একটি শিশু জন্মগ্রহণের পর সেই নবজাতকের এবং সেই নবজাতকের মায়ের বিশেষ যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন হয়। কারণ যদি সে নবজাতক শিশু এবং সে শিশুর মায়ের বিশেষ যত্ন নেওয়া না হয় তাহলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে বা বিভিন্ন রোগের শিশু এবং মা আক্রান্ত হতে পারে। তাই বাচ্চাদের অবশ্যই বিশেষ যত্ন নিতে হবে এবং বাচ্চার মায়েদের বিশেষ যত্ন নিয়ে তাদেরকে সুস্থ রাখতে হবে। কিন্তু কোন কারনে যদি বাচ্চা অথবা বাচ্চার মায়ের সমস্যা হয় বা তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ সেবন করতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। কারণ বিভিন্ন ছোটখাটো সমস্যা থেকে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই যেকোন সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া যাবে না, সে সমস্যাগুলো সমাধান পেতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ সেবন করতে হবে এবং সে পরামর্শের মতো বিভিন্ন কাজ করতে হবে। তাহলে আশা করা যায় মা ও শিশু উভয়ে ভয়ে ভালো থাকবে।
শিশু কথা বলতে পারেনা এবং তারা বিভিন্ন ধরনের আচরণ করতে পারেনা। বড়রা যেমন বিভিন্ন সমস্যা হলে সে সমস্যাগুলো বলতে পারে এবং চিকিৎসকের থেকে পরামর্শ মতো ওষুধ সেবন করে সুস্থ হতে পারে। কিন্তু এমনিতে সেরকম করে সে বাচ্চারা তাদের সমস্যার কথাগুলো বলতে না পারার কারণে তাদের সমস্যাগুলো বোঝা একটু কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু একটি বাচ্চার মা বুঝতে পারে যে সে শিশুটি কি ধরনের সমস্যার মধ্যে রয়েছে। তাই বাচ্চার ক্ষেত্রে অনেকটা যত্নশীল হতে হবে এবং বাচ্চার মা ও আত্মীয়দের বাচ্চাদেরকে নজর রাখতে হবে। যেন বাচ্চার সমস্যা হলে সহজেই বুঝতে পারা যায়। আর এই ধরনের বিভিন্ন সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো বাচ্চার চিকিৎসা করাতে হবে বা প্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন করাতে হবে। তাহলে বাচ্চা সুস্থ হয়ে যাবে।
বাচ্চার যদি কোন সমস্যা হয় বা নবজাতক শিশুর যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে ঘাবড়ানো যাবে না। না ঘাবড়ে চিকিৎসকের পরামর্শ মত ঠিকমতো ওষুধ খাওয়াতে হবে। তাহলে সে শিশুটি সুস্থ হয়ে পড়বে। বাচ্চারা যেহেতু অসুস্থ হলে বলতে পারে না বা বড়দের মতো আচরণ করতে পারে না, সেহেতু তাদের সমস্যা গুলো বুঝতে পারো অনেকটা কঠিন হয়ে পড়ে। একজন মা যদি খেয়াল করে তাহলে বাচ্চার সমস্যা গুলো বুঝতে পারে এবং সে সমস্যার কথাবার্তা মা ডাক্তারকে বলে ডাক্তারের ওষুধ খাওয়াতে পারে তাহলে বিভিন্ন সমস্যার হাত থেকে বাঁচা যাবে।
বাচ্চারা তাদের সমস্যার কথাগুলো জানাতে না পারলেও বা নবজাতক শিশু তাদের সমস্যার কথা জানাতে না পারলেও তাদের আচরণের মাধ্যমে অনেকটা জানা যায়। বাচ্চারা বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে থাকলে তারা ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করে না এবং তারা হাসি আনন্দ করে না। বাচ্চারা বিভিন্ন সময় হাসে, খেলাধুলা করে। কিন্তু যদি তাদের শরীর খারাপ থাকে তাহলে তারা হাসবে না, আবার ঠিকমতো খাবার গ্রহণ করবে না। বাচ্চাদের যদি বদহজমের কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে তাদের বিভিন্ন সময় শরীর মোচড়াতে দেখা যায়। তাদের বদহজম হওয়ার কারণে তারা শান্তি পায় না। এজন্য তাদের পেট মোচড়ানো ভাবটা চলে আসে। তাই বাচ্চাদের কোনো কারণে পেট মোচড়ায় তাহলে বুঝতে হবে বাচ্চার পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে বা বদহজম জাতীয় সমস্যা হতে পারে। তাই এ সময় সাধারণভাবে চেষ্টা করতে হবে বাচ্চা যেন বদহজম না হয়।
এজন্য বাচ্চা যদি শরীর মোচড়াতে থাকে তাহলে বুঝতে হবে যে বাচ্চার গ্যাশ জাতীয় বিভিন্ন সমস্যা হয়েছে। কোন সময় দেখা যায় যে বাচ্চার পেট ফুলে যায় এ সময় বেশি ঘাবড়ে না গিয়ে বাচ্চার চিকিৎসা করাতে হবে এবং ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খাওয়ালে বা পরামর্শ মতো নিয়ম মেনে চললে এ ধরনের সমস্যা হাত থেকে সহজে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।