প্রতি মাসে একবার মাসিক হওয়া মেয়েদের ক্ষেত্রে খুবই স্বাভাবিক এবং সাধারণ একটি বিষয়। এই স্বাভাবিক বিষয়টি অস্বাভাবিক হয়ে যায় যখন মাসিক একেবারে বন্ধ হয়ে যায় অথবা একই মাসে দুইবার মাসিক হয়। মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে অথবা এক মাসে দুইবার মাসিক হলে যে কোন নারীর মনে দুশ্চিন্তা এসে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে অনেকে ভাবেন তিনি হয়তো
গর্ভবতী হয়েছেন আবার অবিবাহিত মেয়েদের ক্ষেত্রে মাসিক বন্ধ হলে ভিন্ন কোনো কারণ থাকতে পারে। যারা দীর্ঘদিন যাবত এই ধরনের সমস্যায় ভুগছেন কিন্তু কোন সমাধান খুঁজে পাচ্ছেন না তাদের জন্যই আজ আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে দিয়ে সমাধান জানার চেষ্টা করব। আমরা জানার চেষ্টা করব এক মাসে দুইবার মাসিক হওয়ার কারণ কি হতে পারে এবং এর প্রতিকার কি হতে পারে।
যদি কখনো লক্ষ্য করেন অনিয়মিতভাবে মাসিক হচ্ছে তাহলে প্রথমদিকে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হবেন না। এমন ঘটনা শুধুমাত্র আপনার সাথে ঘটে না তাই অনেকের সাথেই ঘটে এবং এর পিছনে নির্দিষ্ট কিছু কারণ থাকে। চলুন জেনে আসি কোন কোন কারণে অনিয়মিত পিরিয়ড হতে পারে। প্রথমত, শরীরের যদি হরমোনাল কোন প্রবলেম থেকে থাকে তাহলে অনিয়মিত পিরিয়ড হওয়া খুবই স্বাভাবিক।
এক্ষেত্রে অবশ্যই একজন গাইনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিক্ষার পর আসল কারণ জানা গেলে গাইনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে। যদি হরমোনাল কোন প্রবলেম থেকে থাকে তাহলে ওষুধের মাধ্যমে এর সমাধান করতে হবে।
বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মেয়েদের ক্ষেত্রে এমন সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হলে অনেকেই সমাধান খুঁজে না পেয়ে বিকল্প চিন্তা-ভাবনা করেন। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আমরা আসল কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করি না। এখনকার সময়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানে অনেক আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয় যার মাধ্যমে খুব সহজেই যে কোন সমস্যা চিহ্নিত করা সম্ভব। সমস্যা চিহ্নিত হওয়ার আগে কোন ধরনের ঔষধ সেবন করা উচিত নয় কারণ এতে হিতে বিপরীত হবার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে।
সবচেয়ে বড় কথা হল বাড়িতে বসে বসে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। এ বিষয়ে আপনারা যদি আরও বেশি পরামর্শ পেতে চান তাহলে বেশ কিছু গাইনি বিশেষজ্ঞের ফেসবুক পেজ এবং তাদের ভিডিও ফলো করতে পারেন যেখানে তারা নিয়মিত নানান বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের অনেক বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোতে নিয়মিত গাইনি ডাক্তাররা আসেন এবং নানান বিষয়ে দর্শকদের সাথে আলোচনা করেন। এই ধরনের অনুষ্ঠানগুলোতে চোখ রাখলে আপনারা বুঝতে পারবেন কিভাবে এসব সমস্যার সমাধান করা যায়।
এক মাসে দুইবার মাসিক হওয়া কখনোই মেনে নেওয়া যায় না আর এটি কখনোই হতে দেওয়া উচিত নয় এমনটাই গাইনি ডাক্তাররা বলে থাকেন। এক মাসে দুইবার মাসিক হলে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই বিষয়গুলো শরীরের জন্য ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ। প্রথমবার এমন লক্ষ্য করলে সাথে সাথে প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত কারণ একটু দেরি করলেই শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে যাবার প্রবণতা দেখা দিতে পারে। অনেকে হয়তো প্রথমদিকে এই বিষয়টি খুব একটা আমলে না নিতে পারেন কিন্তু পরবর্তীতে অনেক বড় সমস্যায় পড়তে হতে হয়। আপনারা যদি সরাসরি
কোন ডাক্তারের কাছে গিয়ে এই বিষয়গুলো শেয়ার করতে না পারেন তাহলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা চেষ্টা করব বেশ কিছু গাইনি ডাক্তারের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে এখানে সংযুক্ত করে দিতে যেন এই মোবাইল নাম্বার গুলি সংগ্রহ করে আপনারা ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন এবং আপনাদের সমস্যাগুলো শেয়ার করতে পারেন। আপনারা যদি এ বিষয়ে আগ্রহী হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানান। আর হ্যাঁ, এক মাসে দুইবার মাসিক হলে অবশ্যই আল্টাসনোগ্রামের মাধ্যমে নিশ্চিত হতে হবে এর কারণ কি হতে পারে।