যদি কোন ব্যক্তির কাশি হয়ে থাকে তাহলে সেই কাশি নির্দিষ্ট নিয়ম এবং নির্দিষ্ট ওষুধ সেবন করার মাধ্যমেই ভালো হয়ে যায়। তবে কোনো কারণে যদি কাশি ভালো না হয় তাহলে সেটা কি কারণে ভালো হচ্ছে না তো আমাদেরকে জানতে হবে। আর যখন আমরা এর কারণ সম্পর্কে বুঝতে পারব তখন বিভিন্ন ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারব অথবা নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী আমরা কাশি সারিয়ে তুলতে পারব। একটা মানুষের যদি কাশি হয় তাহলে কাশতে কাশতে তার গলার ব্যথা অনেক বৃদ্ধি পায় অথবা গলার ভেতরে জ্বালাপোড়া ব্যথা শুরু হয়।
বাচ্চাদের যদি কাশি হয় তাহলে তাদেরকে অবশ্যই ভালো পরিবেশে রাখতে হবে অথবা গলায় যেন বেশি ঠান্ডা না লাগে সে বিষয়গুলো মায়েদের খেয়াল রাখতে হবে। স্বাভাবিকভাবে নির্দিষ্ট বয়সের ব্যক্তিদের যদি কাশি শুরু হয় তাহলে তার জন্য আপনারা বিভিন্ন ধরনের ঔষধ সেবন করতে পারেন। তবে সেই কাশির জন্য প্রাথমিক অবস্থায় আপনাদের বিভিন্ন ধরনের কোলড্রিংস অথবা ফ্রিজের হিমায়িত খাদ্য গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অর্থাৎ এ সকল বিষয়ে যতই আপনি অনুসরণ করতে পারেন তাহলে সফলভাবে কাশি থেকে বের হয়ে আসতে পারবেন।
তবে অনেক মানুষ রয়েছেন যারা বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছেন এবং কাশি শুরু হলে দেখা যাচ্ছে যে সেটা প্রায় ১২ মাস লেগেই থাকে। কিছু কিছু মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় অথবা বিভিন্ন কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দিনে দিনে হ্রাস পায়। ফলে একটা মানুষের শরীরে যদি এক ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয় তাহলে সেটা পরবর্তীতে আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে যে কোন সমস্যার শরীরের জন্য চিরস্থায়ী অবস্থা ধারণ করে।
ঠিক একইভাবে যদি কোন মানুষের কাশি হয়ে থাকে তাহলে দেখা যাচ্ছে যে সেটা ওষুধ সেবন করার মাধ্যমে দিনের পর দিন আপনারা ভালো হতে পারছেন না। বছরের কিছু নির্দিষ্ট মাস রয়েছে যে সময়গুলোতে সরকারি হাসপাতালে জ্বর এবং কাশি নিয়ে অধিকাংশ রোগীদের আসতে যেতে দেখা যায়। এই কাশি ভালো না হওয়ার কারণ হলো যে সঠিক ওষুধ প্রথমে সেবন করা হয়নি সেইজন্য। প্রথম দিকে যদি আপনারা ভাল কোম্পানির ভালো কাশির ঔষধ সেবন করতে পারতেন তাহলে আপনাদের এটা অনেকাংশ ভালো হয়ে যেত।
আর তখন আপনারা খুব দ্রুত যে কোন অসুখ থেকে বের হয়ে আসতে পারতেন। তবে যে সকল কারণে কাশি হয়ে থাকে সে সকল বিষয় যদি আপনারা এড়িয়ে চলতে পারেন এবং একবারে বাদ দিতে পারেন তাহলে সবচাইতে ভালো হয়। বিশেষ করে কাশিও হচ্ছে এবং আপনি সেই সাথে কোল্ড ড্রিংকস খাচ্ছেন তাহলে কাশি ভালো হবে না। তাই কাশি হলে ঔষধ খাবারের পাশাপাশি আপনারা বিভিন্ন ধরনের ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। বিশেষ করে লেবু চা খাওয়ার পাশাপাশি আপনারা যদি আদা চা খেতে পারেন অথবা অতিরিক্ত কাশির কারণে মুখের ভেতরে লবঙ্গ নিয়ে হালকা চাপ দিতে পারেন তাহলে আস্তে আস্তে আপনাদের এই কাশি কমে যাবে।
কাশি হলে কি খাওয়া যাবেনা
কাশি হলে ঠান্ডা জাতীয় জিনিস ব্যতীত আপনারা সকল ধরনের জিনিস খেতে পারেন। অর্থাৎ কাশি হলে কোন জিনিস খাওয়া যাবেনা এ প্রশ্নের উত্তর হল যত ধরনের গরম খাবার আছে এবং আপনি যে সকল খাবার খেতে রুচিবোধ করেন সেগুলো খাবেন। ফ্রিজ থেকে যেকোনো ধরনের ঠান্ডা খাবার বের করে খেলেই সেটা সাথে সাথে আপনার গলার জন্য ক্ষতিকর হবে এবং কাশি ভালো হবে না।
কাশি হলে কোন নিয়ম মেনে চলতে হবে
যদি ঠান্ডার দিনে আপনার কাশি লাগে তাহলে কাশি ভালো করার জন্য অবশ্যই গরম পানি খাবার পাশাপাশি ঠান্ডা যেন না লাগে সে বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে। কারণ এই বিষয়গুলো আপনি যখন মেনে চলবেন তখন আপনার জন্যই উপকারী ভূমিকা পালন করবে। কাশি হলে আপনারা শীতের দিনে সকালে একটু দেরিতে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করবেন এবং ঠান্ডা যেন না লাগে সে বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। তাই কাশি হলে অবশ্যই আমরা সঠিক জীবন ব্যবস্থা অনুসরণ করবো যাতে করে এই কাশি বর্তমান সময়ের নিয়ম অনুযায়ী আরো খারাপ পর্যায়ে না যায়।