যারা বিকাশ একাউন্ট নাম্বার পরিবর্তন করতে চাইছেন অথবা নির্দিষ্ট যে নাম্বারে বিকাশের লেনদেন করে থাকেন সেই নাম্বারের পরিবর্তে একই আইডি কার্ড ব্যবহার করে অন্য কোন নাম্বার সংযুক্ত করতে যাচ্ছেন তাদের জন্য এখানে সঠিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অনেকে আছেন নির্দিষ্ট একটা নাম্বার দিয়ে বিকাশের লেনদেন করে থাকেন। কোন কারনে আপনার সেই সিম বা সেই একাউন্টের জন্য যে নাম্বার ব্যবহার করছেন সেটা যদি সমস্যার সৃষ্টি করে অথবা অন্য কেউ যদি বিরক্ত করে তাহলে হয়তো মনে হতে পারে বিকাশ একাউন্টের জন্য অ্যাকাউন্ট বা সিম বন্ধ করা যাবে না।
নির্দিষ্ট একটা সিমে আপনি বিকাশ একাউন্ট খোলার পর যদি কোন না কোন ভাবে সেই নাম্বারটি সকলের কাছে চলে যায় এবং সকলের যদি আপনাকে ফোন দিয়ে বিরক্ত করতে থাকে তাহলে আপনার জন্য বিকাশ একাউন্টের নাম্বারটি বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সে ক্ষেত্রে মনে করে থাকেন আপনার আইডি কার্ড ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব সহজে অন্য কোন নাম্বার দিয়ে বিকাশ একাউন্ট ট্রান্সফার করে নিবেন। আপনি যখন বিকাশ একাউন্ট ট্রান্সফার করে নিবেন তখন কোন নাম্বার দিয়ে করবেন সেই নাম্বারটি আগে থেকে নিশ্চিত করে রাখুন।
বিকাশের মাধ্যমে বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ লেনদেন করছে এবং এই লেনদেনের কারণেই এটা হয়তো আমাদের প্রয়োজনে অনেককে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।বিশেষ করে যারা বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করেন তাদের একাউন্টে কমবেশি টাকা থাকে। আবার কোন কারনে যদি সিম বন্ধ হয়ে যায় অথবা সেই সিম যদি হারিয়ে যায় তাহলে সেটাও একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এ সকল সমস্যার ক্ষেত্রে আপনারা যখন বুঝতে চাইবেন যে বিকাশ একাউন্ট আপনার জন্য ঝামেলার সৃষ্টি করছে তখন অবশ্যই সঠিকভাবে সেটা কিভাবে কি করতে হবে তা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করুন।
তবে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় এবং অফিশিয়াল ভাবে এই ধরনের কাজ করতে হলে আপনাকে আগে থেকে পূর্ব প্রস্তুতি রাখতে হবে। কারণ যে ভোটার আইডি কার্ড এবং যে সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খুলেছেন সেগুলো সংশোধন করার প্রয়োজন না থাকলেও শুধু নাম্বারটি যখন আপনারা সরিয়ে নিতে অন্য কোন পদ্ধতি অনুসরণ করবেন তখন অবশ্যই কোম্পানি সাহায্য গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনারা বিকাশের হেল্পলাইন নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন এবং এই যোগাযোগ করার মাধ্যমে কিন্তু খুব সহজে লেনদেন করতে পারেন।
তাই এই পোষ্টের মাধ্যমে বিকাশে আপনারা যখন লেনদেন করবেন অথবা বিকাশের মাধ্যমে যখন নাম্বার পরিবর্তন করবেন তখন সেই নাম্বার পরিবর্তন করার জন্য হেল্পলাইনে যোগাযোগ করলে সবচেয়ে ভালো হয়। তাছাড়া জেলা ভিত্তিক যে সকল বিকাশের অফিস রয়েছে সেখানে আপনাদেরকে যেতে হতে পারে। এক্ষেত্রে যার ভোটার আইডি কার্ড ব্যবহার করে bkash একাউন্ট খুলেছেন অথবা যার ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করে বিকাশ একাউন্ট খুলেছেন তার সকল তথ্য এবং সেই ব্যক্তিকে সশরীরে সেই অফিসে উপস্থিত থাকতে হবে।
বিকাশ একাউন্ট নাম্বার পরিবর্তন কিভাবে করতে হয়
তাছাড়া আপনি অন্য একজনের আইডি ব্যবহার করছেন এবং অন্য ব্যক্তির দ্বারা এই বিকাশ একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন হয়েছে এমন ক্ষেত্রে সেই ব্যক্তির উপস্থিতি না পেলে কোম্পানি কোন কাজ করে দিবে না। কারণ যার ভোটার আইডি কার্ড তার ভোটার আইডি কার্ড চুরি হয়েও যেতে পারে অথবা সেই ডকুমেন্টস হারিয়ে যাওয়ার ফলে আপনি যে তার নাম্বার পরিবর্তন করছেন এমন ক্ষেত্রে তারা গ্যারান্টি পায় না। সুতরাং বিকাশ অ্যাকাউন্ট নাম্বার পরিবর্তন করতে হলে আপনাদের বিকাশের অফিসে যেতে হবে এবং আঞ্চলিক যে সকল অফিসগুলো রয়েছে সেখানে গেলে এর সমাধান পাওয়া যাবে।
বিকাশ অ্যাকাউন্ট নাম্বার পরিবর্তন করতে চাই
বিকাশ একাউন্ট নাম্বার পরিবর্তন করতে চাইলে অবশ্যই যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকতে হবে। আপনি যদি ইচ্ছা মতো নাম্বার পরিবর্তন করতে চান তাহলে এটা হবে না এবং এই ক্ষেত্রে কোম্পানি আপনাকে কোন ধরনের সাহায্য করবে না। তাই আপনারা যেকোনো ধরনের কাজ করতে হলে সরাসরি হেল্পলাইন নাম্বার অথবা আঞ্চলিক অফিসে যোগাযোগ করবেন এবং এক্ষেত্রে যার ভোটার আইডি কার্ড তাকে সহকারে অন্যান্য ডকুমেন্টস নিয়ে যাবেন। আর বিকাশ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই পিন নাম্বার এবং otp কোনো ব্যক্তির কাছেই এমনকি কোন কোম্পানির লোকের কাছেও শেয়ার করবেন না।