পাখির কলকাকলিতে আমাদের যখন সকালের ঘুম ভাঙ্গে তখন মনে হয় এ জীবনটা আসলেই অনেক সুন্দর। আপনারা বিভিন্ন পাখির নাম পড়ে থাকলে অথবা বিভিন্ন পাখির নাম শুনে থাকলে এগুলো আসলে দেখতে কেমন হয়ে থাকে সে বিষয়ে কিন্তু অনেকের ধারণা নেই। তাছাড়া পাখিরা এক জায়গা থেকে আরেক জায়গাতে উড়ে বেড়ায় এবং কোন একটা জায়গাতে স্থির থাকে না বলে হয়তো তাদেরকে আমরা খুব একটা চিনি না। তবে আপনারা যদি ফিঙ্গে পাখি সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে চান তাহলে তাদের ছবি এখানে যেমন দিয়ে দেওয়া হলো তেমনি ভাবে আপনাদের উদ্দেশ্যেই পাখির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো।
দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন বিষয়ে জানাটা আমাদের জন্য জরুরি হয়ে ওঠে এবং পাখি সম্পর্কে যখন জানতে চান এবং শিক্ষার্থীদের যখন পড়াতে চান তখন সেই তথ্যগুলো জেনে নিয়ে তাদেরকে পড়াতে পারলে সেটা খুব ভালো হয়। আপনারা যখন ফিঙ্গে পাখির ছবি দেখতে এসেছেন তখনই বুঝতে পেরেছি যে এটা আপনাদের জন্য হয়তো প্রয়োজনীয় একটা তথ্য নির্ভর কোন কাজের জন্য লাগতে পারে। তাই নিচের দিকে আপনাদের জন্য ফিঙ্গে পাখির ছবি প্রদান করা হলো যেটা আপনাদের হয়তো কাঙ্খিত তথ্যের সঙ্গে মিলে যাবে।
ফিঙে পাখির পিকচার
আপনি কি ফিঙ্গের পাখির পিকচার সংগ্রহ করার জন্য এখানে ভিজিট করেছেন? এখান থেকে আপনারা ফিঙ্গে পাখির পিকচার গুলো দেখে নিবেন এবং এই পাখির পিকচার গুলো হয়তো আপনাদের পড়ানোর ক্ষেত্রে অথবা বাকি চেনার ক্ষেত্রে অনেক কাজে আসতে পারে। আমরা আপনাদের উদ্দেশ্যে এখানে যে পাখির পিকচার প্রদান করছি সেগুলো দেখে নেওয়ার পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন পাখির নাম শুনেছেন কিন্তু পাখি দেখেননি এমন পাখির নাম জানিয়ে দিতে পারেন। তাহলে সেই অনুযায়ী আপনাদের মাঝে আমরা ছবি সরবরাহ করতে পারব।
ফিঙে পাখির বৈশিষ্ট্য
উপরে ফিঙে পাখির বিভিন্ন ধরনের ছবি দেখার মাধ্যমে আপনারা যেমন এটার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অবগত হতে পেরেছেন তেমনিভাবে লিখিত তথ্য অনুযায়ী যদি আরও বৈশিষ্ট্য জানতে চান তাহলে সেগুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি। এই পাখি মাছের লেজের মত এদের লেজ চ্যেরা হয়ে থাকে। তাছাড়া এই পাখির আকৃতি হল মাঝারি সাইজের এবং লম্বা ও চখা ডানা রয়েছে। সাধারণত এই পাখির গায়ের রং কালো হয়ে থাকে এবং কালো হয়ে থাকলেও এটা দেখতে অত্যন্ত সুন্দরভাবে আমাদের সামনে প্রতীয়মান হয়।
ফিঙে পাখি লেজ সহকারে এটা আকৃতিতে ২৮ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। এই পাখি শহরের চাইতে বর্তমান সময় গ্রামাঞ্চলে সবচাইতে বেশি দেখা যায় এবং এই পাখির বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে অনেক সময় একে রাজা পাখি বলা হয়ে থাকে। অনেকে আবার এই পাখিকে রাজকীয় কাক হিসেবে পরিচিত করিয়ে থাকেন। এই পাখির ভেতরে সব সময় অস্থিরতা কাজ করে বলে এটা অন্য কোন পাখিকে সহ্য করতে পারে না এবং বেশিক্ষণ কোন এক জায়গায় বসে থাকার স্বভাব এদের নেই।
অর্থাৎ এরা সব সময় এক জায়গা থেকে আরেক জায়গাতে উড়ে বেড়ায় এবং কখনো কখনো এদের আচরণ কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে হিংস্র হয়ে উঠতে পারে। এদের যেমন ছোট পাখিদের ব্যস্ত করে রাখার স্বভাব রয়েছে তেমনিভাবে এরা বড় পাখিদের কেউ বিরক্ত অথবা তথাস্ত করে রাখে। এই পাখির তার সাইজের চাইতে তারা অনেক বড় বড় পাখিকে তাড়িয়ে বেড়ায়। এখানে আপনারা যে ভেঙে পাখি সংক্রান্ত তথ্যগুলো জানতে পারলেন তাতে করে আরেকটা বিষয় জানিয়ে দেবো যে এদের কন্ঠ অনেক মধুর হয়ে থাকে এবং এরা মিষ্টি করে শীষ দিতে পারে।
তাই এদের এই সুন্দর সুর আমাদের শুনতে অনেক ভালো লাগে। জীবনে এই পাখি বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় খেয়ে বেঁচে থাকে। যখন এদের ডিম পাড়ার সময় হয় তখন এরা তিন থেকে চারটি পর্যন্ত ডিম পাড়তে পারে এবং গাছের যে ফাঁকা স্থান থাকে সেখানে তারা ডিম পাড়ার জন্য স্থান খুঁজে নেয়। বিভিন্ন দেশে এই পাখির বিভিন্ন ধরনের প্রজাতি থেকে থাকলেও বাংলাদেশের ভেতরে ৬ প্রজাতির ফিঙ্গে বাকি দেখা যায়। তাই এখান থেকে আপনারা ফিঙ্গে পাখি সংক্রান্ত যে বৈশিষ্ট্য গুলো জেনে নিতে পারলেন তাতে করে সেটা আপনাদের অনেক কাজের জন্য হয়তো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।