আপনাদের যদি গরুর খামার করার ইচ্ছা থাকে অথবা উদ্যোক্তা হওয়ার ইচ্ছা থাকে তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এ প্রসঙ্গে জেনে নিতে পারেন। বর্তমান সময়ে মানুষজন পড়াশোনা শেষ করেই চাকরির পেছনে ছুটছেন এবং দিনশেষে খুবই অল্প বেতনের চাকরির জন্য প্রচুর কষ্ট করছেন। অনেকেই আছেন যারা টাকা দিয়ে চাকরি নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে এ সকল বিষয়ে মাথা না ঘামে আপনারা যদি উদ্যোক্তা হতে চান এবং টাকা পয়সা খাটিয়ে যদি গরুর খামার করতে চান তাহলে সেখান থেকে বাণিজ্যিকভাবে আপনার জীবন-নির্ভরের ব্যবস্থা হয়ে যাবে। তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে কম খরচে গরু মোটা তাজাকরণের বিষয় আলোচনা করব।
অনলাইনের যুগ এসে বর্তমান সময় মানুষের ভেতরে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রবণতা জেগেছে এবং অনেকেই চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করছেন। গরুর লালন পালন করার বিষয়ে আপনার ভেতরে যদি সামান্যতম জ্ঞান থেকে থাকে তাহলে সেটাকে পুঁজি করে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে খুব সহজেই আপনারা খামার তৈরি করে তুলতে পারেন। বর্তমান সময়ের বিভিন্ন জায়গায় এগ্রো ফার্ম গড়ে উঠছে এবং সেই ক্ষেত্রে তাদের ফার্ম পরিচালনা করার জন্য খাবার দাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আপনি যদি গরুর খামার দিয়ে ফেলেন অথবা গরুর খামার দেবেন বলে ভাবছেন তাহলে গরু মোটাতাজাকরণের সঠিক নিয়ম আপনাকে জানতে হবে। বর্তমানে উপজেলা ভিত্তিক গবাদি পশু লালন পালনের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে করে মানুষজন বেকার না। অর্থাৎ আপনার ভেতরে যদি সামান্যতম প্রচেষ্টা থেকে থাকে এবং আপনি যদি সঠিক পথে এগোতে চান তাহলে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নিজের জীবিকার ব্যবস্থা নিজেই করে নিতে পারবেন। তাই বর্তমান সময়ে বসে না থেকে আমরা যদি কিছু একটা করার চেষ্টা করি তাহলে সেটা ভালোমতো করবো।
সাধারণত আপনি যদি গরুর খামার তৈরি করেন অথবা গরুর লালন পালনের ব্যবসা শুরু করেন তাহলে আপনার কয়েক লক্ষ টাকা এবং জায়গার প্রয়োজন হবে।যদি জায়গা থেকে থাকে তাহলে খুবই স্বল্প পরিসরে বেশ কয়েকটি গরু নিয়ে আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনি যদি লোক দিয়ে এ সকল কাজ করাতে চান তাহলে দেখা যাবে যে খুব একটা লাভ টিকাতে পারছেন না। তাই লাভের পরিমাণ বেশি দেখতে চাইলে আপনি এদেরকে সন্তানের মত লালন পালন করবেন এবং যত যত্ন আত্মী করতে পারবেন ততটাই আপনার জন্য ভালো হবে।
এখানে আপনি যতটা পরিশ্রম প্রদান করতে পারবেন সেখানে আপনাদের নিজের জিনিস হিসেবে এক অন্য ধরনের যত্নে তারা লালিত পালিত হবে। তাছাড়া গরুর লালন পালনের ক্ষেত্রে যে সকল খাবার তারা খায় সে সকল খাবারের ব্যবস্থা আগে থেকেই করে রাখতে হবে। বিশেষ করে গরুরা যে সকল ঘাস খায় সে সকল ঘাসের চাষাবাদ যদি আমাদের আশেপাশে করতে পারেন তাহলে সেই ঘাস খুব দ্রুত বর্ধনশীল হওয়ার কারণে একদিক থেকে খাওয়াতে শুরু করবেন অন্য দিক থেকে ঘাস বড় হতে শুরু করবে।
তাই গরুর লালন পালনের ক্ষেত্রে যে সকল ঔষধ খাওয়ালে তাদের ভেতরের রুচি থাকে অথবা খাওয়ার প্রতি আগ্রহ থাকে সে বিষয়গুলো আপনাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে। উপজেলা গবাদিপশুর যে সকল হাসপাতাল রয়েছে তাদের ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে যাতে করে কোন সমস্যা হলে মোবাইল ফোন করার মাধ্যমে তারা আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে এবং সমস্যার সমাধান করতে পারে। তাছাড়া যে সকল ধরনের খাবার খাওয়ালে তাদের জন্য ভালো হয় সেগুলো আপনারা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জানতে পারছেন।
তাই কম খরচে গরু মোটাতাজাকরণের জন্য বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবার তাদের যেমন খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে তেমনি ভাবে তাদের লালন-পালনের ব্যবস্থার দায়িত্ব আপনাকে গ্রহণ করতে হবে। আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারলেন এবং গবাদিপশুর বিভিন্ন সমস্যার সমাধান কিভাবে করবেন তা জানার জন্য আমাদেরকে যেমন প্রশ্ন করতে পারেন তেমনি ভাবে গবাদি পশুর চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।