ডায়রিয়া হলে কি ফল খাওয়া যাবে

সাধারণত ডায়রিয়া হয়ে থাকলে বাথরুমে বারবার যেতে যেতে শরীরের অবস্থা নাজেহাল হয়ে যাই। বড় মানুষই যেখানে শরীরের দিক থেকে শক্তিহীন হয়ে ওঠে সেখানে বাচ্চাদের যদি ডায়রিয়া হয়ে যায় তাহলে তাদের শারীরিক যে শক্তি বা চলাফেরা বা কথাবার্তা তা অনেকাংশ কমে যায়। তাই ডায়রিয়া হয়ে থাকলে পানির চাহিদা পূরণ করার জন্য অবশ্যই আপনাদেরকে পরিমিত পরিমাণে স্যালাইন খেতে হবে যাতে করে শরীরের লবণ পানির পরিমাণ ঠিক থাকে। কারণ লবণ পানি যদি কমে যায় তাহলে আপনার শরীরের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যাবে এবং সেটা খুব খারাপ পর্যায়ের দিকে নিয়ে চলে যাবে।

তাই ডায়রিয়া হয়ে থাকলে অনেকে গুরুত্ব প্রদান না করলে অনেক সময় এটা একজন মানুষকে একেবারে অথর্ব করে দিতে পারে। তাই ডায়রিয়া বিষয়ে আপনাদের কখনোই অবহেলা করা উচিত নয় এবং ডায়রিয়া হয়ে থাকলে অবশ্যই গুরুত্বসহকারে রেস্ট নিয়ে ওষুধ খেতে হবে। যেহেতু বাথরুমের সঙ্গে অনেক পরিমাণে পানি বেরিয়ে যায় সেহেতু পানির চাহিদা পূরণ করার জন্য প্রচুর পানি খেতে হয়। স্যালাইন থেকে শুরু করে জুস অথবা ডাবের পানি আপনারা খেতে পারেন।

আপনারা যেহেতু এই পোস্টের মাধ্যমে ডায়রিয়া হলে কি ধরনের ফল খাওয়া যেতে পারে তা জানতে এসেছেন সেহেতু আমরা এখানে এই তথ্যগুলো আপনাদের জন্যই উপস্থাপন করতে চলেছি। ডায়রিয়া হলে উপরের উল্লেখিত খাবার গুলো খাবার মাধ্যমে আপনারা হয়তো পানির চাহিদা পূরণ করতে পারবেন কিন্তু শরীরের যে দুর্বলতা রয়েছে সেটাও দূর করার জন্য কিন্তু প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর খাদ্য খেতে হবে।তবে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে কোন ধরনের খাবার খাবেন অথবা ফল খাবার ক্ষেত্রে কোন ধরনের ফল খাওয়া যাবে সেগুলো আপনাদেরকে এখানে জানিয়ে দিতে চলেছি।

তাই আপনারা যদি ডায়রিয়ার সময় সঠিকভাবে খাদ্য নিয়ম মেনে চলতে চান তাহলে বলব যে অবশ্যই পাতলা বা নরম ধরনের খিচুড়ি খাওয়ানোর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়াতে হবে যেটা খুব দ্রুত হজম হবে। আর যদি এই ক্ষেত্রে আপনারা ডাল বা দই খাওয়াতে পারেন অথবা মুরগির মাংস খাওয়াতে পারেন তাহলে এক্ষেত্রে খুবই ভালো হবে। মাঝেমধ্যে লেবুর শরবত অথবা ভাতের মার খাওয়ালেও কিন্তু রোগীর শরীরের শক্তি আস্তে আস্তে ফিরে চলে আসবে। তাই ডায়রিয়ার সময় যদি ফলের তালিকা জানতে চান তাহলে এই ক্ষেত্রে আপনাদেরকে কলা খাওয়ানোর জন্য বলা হবে। কলার পাশাপাশি ডাবের পানি খাওয়া যেতে পারে।

এছাড়াও অন্যান্য আরো অন্য ফল রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে একজন ডায়রিয়া রোগের শরীরের পানিসূন্যতা দূর হবে। গরমের সময় হলে তরমুজের জুস খাওয়াতে পারেন অথবা বিভিন্ন ফলের জুস করে খাওয়ানো যেতে পারে। অর্থাৎ ডায়রিয়ার সময় ফলের বিষয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই এবং এই ক্ষেত্রে সকল ধরনের ফল কম বেশি খাওয়ানো যাবে। যেহেতু এই সময় রোগীর অবস্থা খুবই খারাপ থাকে সেহেতু শরীরের শক্তি ফিরিয়ে আনার জন্য এবং পানি দূর করার জন্য যে সকল ফলে পানি রয়েছে সেগুলো বেশি করে খাওয়ালে খুব ভালো হবে।

বাচ্চাদের ডায়রিয়া হলে কি ফল খাওয়া যাবে

যেহেতু ডায়রিয়ার সময় মুখের টেস্ট চলে যায় অথবা কোন খাবার খেয়ে শান্তি পাওয়া যায় না সেহেতু বাচ্চাদের ডায়রিয়া হলে তাদেরকে বুঝিয়ে অনেক সময় খাওয়ানো যায় না। এই যে সকল ফলের রস তারা পছন্দ করে অথবা ফল খেতে পছন্দ করে সে সকল ফল যদি আপনারা জুস করে দিতে পারেন তাহলে বাচ্চাদের ডায়রিয়ার সময় পানি শূন্যতার বিষয়গুলো দূর হয়ে যাবে। তবে তরল খাদ্যের মধ্যে কোল্ড্রিংস অথবা যে সকল জিনিসের কেমিক্যাল মিশ্রিত আছে সে সকল বিষয়গুলো অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে।

ডায়রিয়া হলে কি কি ফল খাওয়া যাবেনা

একজন রোগীর শরীরের শক্তি ফিরিয়ে আনার জন্য ডায়রিয়ার সময় পটায়াশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। সেই সাথে প্রবায়োটিক খেতে হবে যাতে করে শরীরের ভেতরে ভালো ব্যাকটেরিয়া ঢুকে সেটা খারাপ ব্যাকটেরিয়াকে নষ্ট করে দেয় এবং শরীরের কার্যক্রম ঠিকঠাক মত পরিচালিত করে। ডায়রিয়া যদি হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই কিছু খাবার এড়িয়ে চলা উচিত এবং এই খাবারের ভেতরে মসলা জাতীয় খাবার আগে বাদ দিতে হবে। অতিরিক্ত চিনি দেওয়া আছে এমন খাবার বাদ দিয়ে চলতে হবে। আশা করি এখানকার এই তথ্যের ভিত্তিতে আপনারা কি খাওয়া যাবে এবং কি খাওয়া যাবেনা তা বুঝতে পেরেছেন।

Leave a Comment