বর্তমানে কারো যদি ঠান্ডা জল লেগে থাকে এবং সেই সাথে মাথা ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই সঠিকভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন। ডেঙ্গু সংক্রমণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে এবং এ সকল রোগের লক্ষণের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগের সৃষ্টি করছে। তাছাড়া এই সকল রোগ হয়ে থাকলে একজন মানুষের পক্ষে সহ্য করা সম্ভব হয় না বলে দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। তাই ঠান্ডা লাগার ফলে অথবা আবহাওয়া পরিবর্তন জনিত কারণে কারো যদি এই সমস্যাগুলো হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।
জর অসুখ হলে মানুষের পুরো শরীর অত্যন্ত গরম হয়ে থাকে এবং এর ফলে শরীর অনেক সময় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে থাকে। অনেকের আবার জরের সঙ্গে মাথাব্যথা দেখা যায় এবং এই মাথা ব্যাথার ফলে একজন ব্যক্তি আরো বেশি অসুস্থতা বোধ করে। তাই আপনি যদি এ সকল সমস্যার মধ্য দিয়ে পড়েন তাহলে হয়তো জানতে চাইবেন কি ধরনের ওষুধ খেলে আপনার এই রোগ সেরে যাবে। লক্ষণ না দেখে শুধু জ্বর এবং মাথা ব্যাথা হয়েছে এমন ভাবে যদি আপনারা ওষুধ নিয়ে থাকেন তাহলে সেটা কিন্তু অনেক সময় কাজে নাও লাগতে পারে।
তাই জ্বরের সঙ্গে আপনার মাথা ব্যাথা হতেই পারে এবং অন্যান্য যদি আরো উপসর্গ থেকে থাকে তাহলে সেটা অবশ্যই ডাক্তারকে দেখাতে হবে এবং আপনার জ্বরের মাত্রা অনুযায়ী ডাক্তার আপনাকে চিকিৎসা প্রদান করবেন। কারণ জ্বর বিভিন্ন মাত্রা বেঁধে মানুষের শরীরে এসে থাকে এবং কারো ছেড়ে ছেড়ে আসে এবং কারো অতিরিক্ত পরিমাণ জ্বর এসে তাকে কাবু করে ফেলে। তাই লক্ষণ না দেখে এগুলোর ওষুধ প্রদান করা যায় না এবং সরাসরি আপনারা যদি নাপা টাইপ ওষুধ খেয়ে থাকেন তাহলে সাময়িকভাবে সমাধান পেলেও অনেক সময় পুরোপুরি ভাবে ভালো হয় না।
তাই ঠান্ডা জ্বর হয়ে থাকলে নাপা ধরনের ওষুধ না খেয়ে তার সঙ্গে যদি আরো কোন ওষুধ লাগে এবং এর সাথে যদি সর্দি থেকে শুরু করে আরো অন্যান্য কোন উপসর্গ দেখা যায় তাহলে ডাক্তারের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করুন। আবার অনেক সময় জ্বরের বয়স তিন দিনের বেশি হয়ে থাকে এবং জ্বর বেশি দিন হয়ে থাকার কারণে এটা সমস্যা আরো প্রকট হতে থাকে।
ঠান্ডা জ্বর কাশি হলে করণীয়
ঠান্ডা জ্বর অথবা কাশি হয়ে থাকলে যদি একজন মানুষ ওষুধের ব্যাপারে জানতে চায় অথবা এ সময় আসলে তার কি করনীয় উচিত তা যদি জানতে চাই তাহলে বলব যে কাশি কমানোর জন্য আপনারা মসলাদার চা খেতে পারেন। এ সময় ঠান্ডা পানি না খেয়ে আপনারা একটু প্রসঙ্গে গরম পানি খাবেন এবং যদি গলা ব্যথা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই পানি দিয়ে গড়গড়া করবেন। সেই সাথে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং ডাক্তার যদি আপনার কাশি ধরনের অনুযায়ী সিরাপ প্রদান করে তাহলে সেটা খেতে হবে।
ঠান্ডা জ্বর হলে কি করনীয়
ঠান্ডা জ্বর হয়ে থাকলে অবশ্যই আপনাদেরকে রেস্ট নেওয়া উচিত। অর্থাৎ জ্বর অবস্থায় শারীরিকভাবে কষ্ট হয় অথবা শারীরিক পরিশ্রম হয় এমন কোন কাজ করা যাবে না। এই সময়টা যদি আপনারা বিশ্রামের পেছনে দিতে পারেন তাহলে আপনাদের জন্য খুব ভালো হবে এবং ঠান্ডা জ্বর হলে আপনারা বিশ্রামের পাশাপাশি ঔষধ ও সঠিক তথ্য সেবন করার মধ্য দিয়ে সমস্যা থেকে সমাধান পাবেন।
জ্বর ও মাথা ব্যথা হলে করণীয়
জরের সাথে যদি মাথা ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে আপনারা মাঝেমধ্যে চা খাবেন এবং নাপার র্যাপিড খেলে কিন্তু জ্বর ও মাথা ব্যথা দুটোই ভালো হয়ে যায়। তাই আপনারা এখান থেকে জ্বর ও মাথাব্যথা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ওষুধের তথ্য না জেনে অথবা কমন কিছু ওষুধের নাম জেনে থাকলেও সেটা হয়তো আপনারা রোগের লক্ষণ অনুযায়ী এবং রোগীর বয়স অনুযায়ী ও শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী প্রদান করতে পারবেন না। তাই যে কোন ধরনের ওষুধ খাবার ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেটা গ্রহণ করুন এবং সেই অনুযায়ী চলুন।