শিশু ভাতা অনলাইন আবেদন ফরম ২০২৪

আপনারা অনেকেই শিশু ভাতা অনলাইন আবেদন ফরম সম্পর্কে জানতে চান। আমরা আমাদের আজকে আর্টিকেলে শিশু ভাতা অনলাইন আবেদন ফরম ২০২৪ এ আপনি কিভাবে আবেদন ফরম করবেন আপনার শিশুর জন্য সে বিষয়ে আপনাদের ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব। বর্তমান সময়ে গরীব দুঃখীদের জন্য বাংলাদেশ সরকার অনেক কিছুই দিয়ে থাকে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শিশু ভাতা।

আপনি যদি একজন গর্ভবতী মা হয়ে থাকেন তাহলে, অবশ্যই আপনাকে শিশু ভাতা পাওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে। কিভাবে আপনি অনলাইনে আবেদন করবেন আমাদের আর্টিকেলটি আপনি যদি পুরোটা পড়েন তাহলে সে বিষয়ে আপনি ধারণা পেয়ে যাবেন। আমাদের আর্টিকেলটি পুরো পড়লে আপনি নিজেই আপনার আবেদনটি সাবমিট করে রাখতে পারবেন। আপনার গর্বের সন্তানের বয়স যদি চার থেকে ছয় মাস হয়ে থাকে তাহলে আপনি বাংলাদেশ সরকারের যে ওয়েবসাইট রয়েছে সে ওয়েবসাইটের নিয়ম অনুযায়ী আপনার আবেদনটি সাবমিট করে রাখবেন।

নারী ও শিশু বিষয়ক মহিলা অধিদপ্তরের মাধ্যমে আপনাকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই ভাতা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। আপনি যদি আবেদনের একজন সঠিক প্রার্থী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি তিন বছর এই ভাতার টাকা পাবেন। এই শিশু ভাড়া টা পেতে হলে আপনাকে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে এবং কিভাবে এই তথ্য প্রদান করতে হবে তা আমরা আমাদের আর্টিকেলে জানিয়ে দেব।

প্রথমে আপনাকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে আপনার আবেদনকৃত ফর্মটি তুলতে হবে আপনি ফর্মটি তোলার পর সেই ওয়েবসাইটের ভাষায় এটা মাতৃকালীন ভাতা হিসাবে আবেদন করতে হবে। আবেদন করতে হলে যেসব তথ্য এবং শর্ত গুলো রয়েছে সেগুলো অবশ্যই আপনাকে পূরণ করতে হবে। আপনি যদি প্রথমবার গর্ভবতী হয়ে থাকেন সেটা উল্লেখ করতে হবে এছাড়া আপনি যদি দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হয়ে থাকেন সেটাও আপনাকে উল্লেখ করে দিতে হবে এই আবেদন ফরমে। এন আই ডি কার্ড অনুযায়ী আপনাদের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে থাকতে হবে তাহলে আপনি এই আবেদনটি করতে পারবেন।

তবে আপনার বয়স যদি ২০ বা ২৫ এর ঊর্ধ্বে হয়ে থাকে তাহলে আপনি এই আবেদনটি করতে পারবেন না। এর বেশ কিছু নিয়মকানুন রয়েছে তাই আপনাকে এ নিয়ম কানুনের একজন সঠিক সদস্য হতে হবে। আবেদন করতে হলে আপনি মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের যেই অফিসার ওয়েবসাইট আছে সেই ওয়েবসাইটে ঢোকার মাধ্যমে আপনি এটি রেজিস্ট্রেশন করে নিতে পারবেন।

আবেদন ফরমটি তোলার পর আপনাকে সেখানে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র আপনার স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ঠিকানা সহ বিভিন্ন জিনিস ইংরেজি ও বাংলাতে লিখতে হবে। ফুল ঠিকানা ও আবেদনফামের যে আর কিছু চেয়েছে সেগুলো আপনাকে ঠিকমতো পূরণ করে সেটা পরবর্তী সময়ে মহিলা অধিদপ্তর অফিসে জমা দিতে হবে।অবশ্য আপনাকে মনে রাখতে হবে এলাকায় যে নামে আপনি পরিচিত সেই নামটি এখানে উল্লেখ করবেন এবং সেইসাথে জন্ম তারিখ ও জন্মস্থান উল্লেখ করতে হবে। এরপরের বৈবাহিক অবস্থা মোবাইল নাম্বার এবং সেখানে যে সকল তথ্য আপনাকে দিতে বলা হয়েছে যেমন রক্তের গ্রুপ ও বলা হয়ে থাকে দিতে সেটাও আপনাকে দিতে হবে।

নিয়ম অনুযায়ী বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা ঠিকভাবে হয়েছে কিনা সেটা প্রদান করতে হবে তাহলে আপনি তথ্যগত ভুল না হলেও এর পরে আপনাকে আর্থসামাজিক। বিষয়গুলো ঠিক ভাবে যদি আপনি করতে পারেন তাহলে যাচাই-বাছাই এরপর আপনি যদি ভাতা পাওয়ার যোগ্য হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে ভাতা থাকার সুষ্ঠুভাবে দেওয়া হবে।

আমরা আমাদের আর্টিকেলে আজ মাতৃকালীন ভাতা অথবা শিশু ভাতা বিষয়ে আপনাকে জানানোর চেষ্টা করেছি কিভাবে আপনারা খুব সহজেই এই ভাতার কাজটি করে নিতে পারেন। এছাড়াও আপনি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে যোগাযোগ করে খোঁজখবর রাখতে হবে।

Leave a Comment