গরুর জ্বরের ঔষধ

কোন গরুর যদি জ্বর চলে আসে তাহলে সর্বপ্রথমে বুঝতে হবে আসলেই তার জ্বর এসেছে কিনা এবং এই ক্ষেত্রে জ্বর মেপে নিয়ে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করতে হবে। তবে আপনারা যারা খামারি রয়েছেন অথবা গরু লালন পালন করতে করতে এ বিষয়ে অভিজ্ঞ হয়ে গিয়েছেন তারা হয়তো অনেক সময় গরুর চালচলন অথবা অন্যান্য লক্ষনের উপর নির্ভর করে বুঝে ফেলতে পারেন গরুর জ্বর এসেছে। তাই গরুর জ্বরের ক্ষেত্রে আপনারা যদি অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন তাহলে সেই ঔষধ ব্যবহার করতে পারেন এবং যারা নতুন শুরু করছেন তারা হয়তো এ বিষয়ে জানতে পারলে ভালো হয়।

প্রাণী হিসেবে প্রত্যেকটা প্রাণীর কমবেশি বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতা আসে এবং এটা প্রাকৃতিক কারণে হয়ে থাকে অথবা আবহাওয়া জনিত কারণে হয়ে থাকে অথবা বিভিন্ন ধরনের খাদ্য গ্রহণের কারণে হয়ে থাকে। তবে জ্বর যেহেতু শরীরের একটা তাপমাত্রার বিষয় সেহেতু এ তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে একটা মানুষ যেমন খেতে পারে না তেমনি ভাবে গরুদেরও খাওয়া-দাওয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই গরুর যখন জ্বর আসবে তখন একটা গরু তার চার কমিয়ে দেবে এবং ঠিকমতো কোন কিছুই খাবেনা।

যেহেতু আপনি গরুর লালন পালন করছেন সে তাকে সন্তানের মতো করে প্রত্যেকটা বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে এবং যদি জ্বর আসে তাহলে মাথায় পানি ঢালতে হবে। তবে সেই পানি ঢালার পর তাকে ভিজিয়ে রাখা যাবে না বরং সেই মাথার পানি আবার মুছিয়ে দিতে হবে। তাই গরুর জ্বরের যারা ওষুধ সম্পর্কে জানতে এসেছেন তাদেরকে বলব যে ইনজেকশন প্রদান করার মাধ্যমে এই জ্বরের সমস্যাগুলো থেকে সমাধান পাওয়া যায়।

তাই গরুর জ্বর আসলে ইনজেকশন দেওয়ার যদি অভিজ্ঞতা আপনাদের থেকে থাকে তাহলে সেটা ডাক্তারের থেকে ওষুধ নিয়ে অথবা সেই ইনজেকশন কিনে নিয়ে পুশ করতে পারেন। তবে গরুর ওজন অনুযায়ী এই ইনজেকশনের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে অথবা বৃদ্ধি করতে হবে। প্রাথমিক অবস্থায় আপনারা যদি ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে এবং গরুর বর্তমান ওজন সম্পর্কে অবগত হয়ে চিকিৎসা প্রদান করতে পারেন তাহলে সেটা খুব ভালো হয়। অনেক সময় গরু আমরা লালন পালন করে থাকলেও সেটার ওজন কত হবে এ বিষয়ে ধারণা অর্জন করতে পারেন এবং এক্ষেত্রে একজন পশু চিকিৎসক সঠিক ধারণা দিতে পারেন।

গরুর জ্বর আসলে করণীয়

গরুর যদি জ্বর আসে তাহলে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে তাকে মাথায় পানি দিতে হবে এবং এই ক্ষেত্রে ইনজেকশন দেওয়ার মাধ্যমে তার শরীরের জ্বর কমে আসবে। যেহেতু এ সকল প্রাণী কথা বলতে পারেনা সেহেতু জরের কারণে তার কি কি সমস্যা হচ্ছে সেগুলো আমরা বুঝতে পারি না এবং অনেক সময় আমাদেরকে সেগুলো বোঝার জন্য অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের পরামর্শ গ্রহণ করতে হয়। তাছাড়া যদি পশু চিকিৎসক আনিয়ে তাহলে খুবই ভালো হবে এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসা ব্যবস্থা দেওয়ার পরে খুব সহজেই সেই গরুর সুস্থ হয়ে উঠবে।

গরুর জ্বরের ইনজেকশন

মানুষের শরীরে যেমন জ্বরের ওষুধ প্রদান করার ক্ষেত্রে ট্যাবলেট দেওয়া হয়ে থাকে তেমনি ভাবে গরুর জ্বরের ক্ষেত্রে ইনজেকশন দিলে সবচাইতে ভালো হয়। গরুর ওজন যদি ১০০ কেজি এর নিচে হয়ে থাকে তাহলে এক মাপে ইনজেকশন দিতে হবে এবং ১০০ কেজি এর উপরে হয়ে থাকলে সে ক্ষেত্রে অন্য ধরনের ইনজেকশন দিতে হবে। প্রাথমিক অবস্থায় আপনারা সকল বিষয় না জানলে শুধু ইন্টারনেটের তথ্য কাজে লাগিয়ে অযথাই ইনজেকশন প্রদান করবেন না।

গরুর জ্বর মাপার নিয়ম

যদি গরুর জন্ম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে বলবো যে থার্মোমিটার দিয়ে গরুর জর মাপার নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। স্বাভাবিক গরুর তাপমাত্রা হচ্ছে 101.5 ডিগ্রি সেলসিয়াস। থার্মোমিটার দিয়ে যখন গরুর এই তাপমাত্রা আপনারা আরও বেশি অনুভব করতে পারবেন অথবা বুঝতে পারবেন তখন বুঝবেন যে গরুর আসলেই জ্বর এসেছে এবং সেই অনুযায়ী তাকে ট্রিটমেন্ট প্রদান করতে হবে। বেশি জ্বর হয়ে থাকলে মাথায় পানি দিতে হবে এবং মাথা মুছে দিতে হবে। এ প্রসঙ্গে যদি আপনাদের আর কিছু জানার থাকে তাহলে আমাদেরকে প্রশ্ন করতে পারেন।

Leave a Comment