BTS হলো দক্ষিণ কোরিয়ার একটি কে-পপ ব্যান্ড। এর পুরো নাম Bangtan Boys বা Bangtan Sonyandan.বর্তমানে বিসিএস অনেক জনপ্রিয়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে অনেক বিটিএস ফ্যান রয়েছে। বিটিএস এর ফটোগুলো সবাই এতই পছন্দ করে যে ডাউনলোড করে নিজের ফোনে সেভ করে রাখতে পছন্দ করে। অনেকে এই ছবিগুলো প্রোফাইল পিকচার হিসেবে ব্যবহার করে। অনেকে নিজেদের ভালোবাসা প্রকাশ করে বিটিএস এদের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে। কেউ কেউ আবার বিটিএস এর পিকচার ওয়ালপেপার করে রাখে নিজের ফোন এবং ল্যাপটপে।
আজকে আমরা এই আর্টিকেলটিতে বিটিএসদের কিউট পিকচার গুলো আপলোড করব আপনাদের সামনে। বিটিএস কি এবং বিটিএস সম্পর্কিত সংক্ষিপ্ত আকারে আমরা তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। বিটিএস এমন একটা জনপ্রিয় পপ ব্রান্ড যেটা সবারই আকর্ষণের একটা জিনিস হয়ে উঠেছে। কিন্তু বাংলাদেশের অনেক জনগণ রয়েছে যারা জানে না বিটিএস আবার কি। বিটিভিদের ছবি এবং বিটিএস সম্পর্কিত কোন তথ্য যদি আপনারা জানতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন হবে পড়ে নিতে পারেন।
বলিউডের লাইফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভি সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে অন্যান্য কে-পপ ব্যান্ডকেও ছাড়িয়ে গেছেন এবং নতুন মাইলফলকে পৌঁছেছেন। ইনস্টাগ্রামে তার এখন প্রায় ৪৭.৮ মিলিয়ন ফলোয়ার আছে। ফলে, তিনি আরেক জনপ্রিয় কে-পপ ব্যান্ড ব্ল্যাকপিঙ্কের ৪৭.৭ মিলিয়ন ফলোয়ারের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার সংখ্যার দিক দিয়ে কে-পপ শিল্পীদের মধ্যে ভি ষষ্ঠ অবস্থানে আছেন। শুধু তাই নয় ভি ইন্সটাগ্রামে সর্বাধিক ফলোয়ার থাকা পুরুষ ,।
বিটিএস হলো ৭ সদস্যের দক্ষিণ কোরিয়ান বয় ব্যান্ড। এ ৭ সদস্যের ব্যান্ড বিগহিট মিউজিক এর অধীনে ২০১০ সালে ট্রেইনি হিসেবে এবং ২০১৩ সালে টু কুল ফর অ্যালবাম নিয়ে পুরো বিশ্বের সামনে আত্মপ্রকাশ করে। তারা মূলত হিপ হপ সঙ্গীতের গ্রুপ হলেও তাদের গানগুলোতে বিভিন্ন সঙ্গীতের ধরন প্রকাশ পায়। গানের মাধ্যমে তারা সাহিত্য, মনস্তাত্বিক বিষয় এবং নিজেকে ভালোবাসার গুরুত্ব তুলে ধরে।
নিজেদের আত্মপ্রকাশের পর ২০১৪ সালে প্রকাশ করে তাদের প্রথম কোরিয়ান স্টুডিও অ্যালবাম ডার্ক এন্ড ওয়াইল্ড এবং জাপানিজ স্টুডিও অ্যালবাম ওয়েক আপ। তাদের দ্বিতীয় স্টুডিও অ্যালবাম উইংস (২০১৬), ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম, কোরিয়ায় যার ১ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়। ২০১৭ সালে পুরো বিশ্বের সংঙ্গীত জগৎ এ নিজেদের স্থান করে নেয় তারা। লাভ ইয়োরসেল্ফ: হার (২০১৭) আলব্যামটি আলোড়ন শুরু করে পুরো বিশ্বজুড়ে। বিটিএস প্রথম কোরিয়ান গ্রুপ হিসেবে “মাইক ড্রপ” গানটির জন্য রেকর্ডিং ইন্ডাস্ট্রি এসোসিয়েশন অফ আমেরিকা থেকে সার্টিফিকেট গ্রহণ করে এবং লাভ ইয়োরসেল্ফ: টিয়ার (২০১৮) অ্যালবাম বিলবোর্ড ২০০ চার্টে প্রথম স্থান দখল করে।
২০১৩ সালে বিটিএস মিউজিক সেন্টারে পারফর্ম করছে।২০১০ সালে বিগ হিট এন্টারটেইনমেন্টের সিইও ব্যাং সি-হিয়ক, আরএম (কিম নামজুন) কে নিয়ে একটি হিপ হপ গ্রুপ গঠন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন; যার ফলশ্রুতিতে বিটিএস গঠিত হয়। সেসময় নামজুন আন্ডারগ্রাউন্ড র্যাপার হিসেবে সিওলের সঙ্গীত অঙ্গনে সুপরিচিত ছিলেন। বিটিএসের মূলত একটি হিপ হপ গ্রুপ হিসেবে পরিচিত হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু, হিপ হপ অ্যালবামের বিক্রি কম হওয়ায় ব্যাং সি-হিয়ক তার পরিকল্পনা পরিবর্তন করেন। অ্যালবাম কম বিক্রি হবার ব্যাপারটি থেকে তিনি ধারণা করেন, হিপ হপের দিকে না এগিয়ে একটু ভিন্ন পথে হাঁটলে হয়তো তা আরও বিপণনযোগ্য ও দর্শকপ্রিয় হবে। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার গতানুগতিক ও অত্যন্ত নিয়মতান্ত্রিক আইডল গ্রুপের ধারণা থেকে বের হয়ে একটু ভিন্নভাবে বিটিএসকে এমন একটি ব্যান্ড হিসেবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেন।
বর্তমানে বিটিএস সকলের বিনোদনের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। বিটিএস এর ভিডিও গুলো খুব বেশি জনপ্রিয়। বাংলাদেশের বিটিএস এর অনেক ফ্যান ফলোয়ার রয়েছে। বিটিএস এর ছবি এবং ভিডিও অনেক মেয়েরা খুবই পছন্দ করে। বিটিএস এর সুন্দর ছবিগুলো স্ক্রিনশট দিয়ে অনেকে মোবাইলে রাখতে পছন্দ করে। আজকে আমরা বিসিএসের অনেক পিকচার আপলোড করে রেখেছি আর্টিকেলটির মাধ্যমে। এখান থেকে আপনি সুন্দর সুন্দর বিটিএস পিকচার গুলো ডাউনলোড করে রাখতে পারবেন।