ভিটামিন আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি জিনিস। ভিটামিন আমাদের শক্তির মূল উৎস তাই আমাদের শরীরে সকল ধরনের ভিটামিন পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখাটা অত্যন্ত জরুরী। যেকোনো ধরনের দুর্বলতার পেছনে ভিটামিনের অভাব সবথেকে বড় কারণ তাই আমাদের সবসময় নিজের শরীরকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পূর্ণ রাখতে এবং সবসময় সুস্থ রাখার জন্য প্রত্যেকটি ভিটামিন পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখার চেষ্টা করতে হবে। এই কাজে সবার প্রথমে নিজের খাবারের ওপর নজর দিতে হবে অর্থাৎ আপনি যে খাবারগুলো খাচ্ছেন সেগুলো থেকে পর্যাপ্ত পরিমানে ভিটামিন আপনার শরীরে প্রবেশ করছে কিনা সেগুলো অবশ্যই লক্ষ্য করতে হবে।
এর পাশাপাশি ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করার জন্য আপনি চাইলে বিভিন্ন ধরনের ক্যাপসুল খেতে পারেন যেখানে প্রচুর ভিটামিনের উৎস আছে। সাধারণত ভিটামিন এ টু জেড নামক একটি ট্যাবলেট আছে যেখানে প্রত্যেকটি ভিটামিনের মজুদ আপনি পাবেন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে এই ঔষধ সেবন করলে অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হবে আপনার শরীর থেকে। এই ক্যাপসুল এর উপকারিতা অথবা ভিটামিন এ টু জেড এর সঠিক উপকারিতা কি হতে পারে সেটা নিয়ে আছে কথা বলব তাই চলুন জানার চেষ্টা করি এই বিষয়ে বিস্তারিত।
ভিটামিন A to Z কেন খাবেন
সরাসরি এবং সহজ ভাষায় যদি বলতে চায় তাহলে এই ধরনের ঔষধ সাধারণত সরাসরি ভিটামিন এবং মিনারেলসের ঘাটতি রোধে নির্দেশিত করা হয়। একজন রোগী যখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন তখন অবশ্যই চিকিৎসার চেষ্টা করবেন সবার প্রথমে তার কি সমস্যা হয়েছে সেটা নির্ণয় করতে। ভিন্ন ধরনের উপসর্গ এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যা এবং রোগীর মুখের কথা শোনার পরে চিকিৎসক যদি এটা বুঝতে পারেন যে তার অন্য কোন ধরনের বড় সমস্যা নেই শুধুমাত্র শরীরে কিছু ভিটামিন ও মিনারেলসের ঘাটতির জন্য এ সমস্যাগুলো হচ্ছে তাহলে চিকিৎসক এই ধরনের ঔষধ তাকে খেতে বলবেন।
সাধারণত মাল্টিভিটামিন এবং মাল্টি মিনারেল সমৃদ্ধ এই ঔষধ গুলো খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে আগের থেকে বেশি শক্তি ফিরে আসবে।তবে একটি বিষয় অবশ্যই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে খাবারের মাধ্যমে ভিটামিন গ্রহণ আর ঔষধ সেবনের মাধ্যমে ভিটামিন গ্রহণের কিছু পার্থক্য রয়েছে অর্থাৎ এই ওষুধ অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আপনাকে ওষুধগুলো খেতে হবে যাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন আছে যা আপনার ভিটামিনের ঘাটতি পূরণের জন্য যথেষ্ট বলে আমি মনে করি।
বাজারে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন আপনি পাবেন তার মধ্যে কিছু ভিটামিন আছে এর থেকেও উন্নত যেগুলো সাধারণত বিশেষ কিছু সমস্যার জন্য রোগীদের দেওয়া হয়ে থাকে। গর্ভধারণের আগে থেকে শুরু করে গর্ভধারণের পরে এবং বিভিন্ন শারীরিক দুর্বলতা ও আরো অন্যান্য সমস্যা সমাধানের জন্য এই ওষুধের ব্যবহার করা হয়। এই ওষুধে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন যেমন উল্লেখযোগ্য ভিটামিন হচ্ছে ভিটামিন এ থেকে শুরু করে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ডি ও গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ভিটামিন ই ছাড়াও আরো প্রায় ২০ থেকে ২৫ টার উপর ভিটামিন এবং মিনারেলস আছে। পটাশিয়াম থেকে শুরু করে বরণ এবং নিকেল বা সিলিকন এই ধরনের মিনারেলসগুলো আপনি এখান থেকে পাবেন।
ভিটামিন এ টু জেড খাওয়ার নিয়ম
এই ওষুধটি খাওয়ার তেমন কোন নিয়ম নেই শুধুমাত্র আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে ওষুধ আপনি খাচ্ছেন সেটা আপনার জন্য সঠিক কিনা আর এর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পরে আপনি দেখবেন একজন চিকিৎসক এই ধরনের ক্যাপসুল প্রতিদিন একটি করে খাওয়ার পরামর্শ দিবেন আপনাকে ভরা পেটে। এটা শুনলে চাইলে যদি কারো গ্যাসের সমস্যা থাকে তাহলে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ প্রতিদিন একটা করে সেবন করতে পারে।