বাংলাদেশের আবহাওয়া জনিত কারণে আমাদের প্রায় সময় ও হাচির মতো সমস্যা গুলো হয়ে থাকে প্রতিনিয়ত। বাংলাদেশের ঋতু পরিবর্তনের কারণে যেকোনো সময় যেকোন মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই আমাদের সব সময় সুস্থ থাকতে হলে একটু নিয়ম কানুন করে চলতে হবে। তবে সর্দি বা হাচির মতো সমস্যা যদি আপনার থেকে থাকে তাহলে এটা নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই আপনি ঘরে বসে ঘরোয়া উপায়ে এই সমস্যার সমাধান করে নিতে পারবেন। আমরা আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে আজ আপনাদের সর্দি ও জ্বর, হাঁচির সমস্যা থাকলে আপনি কিভাবে এর চিকিৎসা করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাবো। চলুন তাহলে আজকে রাতে শুরু করা যাক।
ঘরোয়া উপায়ে সর্দি ও কাশির চিকিৎসা
ঘরোয়া উপায়ে সর্দি ও কাশির সমস্যা যদি আপনি দূর করতে চান তাহলে আমাদের নিচে উল্লেখিত বিষয়গুলো আপনাকে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে তাহলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যেতে পারবেন চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক কোন কাজ গুলো আপনাকে করতে হবে।
১. আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে, আপনি যদি ভালোমতো ঘুমাতে পারেন তাহলে আপনার শরীর তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ!
২. প্রচুর পরিমাণে আপনাকে পানি পান করতে হবে!
৩. পানির পাশাপাশি তরল যাতে যে খাবারগুলো আছে সে খাবারগুলো খাওয়ার চেষ্টা করবেন যেমন ফলের জুস, চিড়া পানি, ডাবের পানি, এছাড়াও পানি শূন্যতা এড়াতে আপনি তরল জাতীয় যে কোন খাবার খেতে পারেন।
৪. সর্দি কাশি হলে আমাদের অনেক বেশি গলা ব্যথা হয়। এ সময় আপনি পানি একটু গরম করে নিয়ে, সে পানিতে অল্প পরিমাণে লবণ দিয়ে আপনি সেটা মুখের মধ্যে নিয়ে গড়াগড়ি করতে পারেন এটা করে আপনি অনেক শান্তি পাবেন।
৫. অতিরিক্ত কাশি হলে আপনি মধু খেতে পারেন মধু খেলে সেটা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।
৬. এছাড়াও আপনি ভিটামিন সি যুক্ত খাবার গুলো খেতে পারেন যেমন রসুন!
৭. হারবার একটি ওষুধ বাজারে কিনতে পাওয়া যায় সেই ওষুধটির নাম হল একানেএশিয়া এ ওষুধটি সর্দি কাশি প্রতিরোধ করতে অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে থাকে তাই আপনি যদি দ্রুত এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনি এই ওষুধটি বাজার থেকে কিনে এনে খেতে পারেন।
সর্দি কাশির ঔষধ
আমাদের যদি অল্প পরিমাণে সর্দি কাশি হয় তাহলে সেটা ওষুধ ছাড়া কমে যায় ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে। কিন্তু যদি এটা কোন ভাইরাসজনিত কারণে হয়ে থাকে তাহলে এটা খুব তাড়াতাড়ি কমে না তাই আমাদের চেষ্টা করতে হবে। ওষুধ খেয়ে সর্দি কাশি ভালো করার।
প্যারাসিটামল: বাংলাদেশের বহুল পরিচিত একটি ওষুধ হল প্যারাসিটামল জ্বর ও মাথাব্যথার কারণে এই প্যারাসিড আমল ওষুধ আপনি সেবন করতে পারেন। প্যারাসিট আমল চলাকালে কোন ব্যথার ওষুধ কফ সিরাপ বা অন্য সব ওষুধ খাওয়া থেকে আমাদের দুটো থাকতে হবে। নিয়মিত প্যারাসিটামল ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের সর্দি জ্বরের মতো সমস্যাগুলো কমে ফেলতে পারি।
নাক বন্ধের ড্রপ: এগুলোকে ‘ন্যাসাল ডিকনজেসট্যান্ট’ বলা হয়। নাক বন্ধ উপশমে এসব ড্রপ ব্যবহার করা যায়। তবে টানা ১ সপ্তাহের বেশি ব্যবহার করবেন না, তাতে নাক বন্ধের সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। ১ সপ্তাহেও উন্নতি না হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের এসব ড্রপ দিবেন না। ডাক্তারের পরামর্শে ৬–১২ বছর বয়সী শিশুদের এই ধরনের ড্রপ দেওয়া যেতে পারে, সেক্ষেত্রেও সাধারণত পাঁচ দিনের বেশি দেয়া হয় না।
কফ সিরাপ: কাশি বেশি হলে সর্দি-কাশির ঔষধ বা কফ সিরাপ ব্যবহার করা যেতে পারে।
আমরা আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি সর্দি কাশি হলে আপনারা কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে এটা ভালো করতে পারেন।