আপনাদের যদি কারো ডায়াবেটিস থাকে এবং এটা থাকার পরে যদি কলা খাওয়া যাবে কিনা সে প্রসঙ্গে উত্তর জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমরা সে বিষয়ে জানিয়ে দিতে পারি। কারণ ডায়াবেটিস রোগীদের বিভিন্ন ধরনের নিয়ম-কানুন এবং বিভিন্ন খাবার-দাবারের ব্যাপারে নিয়ন্ত্রণ মেনে চলতে হয়। সাধারণত রক্তে যখন সরকারের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় অথবা চিনির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ডায়াবেটিস রোগ হয়ে থাকলে চিনে থাকে আমাদেরকে দূরে থাকতে হয়। তাই যখন কেউ ডায়াবেটিসের সমস্যায় পড়বেন তখন অবশ্যই আপনাদেরকে সঠিক নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে।
কারণ ডায়াবেটিসে পড়লে আপনাকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে এবং দৈনন্দিন জীবনের খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি কোন ধরনের অসুখে পড়লে সেখান থেকে রিকভার করাটা অনেকটাই ঝামেলা পূর্ণ হয়ে যায়। তাই আপনারা এই পোষ্টের মাধ্যমে যখন ডায়াবেটিস অবস্থায় কলা খাওয়া যাবে কিনা তাদের জন্য আমরা এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তুলে ধরছি। সাধারণত ডায়াবেটিস অবস্থায় যদি আপনারা কাঁচা কলা খেয়ে থাকেন তাহলে সেটা রোগের জন্য কোন ধরনের সমস্যার কারণ হবে না। কারণ কাঁচা কলা যদি খেয়ে থাকেন তাহলে সেখানে রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ নামক এক ধরনের উপাদান থাকে।
আর এই উপাদান কখনোই আপনার ক্ষুদ্রান্তে দ্রুত যাবেনা এবং এটার মাধ্যমে শর্করা বিপাক নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ফলে পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য এই কাঁচকলা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে আপনি যদি পাকা কলা খেয়ে থাকেন তাহলে স্বাভাবিক পাকা কলাতে পটাশিয়াম এবং ভিটামিন b6 উপাদান থেকে থাকে। তাছাড়া কলা এক ধরনের মিষ্টি ফল হয়ে থাকার কারণে এখানে চীনের পরিমাণ বা সরকারের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। তাই আপনার ডায়াবেটিসের বর্তমান অবস্থা অনুযায়ী চিকিৎসক যদি এটা খেতে বলে তাহলেই খেতে পারবেন অথবা বাদ দিয়ে চলতে হবে।
তবে অতিরিক্ত পাকা কলা একেবারেই বাদ দিতে হবে এবং এটা কোনোভাবেই খাওয়া যাবেনা। কারণ কলা যত বেশি থাকে ঠিক ততটাই তাতে চীনের পরিমাণ বা শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে যায়। তাই অতিরিক্ত পাকা কলা বাদ দিতে হবে এবং এই শর্করা যদি বাদ দিতে পারেন তাহলে রক্তের ভেতরে চিনির পরিমাণ কমে যাবে অথবা আপনি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের বিভিন্ন ধরনের নিয়মকানুন মেনে যেমন প্রত্যেকটি খাবার গ্রহণ করতে হয় তেমনিভাবে বিভিন্ন ধরনের এক্সারসাইজ করতে হয়।
ডায়াবেটিস হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে
যদি ডায়াবেটিস রোগীদের খাওয়া ফলের তালিকা সম্পর্কে অবগত হতে চান তাহলে আপনাদেরকে আমরা এটা জানিয়ে দেবো। অর্থাৎ ডায়াবেটিস হলে নিচের উল্লেখিত ফল গুলো আপনারা খাবেন এবং এই ফল খাওয়ার ফলে কোন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হবে না। এক্ষেত্রে ভিটামিন সি রয়েছে এমন ফল খেলে আপনাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন বৃদ্ধি হবে তেমনি ভাবে সেই ফলে শর্করার পরিমাণ থাকে না বলে এটা কোন ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে না। তাই জাম পেয়ারা আপেল আনারস নাশপাতি এ ধরনের ফলগুলো আপনারা খেতে পারেন।
ডায়াবেটিস হলে মিষ্টি ফলের তালিকা
ডায়াবেটিস হলে কি ধরনের মিষ্টি ফল খাওয়া যাবে অথবা কি ধরনের মিষ্টি ফল খাওয়া যাবে না এ প্রসঙ্গে যারা জানতে চান তাদের উদ্দেশ্যে আমরা এখানে তথ্যগুলো উপস্থাপন করছি। অর্থাৎ এই পোষ্টের মাধ্যমে ডায়াবেটিস হলে আপনাদেরকে বলব যে অবশ্যই মিষ্টি ফল চূড়ান্ত ভাবে বাদ দিতে হবে। কারণ আপনি যত মিষ্টি ফল খাবেন ততটাই রক্তের ভেতরে চিনির পরিমাণ বৃদ্ধি করবে এবং ডায়াবেটিস লেভেল বেশি হয়ে গেলে সেটা আপনার বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করবে।
ডায়াবেটিস রোগের নিষিদ্ধ খাবার তালিকা
ডায়াবেটিস রোগীদের প্রথমত নিষিদ্ধ খাবারের তালিকার মধ্যে রয়েছে শর্করা জাতীয় খাবার। আপনি যদি দৈনন্দিন জীবনে ভাত রুটি অথবা চিনি ময়দা এবং চালের তৈরি খাবারের অভ্যস্ত হয়ে থাকেন তাহলে সকল খাবার প্রথমত আপনাকে এড়িয়ে চলতে হবে। তবে আশেপাশে খুঁজলে কিন্তু এই ধরনের খাবারই সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। তাই স্বাস্থ্য সচেতনতাই প্রত্যেকটি বিষয় মেইনটেইন করতে হলেও একটু কষ্ট করতে হবে। তাছাড়া যে সকল ফল অথবা যে সকল খাদ্যদ্রব্যের বেশি পরিমাণ মিষ্টি ব্যবহার করা হয়েছে অথবা চিনি ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।