ফিস্টুলা থেকে কি ক্যান্সার হয়

ফিস্টুলা রোগ হয়েছে বলে যে পরবর্তীতে এটা ক্যান্সার হবে কিনা তা যদি জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেল মনোযোগ দিয়ে পড়ে দেখুন। দৈনন্দিন জীবনে একটা মানুষের যে সকল রোগ হয়ে থাকে তার ভিতরে ফিস্টুলা অনেক খারাপ একটা রোগ। কারণ এই রোগের ফলে একজন রোগী যেমন টাকা পয়সা খরচ করে থাকে অথবা যে ধরনের চিকিৎসা নিয়ে থাকে তা দ্বারা পুরোপুরি ভাবে বা চিরতরে রোগ ভালো হয় না। তাছাড়া অনেক সময় এগুলোর প্রতি গুরুত্ব প্রদান না করার কারণে একজন মানুষের ক্যান্সার হতে পারে।

ফিস্টুলা রোড মলদ্বারে হয়ে থাকে এবং এ রোগ হওয়ার ফলে একজন মানুষ বিভিন্নভাবে কষ্ট ভোগ করেন। তাছাড়া এমন এক ধরনের লোক যেটার মাধ্যমে আপনার মলদ্বারের ভেতরে ফুলে যাওয়া সম্ভাবনা থাকবে এবং সেখানে ফোড়ার মতো আকৃতি ধারণ করবে। ফলে সেই দিকে আপনাদের প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা হওয়ার পাশাপাশি পুঁজ রক্ত বের হবে এবং এটা ক্রমাগতভাবে চলতে থাকবে। তাই যারা এই ধরনের সমস্যায় পড়েছেন তারা অতিসত্বর ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।

রোগের ফলে অনেকের ক্যান্সারের মতো বিষয়গুলো ঘটে থাকে এবং এই রোগ যদি আপনারা ঠিকঠাক সময়ে না দেখান তাহলে কিন্তু পরবর্তীতে অনেক সমস্যা হয়ে যেতে পারে। তবে সবচাইতে বড় সমস্যা হলো এটাই যে এই রোগ হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে মলদ্বার পর্যন্ত পরিমাণে যেমন ব্যথা হবে তেমনি হবে বাথরুম ভালো মতো না হওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য আরো অনেক সমস্যা ক্রিয়েট করবেন। প্রাথমিকভাবে আপনারা কোন হোমিওপ্যাথি অথবা অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ খেয়ে ব্যথা মুক্ত থাকতে পারলেও এটা কয়েক মাসের মধ্যে আবার রিপিট করবে।

প্রকৃত পক্ষে অপরিচ্ছন্ন জীবন যাপন করাটাই কিন্তু একজন মানুষের পক্ষে এই রোগ টেনে নিয়ে আসার জন্য যথেষ্ট। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাপড়চোপড় পড়া যেমন গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় তেমনি ভাবে বাথরুম ব্যবহার করার পর অবশ্যই সেখানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করতে হবে। তাই যখন ফিস্টুলা হবে তখন অবশ্যই আপনারা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা মেনে চলবেন এবং না হওয়ার ক্ষেত্রেও আপনারা অবশ্যই সকল ধরনের নিয়ম মেনে চলবেন। আশা করি আপনারা এ সকল নিয়ম মেনে চলতে পারলে অথবা ফিস্টুলা হওয়ার পরবর্তী সময় মানতে পারলে ক্যান্সারের মত সমস্যা গুলো থেকে রক্ষা পাবেন।

ফিস্টুলা থেকে মুক্তির উপায়

থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়ার জন্য অনেকেই হোমিওপ্যাথি ওষুধ গ্রহণ করে থাকেন অথবা অনেকেই এলোপ্যাথি ওষুধের মাধ্যমে পেইন কিলার খেয়ে এগুলোর ব্যথা কমিয়ে থাকেন। তবে ফিস্টুলা হয়ে থাকলে এবং ফিস্টুলার মত বিষয়গুলো ঘটে থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে তারা আপনাদের যে সকল টেস্ট দিবেন সেই টেস্ট গুলো অবশ্যই করবেন। আর টেস্ট অনুযায়ী যখন আপনাদের এই সমস্যাগুলো বেশি হবে তখন ডাক্তার আপনাদেরকে অপারেশন করার জন্য সাজেশন প্রদান করতে পারেন।

ফিস্টুলা চিরতরে বিদায় করার উপায়

বেষ্ট না হয়ে থাকলে অপারেশন করার মধ্য দিয়ে যে চিরতরে বিদায় করতে পারবেন এরকম কোন নিশ্চয়তা হয়তো দেওয়া যাবে না। অভিজ্ঞ ডাক্তার এবং মেশিন থেকে শুরু করে সকল কিছুর ক্ষেত্রে থেকে যদি শতভাগ বিষয়গুলো ঠিকঠাক থাকে তাহলে আপনাদের এই অপারেশন সাকসেসফুল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চিরতরে বিদায় করার জন্য যে সকল পদ্ধতি রয়েছে সেগুলো অনেকের ক্ষেত্রে কাজে আসে এবং অনেকের ক্ষেত্রে এটা আবার রিপিট করতে পারে।

ফিস্টুলার সংক্রমণে ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায়

সংক্রমনে যদি ক্যান্সার থেকে বাঁচতে চান তাহলে অতিসত্বর ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে এবং এক্ষেত্রে প্রতিষেধক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। ব্যথা ভাল হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে অথবা অন্য কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করার সাথে সাথে যদি মনে করেন আর কোন ওষুধ সেবন করার প্রয়োজন নেই অথবা অন্য কোন নিয়ম না মানলেও হবে তাহলে এটা পরবর্তী সময়ে আবার রিপিট করা সম্ভব না থাকে। ডাক্তারের পরামর্শ এবং ওষুধপত্র থেকে শুরু করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জীবন যাপন করতে পারলে এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারলে আপনারা অনেক ক্ষেত্রে ভালো থাকতে পারবেন।

Leave a Comment