বর্তমান সময়ে যে আবহাওয়া চলছে তাতে করে দিনের বেলায় গরম এবং রাতের বেলা এই ঠান্ডার কারণে আমাদের অল্পতেই এই আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পেরে ঠান্ডা লেগে যাচ্ছে। বাইরে গরম আবহাওয়া হয়ে থাকলেও বিকেলের দিক থেকে আপনি যখন কোন মোটরসাইকেলে অথবা খোলামেলা জায়গায় ভ্রমণ করবেন তখন দেখা যাবে যে হালকা ঠান্ডা বাতাস আপনার গলাতে এসে লাগতে পারে। এরকম পরিস্থিতিতে আপনাদের যদি ঠান্ডা লাগে এবং গলা ব্যথা যদি হয়ে থাকে তাহলে এই ক্ষেত্রে কি ধরনের ওষুধ খাওয়া যেতে পারে তাই আজকে আলোচনা করব।
ঠান্ডা আবহাওয়াতে গলা ব্যথা খুবই কমন একটা অসুখ এবং এই সময় যদি আমরা সচেতনতা অবলম্বন করতে না পারি তাহলে গলা ব্যথা হয়ে অনেক সময় ঢোক গিলতে সমস্যা হয়। যেহেতু বাইরের জগতে আপনাকে অনেকের সঙ্গে কথা বলতে হয় এবং আপনার গলা ব্যথা যদি আপনাকে সে বিষয়ে পীড়া প্রদান করে তাহলে অবশ্যই সচেতনতা অবলম্বন করে চলা উচিত। তবে গলা ব্যথা যদি একান্তই হয়ে থাকে এবং এ বিষয়ে যদি আপনি প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার পরেও ভালো না হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
অর্থাৎ ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনারা গলা ব্যথা এবং ঠান্ডা লাগার ঔষধ সম্পর্কে জেনে নিতে পারলেও সেটা বয়স ভেদে অথবা আপনার ওজন এবং শারীরিক ইমিউনিটি থেকে শুরু করে অন্যান্য ক্ষেত্রের উপর নির্ভর করে থাকে। সুতরাং ঠাণ্ডা এবং গলা ব্যথা যদি হয়ে থাকে তাহলে নিজেরা ডাক্তারি না করে অথবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে দুই একটা ওষুধের নাম জেনে নিয়ে সেটা দ্বারা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি না করে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে ওষুধ নেওয়া উচিত।
তাছাড়া আপনার যদি এলার্জিজনিত সমস্যা থাকে তাহলে এই ক্ষেত্রে ওষুধের ধরন পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। তাই ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা সব সময় সচেতন ভূমিকা পালন করব এবং ওষুধ খাওয়ার চাইতে যদি প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারি তাহলে সবচাইতে বুদ্ধিমানের কাজ হবে। তাই আপনারা যারা এই পোষ্টের মাধ্যমে ঠান্ডা ও গলা ব্যথার ওষুধের নাম জানতে এসেছিলেন তাদেরকে ওষুধের নাম না জানিয়ে সরাসরি ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করার জন্য বলা হলো।
ঢোক গিলতে গলা ব্যথার ওষুধ নাম
ঢোক গিলতে অথবা পানি খেতে গেলেও যাদের গলা ব্যাথার সৃষ্টি হচ্ছে এবং যারা গলা ব্যাথার কারণে কারো সঙ্গে কথা বলা থেকে শুরু করে চলাফেরা করতে পারছেন না তাদের এই ব্যথার ওষুধ হিসেবে কি খেতে হতে পারে তা আমরা সরাসরি জানাবো না। কারণ যে কোন ধরনের ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে একজন রেজিস্টার্ড ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে আপনার গলা ব্যথা যদি বেশি দিনের হয়ে থাকে তাহলে হয়তো এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যেতে পারে এবং এগুলো ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত গ্রহণ করা উচিত নয় বলে তা জানানো সম্ভব হলো না।
ঠান্ডায় গলা ব্যথা হলে করণীয়
তবে ওষুধের নাম না জেনে ঠান্ডায় গলা ব্যাথা হলে কি করনীয় করতে হবে তা যদি জানতে পারেন তাহলে সেটা কিন্তু সবচাইতে ভালো হবে। প্রথমত গলা ব্যথার খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকরী একটি চিকিৎসা হলো কুসুম গরম পানিতে লবণ নিয়ে সেটা মিক্সড করে দিনের ভেতরে ৫ থেকে ৬ বার গড়গড়া করতে হবে। সেই সাথে পানি খাওয়ার বিষয়ে আপনারা ঠান্ডা পানি না খেয়ে কুসুম গরম পানি যদি খেতে পারেন তাহলে আশা করি এই সমস্যাগুলো খুব দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।
ঠান্ডায় গলা ব্যথা হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত
ঠান্ডায় গলা ব্যথা হলে ওষুধ না খেয়ে আপনারা উপরের উল্লেখিত চিকিৎসা পদ্ধতি যদি অনুসরণ করতে পারেন তাহলে কিন্তু অনেক উপকারে আসবে। তাছাড়া এর সঙ্গে যদি কাশি থেকে থাকে তাহলে আপনারা তুলসী পাতার সঙ্গে মধু মিশিয়ে যদি চিবিয়ে হালকা করে খেতে পারেন অথবা এটা রস যদি খেতে পারেন তাহলে আশা করি শীতের মধ্যে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ঔষধ হিসেবে কাজ করবে। আর যদি আপনারা এলোপ্যাথিক হিসেবে খুব দ্রুত চিকিৎসা সেভাবে পেতে চান এবং আরাম পেতে চান তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ গ্রহণ করুন।