চার গ্রোথ অবশ্যই দুই থেকে তিন ভাগ বেড়ে যাবে।
দুধ কলা একটি অতি সাধারণ এবং খুবই পুষ্টি জনক খাবার। বাংলাদেশ থেকে শুরু করে পৃথিবীর সব দেশেতেই সকাল কার খাবার হিসেবে দুধ কলা খুবই জনপ্রিয়। দুধ একটি সম্পূর্ণ খাদ্য। সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি এক গ্লাস দুধ পান করা যায় তাহলে সারাদিন আমাদের এনার্জি ঠিক থাকে। দুধের সঙ্গে কলা এর মিশ্রণ একটি অপূর্ব খাদ্য। এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি এই খাবারটি পুষ্টিগুণের সমৃদ্ধ। বাচ্চাদের সকালে এক গ্লাস দুধের সঙ্গে একটি কলা খাওয়ালে অনেক উপকার হয়। কলা এমন একটি ফল যেটা খেলে পেট ভরে আবার এতে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। কোন ছোট শিশু যদি অপুষ্টিতে ভোগে এবং শারীরিক ওজন কম থাকে তাহলে নিয়মিত কলা খাওয়া খুবই উপকার।
কলা অনেকেই খেতে চায় না। বিশেষ করে বাচ্চারা তো কলা একদমই পছন্দ করে না। বাজারে যতগুলো ফল রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে কম দামে আমরা কলা কিনতে পারি। কম দামে পাওয়া যায় জন্য যে কোন শ্রেণীর মানুষেরা খুব সহজেই এটি খেতে পারে। বিশেষ করে বাচ্চারা যদি কলা খেতে না চায় তাহলে তাকে দুধ এবং কলা দিয়ে সুস্বাদু একটি মিল্ক শেক বানিয়ে দিতে পারেন।বাচ্চারা যেহেতু বাড়তি বয়সের তাই তাদের মিষ্টি খেলে ক্ষতি নেই। তাই বাচ্চারা যদি কলা সরাসরি খেতে না চায় তাহলে দুধের সঙ্গে সামান্য চিনি দিয়ে কলাটি মিশিয়ে সুন্দর একটি খাবার তৈরি করে দিতে পারেন।সকালের নাস্তা হিসেবে আপনার বাচ্চাকে যদি এই খাবারটি খাওয়ান তাহলে দেখবেন আপনার বাচ্চা শারীরিকভাবে সুস্থ থাকবে।
দুধের সঙ্গে কলা মিশিয়ে তাতে সামান্য চিনি দিয়ে একটি সুস্বাদু নাস্তা তৈরি করা যায়। কিন্তু চিনি না খাওয়াই ভালো। তবে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সামান্য চিনি দেওয়া যেতে পারে। যারা দুধ খেতে পছন্দ করেন না বা যারা কলা খেতে পছন্দ করেন না তারা কিন্তু দুধ কলা একসঙ্গে মিশিয়ে সুন্দর একটি সুস্বাদু ড্রিংকস বানিয়ে খেতে পারেন। যারা স্থায়ীভাবে মোটা হতে চায় তারা যদি নিয়মিত দুধ ও কলা একসঙ্গে খায় তাহলে তারা অবশ্যই সুস্থ ভাবে শারীরিক ওজন বৃদ্ধি করতে পারবেন। অনেকে আছে যারা তাই ভাবে মোটা হতে চাচ্ছেন। তারা বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াযুক্ত ঔষধ সেবন না করে প্রাকৃতিকভাবে দুধ এবং কলা নিয়মিত খেললে ফল পাবেন। এই খাবারটি দেহের বৃদ্ধিসাধন করে এবং সুস্থ ভাবে আপনার শরীরকে স্থায়ীভাবে মোটা করতে সাহায্য করে।