কোথাও যদি অগ্নিসংযোগ ঘটে এবং সেই জায়গা থেকে কোন একজন ব্যক্তি যদি আগুনে পুড়ে যায় তাহলে এমন পরিস্থিতিতে কি ধরনের ওষুধ ব্যবহার করতে হতে পারে তা অনেকেই জানতে চান। তাই পুড়ে যাওয়ার ওষুধ সম্পর্কে এখানে আলোচনা করব যেটা হয়তো আপনাদের এখন অনেক প্রয়োজন রয়েছে অথবা প্রাথমিক চিকিৎসার বিষয়গুলো জেনে নিতে পারলে সেটা ভবিষ্যতে কাজে লাগাতে পারেন। শিক্ষার্থীরা যখন প্রাথমিক বিদ্যালয় পড়াশোনা করে থাকে তখনি কিন্তু তাদেরকে আগুনে পোড়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন দুর্ঘটনার জন্য কিভাবে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হয় সে সম্পর্কে ধারণা পেয়ে থাকেন।
তাই আগুনে পুড়ে গেলে সেই স্থান যদি জ্বালাপোড়া করে অথবা সেই স্থানে যদি ফোসকা পড়ে যায় তাহলে এমন পরিস্থিতিতে কি ধরনের ওষুধ ব্যবহার করলে ভালো হবে তা অনেকেই জানতে চান বলে এখানে তা আলোচনা করা হয়েছে। প্রথমত পড়ে যাওয়ার জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে সর্ব প্রথমে সেই জায়গায় স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করতে হবে এবং ঢালতে হবে। পড়ে যাওয়ার কারণে যে জ্বালাপোড়া হয় তার জন্য অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী যে মলম দিবে সেটা ব্যবহার করবেন অথবা যে ঔষধ দিবে সেটার মাধ্যমে খেয়ে খুব দ্রুত অসুস্থ থেকে সুস্থতা অনুভব করতে পারবেন।
অসাবধানতার কারণে অনেক সময় আগুনে পুড়ে যাওয়ার মত ঘটনা গুলো ঘটে থাকে। প্রাথমিক অবস্থায় যে ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করে চলা উচিত সেগুলো যদি আমরা চলি তাহলে বাসা বাড়িতে আগুন ধরার বিষয় থেকে শুরু করে বড় বড় স্থানের আগুন ধরার বিষয়গুলো আমরা এড়িয়ে চলতে পারব। কিন্তু অনেক সময় আগুন নেভাতে ভুলে যাওয়া অথবা বিভিন্ন ধরনের বিষয়গুলো ঘটে থাকার কারণে আমরা এই অগ্নিসংযোগের সম্মুখীন হয়ে থাকি।বিশেষ করে রাতের বেলায় ঘুমের সময় যদি আগুন ধরে তাহলে অনেকের পক্ষে হয়তো ঘর থেকে বের হওয়া সম্ভব হয় না।
আর যদি আগুনে পুড়ে যাই এবং সেটার যদি ওষুধ আপনারা পেতে চান তাহলে বলবো যে প্রত্যেকটি স্থানেই বার্ন ইউনিট রয়েছে। আপনারা সেখানে ভর্তি হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি যদি কম পড়া হয়ে থাকে তাহলে শল্য চিকিৎসক অথবা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে এগুলোর চিকিৎসা নিতে পারেন। অর্থাৎ ওষুধ এক্ষেত্রে কি প্রদান করা হবে তা একমাত্র ডাক্তারেরাই ভালো জানেন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ গ্রহণ করাটা জরুরী। কারণ কতটুকু পুড়েছে অথবা পোড়ার অবস্থা কি সে বিষয়ে কিন্তু তারা খুব ভালোমতো দেখবেন এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করবেন।
পুড়ে যাওয়ার মলম
পুড়ে যাওয়ার স্থানে যদি প্রচন্ড পরিমাণে জ্বালাপোড়া করে তাহলে সেই ক্ষেত্রে ডাক্তার যদি আপনাদেরকে মলম প্রদান করে তাহলে সেই কোম্পানির নির্দিষ্ট মলম ব্যবহার করবেন। আমরা স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য এবং কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার বিষয়গুলো যাতে না ঘটে তার জন্য প্রতিনিয়ত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের অথবা একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলি। অর্থাৎ ইন্টারনেট থেকে সমস্যার সমাধান লিখে যদি ওষুধ পাওয়াই যেত তাহলে হয়তো ডাক্তারেরা আর ডাক্তারি পড়াশোনা করতেন না অথবা এ বিষয়ে প্র্যাকটিস করতেন না।
পুড়ে যাওয়ার প্রাথমিক চিকিৎসা
অল্প পড়া হোক অথবা বেশি পড়া হোক এক্ষেত্রে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় পানি ঢালতে হবে। যদি কেউ আপনাদেরকে বরফ মিশ্রিত পানি অথবা বরফ বলতে বলে তাহলে বলব যে বরফের কারণে সেখানকার কোষের ভেতরে শীতলতা চলে আসতে পারে। তাই আপনারা অবশ্যই স্বাভাবিক তাপমাত্রায় পানি ঢালবেন এবং নির্ভরযোগ্য তথ্যের উপর ভিত্তি করে কাজ করবেন। অর্থাৎ পুড়ে যাওয়ার পর সেই স্থানে যে ডিমের কুসুম দিতে হবে অথবা ভাতের মার দিতে হবে এরকম কোন ভ্রান্ত ধারণায় বসে না থেকে ঠান্ডা পানি পর্যাপ্ত পরিমাণে ঢেলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খেলেই তা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
আগুনে পোড়া রোগের চিকিৎসা
আগুনে পোড়া রোগের চিকিৎসা যদি আপনারা পেতে চান তাহলে এই ক্ষেত্রে উপরের উল্লেখিত প্রাথমিক চিকিৎসা অনুসরণ করার পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করতে হবে। পড়ে যাওয়ার পর সেটা আপনার শরীরে কি কি ক্ষতি হয়েছে তারা ভালো করে ডাক্তারকে দেখাতে দিতে হবে যাতে করে তারা সেই অনুযায়ী ট্রিটমেন্ট প্রদান করতে পারেন। পড়া অংশ দ্রুত ভালো হওয়ার জন্য ডাক্তার যে সকল ঔষধ প্রদান করবেন অথবা এই অবস্থাগুলো এড়িয়ে বা মুক্তি পাওয়ার জন্য যেগুলো মেনে চলতে বলবেন সেগুলো অবশ্যই মানবেন।