যারা ছোটবেলা অর্থাৎ শৈশবের স্মৃতি এবং শৈশবের মুহূর্তগুলো স্ট্যাটাস এবং নাটক আকারে শেয়ার করতে চাই তাদের জন্যই আজকের এই আর্টিকেলটি তৈরি করা হয়েছে।এখানে রয়েছে আমাদের পুরনো সেই গ্রামীণ শৈশবের কিছু দৃশ্য চিত্র। এই ছবিগুলো ডাউনলোড করে আপনারা আপনাদের মধুর শৈশবের স্মৃতিগুলো শেয়ার করতে পারবেন।আমাদের জেনারেশন এর সেই সোনালী শৈশবের ছবিগুলো দেখেই এখনকার জেনারেশনের বাচ্চারা বুঝতে পারবে যে অতীতের জীবনযাপন কেমন ছিল। কোথায় হারিয়ে ফেলেছি আমাদের সেই শৈশব। আগেকার সেই দিনগুলো।
আগে আমাদের জীবনে অনেক কিছুর অভাব ছিল কিন্তু মানুষের শান্তি এবং সুখ আনন্দ ছিল ভরপুর। এখন জীবন অনেক সহজ তরো হয়ে গেছে কিন্তু সবাই মানসিক শান্তি এর অভাব বোধ করছে। সবাই অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। হতাশ জীবন যাপন করার চেয়ে অধিকাংশ কিশোর কিশোর।শৈশবকালের নিদ্দিষ্ট কোন বয়স পরিসীমা নেই। সাধারণত জন্মের পর থেকে শৈশবকাল শুরু হয় এবং বয়ঃসন্ধিকা্লে শেষ হয়। বিশ্বের অনেক দেশে শৈশবকালের একটি বয়স সীমা বেধে দেওয়া হয়েছে যা অতিক্রম করার পর তারা পূর্নবয়স্ক হিসাবে বিবেচিত হয়। এই বয়স সীমা বিভিন্ন দেশভেদে ১৫-২১ বছরের মধ্য কিন্তু অধিকাংশ দেশে তা ১৮ বছর ।
আমাদের জেনারেশনের ছেলেমেয়েরা অনেক সুন্দর শৈশব উদযাপন করেছে। আমরা আজও আমাদের সেই ছোটবেলার দিনগুলো খুব বেশি মিস করি। তাই আমরা যারা ফেসবুকে এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে একটিভ রয়েছে তারা কিন্তু আমাদের ছোটবেলার মুহূর্তগুলো শেয়ার করার মাধ্যমে একে অন্যের কাছে সুন্দর একটি সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারি। শৈশবের মজাদার একটি গল্প লিখে তার সঙ্গে শৈশবের একটি ছবি অবশ্যই যোগ করতে হবে। আমাদের জেনারেশনের শৈশবের চিত্র এবং এখনকার আধুনিক শৈশবের চিত্রের মধ্যে অনেক পার্থক্য। আগেকার দিনের শিশুদের টায়ার নিয়ে খেলা, মার্বেল নিয়ে খেলা, করি পাথর দিয়ে খেলা, লাটিম দিয়ে খেলা ইত্যাদি এর চিত্রগুলো এখনকার শিশুদের কাছে খুব অচেনা। তাদের এই সব বিষয়ে জানতে হলে আমরা আমাদের শৈশবের চিত্রগুলো দেখাতে পারি।
গ্রামের মেঠো পথে গ্রাম্য বাচ্চাদের বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির ছবি
প্রদীপের আলো জ্বালিয়ে লেখাপড়া করার ছবি। বিকালবেলা সব বাচ্চারা বসে হাওয়া খাওয়ার ছবি। হাতপাখা দিয়ে ঠান্ডা বাতাস, দুপুরবেলা মায়ের কাছে জোর করে ঘুমিয়ে থাকা, মায়ের আঁচলে হাত মুখ মুছা, বিকেল হলেই এক ঝাঁক বন্ধু-বান্ধব মিলে খেলাধুলা করা ইত্যাদি আমাদের শৈশবের এই চিত্রগুলো উঠিয়ে তোলা হয়েছে এই আর্টিকেলটিতে ।চলুন তাহলে আমরা শৈশবের ছবিগুলো দেখে নেব। আশা করছি এই ছবিগুলো দেখে আপনারাও আপনাদের শৈশবের দিনগুলোর সকল স্মৃতি মনে করতে পারবেন।
শৈশবের ছবি
উপরে দেওয়া ছবিগুলো আমাদের জেনারেশন এর বাচ্চারা শুধু চিনবে। যারা এই জেনারেশন এবং যাদের শৈশব গ্রামীণ পরিবেশে অতিবাহিত হয়েছে তারাই বুঝবে এসবের মর্ম। এখনকার আধুনিক বাচ্চাদের শৈশব আমাদের মত ছিল না। আমাদের সময় কম্পিউটার এবং ভিডিও গেম ছিল না। কিন্তু এসব না থাকলেও বিনোদন এবং মজার কোন অভাব ছিল না আমাদের শৈশবে।বিদ্যুৎ না থাকলেও সন্ধ্যা বেলা একসঙ্গে বসে পড়াশোনা করা এবং সবাই মিলে মুড়ি মাখা খাওয়া। গল্প বলা, নাটক বলা, গান বলা ইত্যাদি। তখনকার দিনগুলো সত্যিই অনেক ভালো ছিল।
শৈশবের সেই দিনগুলোতে আর ফিরে যাওয়া সম্ভব না তবে সেই স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য অনেকে আছেন যারা ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে থাকেন শৈশবের স্মৃতি নিয়ে তাদের জন্য এই পোষ্টের মাধ্যমে কিছু নতুন স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন তুলে ধরা হবে আশা করি ভালো লাগবে। তাহলে আর সময় নষ্ট না করে দেখে নিন শৈশব নিয়ে উক্তি এবং শৈশবের আর যে কোন একটা মজাদার কাহিনী লিখে আমরা শেয়ার করে নিজেদের শৈশবের স্মৃতিগুলো আবার তাজা করে নিতে পারি। শৈশবের কোন কোন মুহূর্ত কোন কোন ঘটনা রয়েছে যেগুলো আমাদের কাছে খুবই আনন্দদায়ক হয়ে থাকে। এখনো মাঝে মাঝে সেই মুহূর্তগুলো মনে পড়লে আনন্দ অনুভব হয়। তাই যারা নিজেদের সুন্দর শৈশবের মুহূর্ত গুলো শেয়ার করতে চাই তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি।