চালতা ফল দেখতে কেমন হয় সেটি কি আপনি জানেন? চালতা ফল দেখতে কোন ফলের মত সেটাও হয়তোবা আপনার জানা নেই। আর এগুলো যদি জানতে চান তাহলে আমাদের এই প্রবন্ধের মধ্যে থেকেই আপনাকে জানতে হবে। কেননা আপনি আমাদের এই প্রবন্ধ ছাড়া অন্য কোন প্রবন্ধে এই চালতা ফল সম্পর্কে জানতে পারবেন না। চালতা ফল কিভাবে উৎপত্তি হয়েছিল, চালতা ফল কোথা থেকে এসেছে এ সম্পর্কে কোন কিছুই আপনি জানতে পারবেন না।
এই জন্য আপনাকে অবশ্যই আমাদের প্রবন্ধটি পড়তে হবে। আমাদের এই প্রবন্ধটি যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে চালতা ফল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আপনি জানতে পারবেন। এই সকল বিস্তারিত তথ্য অন্য কোন ওয়েবসাইটে পাবার কোন সম্ভাবনা নেই। আপনি গুগলেও এমন বিস্তারিত তথ্য পাবেন না। যে সকল বিস্তারিত তথ্য গুলো আমাদের ওয়েব সাইটে আমাদের প্রবন্ধের মাধ্যমে আমরা প্রতিনিয়তই আপনাদেরকে জানিয়ে দিচ্ছি।
চালতা
চালতা ফলের বিভিন্ন নাম রয়েছে। যেমন: চালতা বা চালিতা বা চাইলতে এটি এক ধরনের ভারতবর্ষীয় উদ্ভিদ। চালতার ফল খুব আদরনীয় নয়। এই ফল দিয়ে চাটনি বা আচার তৈরি করা হয়। গাছ দেখতে অনেক সুন্দর বলে অনেক সময় দেখা যায় যে সহবর্ধক তরুণ হিসেবে এই গাছকে অনেক উদ্যানে লাগিয়ে রাখা হয়।
এই গাছটির উৎপত্তি মূলত দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া। এটি বাংলাদেশ, ভারত, চীন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া ইত্যাদি দেশেও পাওয়া যায়। এই গাছটি মাঝারি আকারের চিরহরিৎ বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ। এ গাছের উচ্চতা প্রায় ১৫ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। গাছের গায়ে লালচে রংয়ের চকচকে বাকল থাকে। পাতার কিনারা খাতকাটা শিরা উঁচু সমান্তরাল। চালতার সাদা রঙের ফুল দেখতে অনেক সুন্দর। এটি সুগন্ধযুক্ত ফুলের ব্যাস প্রায় ১৫ থেকে ১৮ সেন্টিমিটার। ফুলের পাঁচটি মোটা পাপড়ি বেষ্টিত কেন্দ্রে প্রচুর হলুদ পুংকেশর থাকে। ফল টক বলে চালতার আচার, চাটনি, টক ডাল অনেকেই প্রিয় খাদ্য হিসেবে খেয়ে থাকেন। পাকা ফল পিষে নিয়ে নুন লঙ্কা দিয়ে মাথা লেটা অনেক বেশী লোভনীয় খাদ্য হিসেবে অনেকের কাছে সুপরিচিত।
চালতার গুণাগুণ
চালতার বেশ কিছু গুনাগুন রয়েছে। নিচে চালতার বেশ কিছু গুনাগুন আপনাদেরকে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। চালতা ফল যে কতগুলো কাজে আসে। চালতা ফল কত রকম ভাবে আপনি ব্যবহার করতে পারেন, কত রকম ভাবে এই ফুলগুলো বা এই চালটা ফলের গুনাগুন আমরা ব্যবহার করে কত ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেতে পারি সেটা বিস্তারিতভাবে নিচে উল্লেখ করা হয়েছে। আপনারা এগুলো মনোযোগ সহকারে পড়লেই সকল বিস্তারিত তথ্যগুলো উপলব্ধি করতে পারবেন এবং সকল তথ্যগুলো বুঝতে পারবেন।
➔ ঠান্ডা লেগে জ্বর হলে চালতার রস অনেক উপকারে লাগে।
➔ বাতের ব্যথাতে কচি চালতার রস জলের সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
➔ রক্ত আমাশয়ের জন্য চালতার কচি পাতার রস উপকার।
➔ কফ ও সর্দির জন্য গাছের ছালের গুঁড়া নিরাময়ের কাজ করে।
➔ তাছাড়াও মুখে ঘা কিংবা চামড়া উঠে গেলে এটি খেলে তাড়াতাড়ি সারে।কারণ ,এতে আছে ভিটামিন সি ও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিক্সিডেন্ট।
উল্লেখিত তথ্যগুলো যদি আপনার উপলব্ধি করেন তাহলে দেখতে পাবেন যে এখানে চালতার বেশ কিছু গুণাবলী সম্পর্কে আপনাদেরকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। আপনারা যদি চালতার গুণাবলী সম্পর্কে আরো কোন তথ্য জানতে চান তাহলে আমাদেরকে নিজে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন তাহলে আপনি আরো অনেকগুলো তথ্য জানতে পারবেন।
আপনি চাইলে একটি কাজ করতে পারেন সেটা হল এই চালতা ফল এর ছবি আমাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। চালতা ফলের যে সকল ছবি আমাদের কাছে রয়েছে এই সকল ছবিগুলো আপনারা googleও পাবেন না। শুধুমাত্র আমাদের কাছে এই সকল ছবিগুলো পাবেন। এই জন্য আপনাদেরকে অবশ্যই আমাদের প্রবন্ধ পড়তে হবে। আমাদের প্রবন্ধগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনি সকল ছবিগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। অন্য কোন মাধ্যমে আপনি এ সকল ছবি সংগ্রহ করতে পারবেন না। আর তাই আপনাদেরকে অবশ্যই প্রবন্ধগুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।