শিশুদের কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে অনেকের মধ্যে অনেক ধরনের চিন্তা ভাবনা আছে। আমরা বহুদিন ধরে এই বিষয়টি খেয়াল করছি এবং বহুদিন ধরে এ বিষয়ে লেখালেখি করার চেয়ে পরিকল্পনা করছি। আমরা চেষ্টা করেছি বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আমরা বিভিন্ন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছি। চিকিৎসঙ্গের সঙ্গে কথা বলার পরে আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি এবং বিভিন্ন চিকিৎসকের বিভিন্ন কথা থেকে আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি সেই বিষয়ে আজকে আলোচনা করব। নিজের সন্তানের প্রেমের ঔষধ নিয়ে যারা চিন্তায় আছেন এবং সন্তানকে কৃমির ওষুধ খাওয়াবেন কিনা এবং খাওয়ালে কতটুকু খাওয়াবেন এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা পাবেন আমাদের আজকের প্রতিবেদন থেকে।
কিছু জিনিস পরিষ্কারভাবে বলতে চাই সেটা হচ্ছে ঔষধ আছে সেটার নির্দেশনা যেটা আমরা পাই সেখানে দুই বছরের নিচে শিশুদের ক্ষেত্রে এই ঔষধ খাওয়ানো যাবে না। অনেকেই বলে থাকেন সন্তানের বয়স দুই বছর হয়নি কিন্তু সন্তানের পেটে কৃমি হয়েছে সেটা তারা বুঝতে পারছেন। তাদের জানাতে চাচ্ছি আপনি ভালোভাবে আরও একবার দেখুন নিজের সন্তানের পেটে কৃমি হয়েছে কিনা যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে দ্রুত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তার কারণ হচ্ছে অবশ্যই আলাদা কোন সমস্যা আছে বা বড় ধরনের কোন সমস্যা আছে যার কারণে আপনার সন্তানের পেটে দুই বছরের আগেই কৃমি জন্মগ্রহণ করেছে । এই ক্ষেত্রে দ্রুত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই আপনাকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে আপনি কি করতে চাচ্ছেন।
১ বছর বাচ্চাদের কৃমির ঔষধ খাওয়ানোর নিয়ম
এক বছর বাচ্চাদের কৃমির ঔষধ খাওয়ানোর নিয়ম সম্পর্কে আমরা কিছুই বলতে পারব না। কারণ এই বিষয়গুলো খুব সেনসিটিভ। এক বছরের বাচ্চাদের প্রত্যেক বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের অবস্থা এক থাকেনা এক বছরের অবস্থায় কোন বাচ্চার ওজন থাকে 15 কেজি কোন বাচ্চার ওজন থাকে আবার ৭ কেজি। কোন বাচ্চা শারীরিক দিক দিয়ে খুব শক্তিশালী হয় আবার কোন বাচ্চা শারীরিক দিক দিয়ে হয় অনেক দুর্বল। অনেক সময় বাবা মার মুখের কথা শুনেই কেউ বিশ্বাস করতে পারে না তার সন্তানের পেটে কৃমি হয়েছে তাই সেটাও দেখা প্রয়োজন রয়েছে।
তাই আমরা অনুরোধ জানাবো এক বছরের শিশুদের পেটে যদি কৃমি হয় তাহলে অবশ্যই একজন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যান। সেখানে আপনি সঠিক সমাধান পাবেন তবে আমরা জানানোর চেষ্টা করবো আরো অন্যান্য বিষয়গুলো যেগুলো সম্পর্কে আপনারা সতর্ক থাকতে পারেন।
২ বছরের বাচ্চাদের কৃমির ঔষধ খাওয়ানোর নিয়ম
দুই বছরের ওপরে যেই শিশুদের পেটে কৃমির সমস্যা হয় তাদের জন্য অবশ্যই কিছু ঔষধ আছে এবং এই ওষুধগুলো খাওয়ানোর নিয়ম আছে। ওষুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে ঔষধ খাওয়ানো যাবে কিনা। তিনি যদি ওষুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দেন তাহলে অবশ্যই খেয়াল করবেন তিনি আপনাকে মানতে বলবে।
এই ক্ষেত্রে বাচ্চাদের খাওয়ানোর জন্য যে সিরাপ গুলো রয়েছে সেই সিরাপ গুলোর একটি নির্ধারিত পরিমান রয়েছে এখানে সামান্য সমস্যার জন্য বাচ্চাদের এক চামচ এর একক ডোজ খাওয়ানোর পরামর্শ দিবে চিকিৎসকেরা। যদি এর থেকে গুরুতর সমস্যা থাকে সেই ক্ষেত্রে এক চামচ এর একক ডোজ তিন দিনের জন্য দিতে হবে। এটা হচ্ছে দুই বৎসর বাচ্চাদের কৃমির ঔষধ খাওয়ানোর সঠিক নিয়ম তবে এর বাইরে নিয়ম কম বেশি হওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বাচ্চাদের কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো
বাচ্চাদের কৃমির ঔষধ সম্পর্কে বলতে গেলে বাজারে থাকা প্রায় প্রত্যেকটি ঔষধ ভালো তবে যে ওষুধগুলো বেশি বিকৃত হয় অর্থাৎ যেগুলো ব্যবহার করে বাচ্চাদের কোন সাইড ইফেক্ট পাওয়া যায় না সেই ওষুধগুলো খাওয়ানোর সবথেকে বেটার। ভালো ওষুধের দাম একটু বেশি থাকলেও চেষ্টা করুন নিজের সন্তানকে ভালো ওষুধ খাওয়াতে যাতে সঠিক কাজ হয়।