চাঁদপুর থেকে বরিশাল লঞ্চের সময়সূচি ২০২৪

আমাদের আজকের আলোচনার মূল বিষয় হলো চাঁদপুর থেকে বরিশালে যে লঞ্চগুলো চলাচল করে তাদের সময়সূচি নিয়ে। যারা নিয়মিত চাঁদপুর থেকে বরিশালে যাতায়াত করতে চায় তাদের কাছে এই সময়সূচি গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সময়মতো লঞ্চে ওঠা এবং সময় মত যাত্রা পরিকল্পনা করা একজন যাত্রীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা যারা এই রুটে নিয়মিত চলাচল করেন তাদের জন্য আশা করছি আমাদের আজকের আর্টিকেল সন্তোষজনক হবে।

আমরা চাঁদপুর থেকে বরিশালের লঞ্চের খুঁটিনাটি তথ্য নিয়ে আজকে এই আর্টিকেল লেখার চেষ্টা করব। আমরা চেষ্টা করেছি অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে তথ্যগুলো সংগ্রহ করতে যার কারণে আপনারা কোন ধরনের ভুল তথ্য পাবেন না। আপনারা বিশ্বাস করতে পারেন আমাদের ওপর এবং আমাদের এই আর্টিকেল এর উপর। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে চাঁদপুর থেকে বরিশালের লঞ্চ এর সময়সূচী সম্পর্কে জানা যাক।

মাত্র ৫০০ টাকায় চাঁদপুর ভ্রমণ

আপনারা যারা অল্প খরচের মাধ্যমে চাঁদপুরে ভ্রমণ করতে চান তাদের জন্য মূলত এই অংশটুকু। চাঁদপুরের যেই লঞ্চগুলো রয়েছে সেই লঞ্চগুলো মূলত লালকুঠি ঘাটের কাছ থেকে ছাড়ে এবং সদরঘাটে টার্মিনালে পূর্বদিকে অবস্থিত। চাঁদপুর থেকে সেই লঞ্চগুলো বরিশাল আসে সেগুলো ৩০ মিনিট পরপর আবার পুনরায় বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

আপনারা যারা ঢাকা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে চাঁদপুরে যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এই জার্নি হবে মাত্র তিন ঘন্টার। যারা মূলত ভালো মানের লঞ্চে যাতায়াত উপভোগ করতে চাচ্ছেন তাদের কাছে রয়েছে বেশ কয়েকটি লঞ্চ এর অপশন।

ঢাকা টু চাঁদপুর লঞ্চ এর ভাড়া

আপনারা যারা ঢাকা থেকে চাঁদপুরে লঞ্চে যেতে চান তাদের অবশ্যই প্রথমত লঞ্চের ভাড়া সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। আপনার পকেটে ভাড়া নেই এবং আপনি লঞ্চে উঠে বসে আছেন তাহলে অবশ্যই যে কোন সময় যে কোন বিপাকে পড়তে পারেন।

তাইতো আমরা আপনাদের জন্য একেবারেই বিভিন্ন শ্রেণি অনুযায়ী লঞ্চ কর্তৃপক্ষ কত টাকা ভাড়া নির্ধারণ করে রেখেছে সে সম্পর্কে একটি বিস্তারিত তালিকা নিয়ে হাজির হয়েছি। এই তালিকা থেকে আপনারা সরাসরি চাঁদপুর এবং ঢাকা রুটে চলাচলকারী প্রত্যেকটি লঞ্চ এবং প্রত্যেকটি শ্রেণীর আসন বিন্যাস অনুযায়ী ভাড়ার সঠিক তথ্য জানতে পারবেন।

আপনারা যারা সচরাচর লঞ্চে যাতায়াত করেন তাদের কাছে ডেক টিকেট অর্থাৎ মেঝের টিকিট একটি কমন বিষয়। অনেকে ইচ্ছাকৃতভাবে অল্প খরচে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ডেকে বসে যায় আবার অনেকেই রয়েছে বাধ্য হয়ে অন্য জায়গাতে টিকিট না পেয়ে মেঝেতে বসে যায়। তাদের জন্য ঢাকা থেকে চাঁদপুরের লঞ্চের ভাড়া মূলত 100 টাকা।

যারা দ্বিতীয় শ্রেণীর নন এসি চেয়ারে যেতে চান তাদের জন্য এখানকার ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা পর্যন্ত।যারা প্রথম শ্রেণি অর্থাৎ এসি ইকোনোমিক চেয়ার এই আসনে বসে যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য সর্বোচ্চ ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে 250 টাকা।

এছাড়াও আপনারা যারা বিজনেস ক্লাস এসি বিজনেস চেয়ারে যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য সর্বোচ্চ ভাড়া ৩০০ টাকা নির্ধারণ হয়েছে। লঞ্চের ক্ষেত্রে সিঙ্গেল কেবিনের প্রচুর ব্যবহার হয় এবং এই সিঙ্গেল কেবিন যেগুলো নন এসি সেগুলোর ভাড়া ৪০০ টাকা এবং যেগুলো এসি সেগুলোর ভাড়া ৪৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়াও যারা ডাবল কেবিনে যাতায়াত করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য ডাবল কেবিন নন এসির ভাড়া ৮০০ টাকা এবং ডাবল কেবিন ac এর ভাড়া 900 টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়াও যারা ভিআইপি কেবিনে যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য সিঙ্গেল ভিআইপি কেবিনের ভাড়া এক হাজার টাকা এবং ভিআইপি কেবিনের ভাড়া দুই হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

একটি বিষয় না বললেই নয় আপনারা সকলে বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং বিশ্ব অর্থনীতির পরিস্থিতি বুঝতে পারছেন। যার কারণে সকল ধরনের তেলের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে লঞ্চ এর ভাড়া ও বৃদ্ধি পাবে। তাই অবশ্যই এই তথ্যগুলো জানতে আমাদের আপডেট গুলো আপনারা ভালোভাবে লক্ষ্য করুন।

Leave a Comment