নবজাতকের মা কি কৃমির ঔষধ খেতে পারবে

বাচ্চা জন্মের সময় এবং পরবর্তী দিনগুলোতে বাচ্চার মা এবং বাচ্চাকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয় এবং বাচ্চার মা ও বাচ্চার অনেক বেশি যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন হয়। কিন্তু কোন কারনে বাচ্চা অথবা বাচ্চার মা যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে বা বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয় তাহলে হুট করে যেকোন ওষুধ খাওয়ানো ঠিক নয়। বাচ্চা অথবা বাচ্চার মায়ের যদি অসুবিধা হয়ে থাকে বা বিভিন্ন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেই অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা উচিত। কারণ এতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। অনেকে দেখা যায় যে নবজাতক শিশুর যদি কৃমি হয় তাহলে মা কৃমির ওষুধ খেলে কোন কাজ হবে কিনা, অথবা মায়ের যদি কৃমির বিভিন্ন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে কৃমিনাশক ওষুধ খেতে পারবে কিনা, এই বিষয়গুলো জানতে চায়।

মূলত আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এবং বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আপনি যদি এই আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে আশা করি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনি ধারণা পেয়ে যাবেন এবং এ সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হবেন। তাই আর দেরি না করে আপনি নবজাতকের মা কি ধরনের ওষুধ খেতে পারবে বা কি ধরনের ওষুধ খেতে পারবে না, নবজাতকের মা কি খেতে পারবে কিনা ইত্যাদি বিষয়গুলো জানতে চান। তাহলে আর দেরি না করে এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। আশা করি আপনি এ বিষয়গুলো জানার মাধ্যমে উপকৃত হবেন এবং এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক ভালো লাগবে।

একটি বাচ্চা জন্ম দেওয়ার পর সেই বাচ্চার মাকে অনেক বেশি যত্ন করার প্রয়োজন হয় এবং মা ও শিশু দুজনকেই বিভিন্নভাবে পর্যবেক্ষণে রাখতে হয়। কোন কারনে যদি বাচ্চার মা অথবা বাচ্চা কোন সমস্যাই আক্রান্ত হয় তাহলে ডাক্তারের বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করা উচিত। তবে কিছু কিছু ওষুধ রয়েছে যেগুলো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে বাচ্চার ও বাচ্চার মায়ের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে।

তাই সে ওষুধগুলো সেবন করা উচিত নয় বা যতটা সম্ভব সে ওষুধগুলো থেকে দূরে থাকা উচিত। কারণ এই ওষুধ গুলো সেবন করলে বাচ্চার অথবা বাচ্চার মায়ের ক্ষতি হতে পারে। এজন্য যে কোন ওষুধ সেবন না করে কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে চিকিৎসকের পরামর্শের মধ্যে ওষুধ সেবন করতে হবে। আর চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চলতে হবে। তাহলে সে সমস্যার হাত থেকে বাঁচা যাবে এবং মা ও শিশু দুজনেই ভালো থাকবে।

যদি বুঝতে পারা যায় যে কোন কারনে নবজাতক শিশুর মা কৃমি দ্বারা আক্রান্ত অথবা নবজাতক শিশু কৃমির দ্বারা আক্রান্ত তাহলে সে বিষয়টি ডাক্তারকে জানাতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ মতো চলতে হবে। ডাক্তার যে সকল বিষয়গুলো এড়িয়ে চলতে বলে বা মেনে চলতে বলবে সেই বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে। তাহলে এই সমস্যা অনেকটা মোকাবেলা করা সম্ভব। এই অবস্থায় যতটা সম্ভব কৃমিনাশক জাতীয় ওষুধগুলো এড়িয়ে চলা উচিত। এই ওষুধগুলো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই এই ধরনের যদি কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে চেষ্টা করতে হবে এই ওষুধগুলো না সেবন করে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো জীবন যাপন করা। তাহলে এ সমস্যার হাত থেকে অনেকটা বাঁচার সম্ভব হবে।

তবে আমরা বলতে পারি যে কৃমিনাশক ওষুধের বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে এবং এর ফলে নবজাতক শিশু বা নবজাতক শিশুর মায়ের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই এ সময় যতটা সম্ভব কৃমিনাশক ঔষধ গুলো এড়িয়ে চলতে হবে এবং ওষুধগুলো না খাওয়াই উত্তম। যদি কৃমির সংক্রমণ হয়ে থাকে তাহলে এই সময় অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং তার দেওয়া বিভিন্ন পরামর্শ মেনে চলতে হবে। তাহলে আশা করা যায় এ সমস্যার হাত থেকে বাঁচা সম্ভব হবে।

Leave a Comment