ভিটামিন এ ক্যাপসুল সঠিক নিয়মে খেলে সাধারণত সেখান থেকে উপকারিতা পাওয়া যায় সে বিষয়ে আজকে আলোচনা করব। ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোটা অত্যন্ত জরুরী ব্যাপার তাই জরুরি ব্যাপারটাকে আমরা যদি ভুলে যায় তাহলে হতে পারে সেই সন্তানের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়ে যেতে পারে। তাই সবসময় ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার কথা মনে রাখা উচিত এবং যখন ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে ঠিক সেই সময়ে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। জন্মগ্রহণ করার ৬ মাস এর পর এই সাধারণত সন্তানকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু করতে হয় এবং সেটা বড় হওয়া পর্যন্ত চলমান থাকে।
যদি ভিটামিন এ ক্যাপসুলের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনাকে জানতে হবে ভিটামিন এ ক্যাপসুল না খেলে কোন কোন ক্ষতি হতে পারে। একজন শিশুর শারীরিক গঠন এর বেশির ভাগে তার জন্মের পরে হয়ে থাকে এবং সেই সময় যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন তার শরীরের না থাকে তাহলে সে ভিটামিনের অভাবে তার সঠিক শারীরিক বৃদ্ধি থেকে শুরু করে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ তৈরি ও ব্রেন তৈরিতে এটা অনেক খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। ভিটামিন এ সেই ধরনের ভিটামিন সে ভিটামিনের অভাবে বড় ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে শিশু ডাক্তার তাই আমাদের জানতে হবে ভিটামিন এ এর সঠিক উপকারিতা।
ভিটামিন এ ক্যাপসুল কি কি উপকারে আসে
শিশুর রাতকানা রোগ এবং অন্ধত্ব রোগ প্রতিরোধ করতে ভিটামিন এ ক্যাপসুল অত্যন্ত উপকারী ঔষধ। শারীরিকভাবে দুর্বল শিশুদের অনেক সময় ভিটামিন এ এর ঘাটতি থাকে এবং সে সময় যদি তার চোখের কোন ক্ষতি হয় তাহলে সেটার পেছনে এই ভিটামিন দায়ী থাকতে পারে তাই সঠিক সময় আপনার শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ান এবং শিশুকে ভবিষ্যৎ রাতকানা ও অন্ধত্ব রোগ থেকে মুক্ত রাখুন।
শিশুর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন এ ক্যাপসুল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ক্যাপসুল। সাধারণত যারা শারীরিকভাবে দুর্বল তাদের শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এই ভিটামিন এই ক্যাপসুল অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ক্যাপসুল আর নিয়মিত এবং সময়মতো এই ক্যাপসুল খেলে এই ধরনের রোগ থেকে দূরে থাকা যায়।
অন্ধত্বের যে চারটি কারণ আছে সেই চারটি কারণের মধ্যে ভিটামিন এ এর অভাবজনিত কর্নিয়ার রোগ এবং করনিয়ার ক্ষত হচ্ছে অন্যতম।তাই যদি কেউ মনে করে ভিটামিন এ এর অভাবে শুধুমাত্র শিশুদের রোগ হবে এটা ভুল বড়দেরও অন্ধত্বের সমস্যার পেছনে ভিটামিন এ ক্যাপসুল অনেক বড় ভূমিকা পালন করে তাই সঠিক সময়ে সকলকে অবশ্যই ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেতে হবে এবং খাবারের মাধ্যমে ভিটামিন এ জাতীয় খাবার প্রচুর খেতে হবে।
কারো যদি দৃষ্টি শক্তি তে কোন সমস্যা থাকে সেই ক্ষেত্রেও ভিটামিন এ ক্যাপসুল অনেক বড় ভূমিকা পালন করতে পারবে। সাধারণত দৃষ্টি শক্তি বা দৃষ্টিশক্তি কমে আসার মতন প্রবণতা দেখা দিলে আপনি যখন একজন চিকিৎসকের কাছে যাবেন তখন তিনি অবশ্যই সেটা চেক করবেন এবং সেখানে যদি তিনি বুঝতে পারেন ভিটামিন এ এর অভাবে সাধারণত এই সমস্যার শুরু হয়েছে তখনই সে আপনাকে সতর্ক করে দেবে এবং ভিটামিন এ খাবার পরামর্শ দেবে।
ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে উপকার পেতে ভিটামিন এই ক্যাপসুলের বিশেষ ব্যবহার করা যেতে পারে এবং সঠিক বয়সের সঠিক পরিমাণ ডোজ খাওয়াটা অত্যন্ত জরুরী। এই ধরনের সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য অবশ্যই একজন রেজিস্ট্রার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আপনাকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেতে হবে।
ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাবার নিয়ম
শিশুদের ক্ষেত্রে সাধারণত ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর মাথাটা কেটে নিয়ে ভেতরে থাকা যে লিকুইড পদার্থ থাকে সেটা মুখের মধ্যে সরাসরি দিয়ে দিলেই সেটা খাওয়া হয়ে যায়। তবে বড়দের ঔষধ আলাদা এই জন্য একজন রেজিস্ট্রার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিক নিয়মে সঠিক পরিমাণে আপনাকে ওষুধ খেতে হবে।